সাজ্জাদ আহমেদ মাসুদ, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ- গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমানের অপসারণের দাবিতে পটুয়াখালীর গলাচিপায় সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার আয়োজনে অফিস ঘেরাও কর্মসূচি ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টায় শহরের জৈণপুরী পীর সাহেব খানকা মাঠ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সম্মুখে এসে শেষ হয়। পরে ছাত্র-জনতা ঘন্টাব্যাপী কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় উপজেলা পরিষদের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকে। অফিস ঘেরাও কর্মসূচি ও অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী শাহ জুবায়ের আব্দুল্লাহ, আবুল খায়ের, তরিকুল ইসলাম মুন্না, ইয়াকুর হাসান, তানভীর হাসান, সাইফুল ইসলাম, নাসাউল নাসু, নাজমুল হাসান, রাশেদুল প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার পতনের জন্য জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আমরা গুলিও খেয়েছি। আর গলাচিপার ইউএনও মিজানুর রহমান ফ্যাসিস্ট সরকারের মতোই জুলাই আন্দোলনে আহতদের টাকা আমাদেরকে না দিয়ে নিজেই টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর, ইসলাম ও জনগণের শত্রু, দুর্নীতিগ্রস্ত, জুলাই বিপ্লবের চেতনা বিরোধী ইউএনও-কে অবিলম্বে অপসারণ করার জন্য ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনার কাছে আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি। দাবি মানা না হলে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন বলেন, ‘আমার হিসাবে এটা যে কোন মানুষের যে কোন বিষয় নিয়ে দাবি করার অধিকার আছে। এটা যে কোন নাগরিকের মৌলিক অধিকার। তারা এটা দাবি করতে পারে। আমি তাদের প্রতি অনুরোধ করবো তারা যে দাবি করবে সেটা যেন খুব শান্তিপূর্ণ হয়। জনগণের জানমাল বা কোন বিষয় যেন বিনষ্ট বা কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয়। আর ওনাদের যে দাবি লিখিতভাবে যদি আমার কাছে জানায় এটা আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো এবং প্রশাসনিক যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার তা করবো। কিন্তু অযৌক্তিকভাবে যে কোন কারণে দাবি করলে সেটা কারো জন্য শোভন হবে না এবং কারো জন্য ভাল একটি লক্ষণ বলে আমি মনে করি না। যে কোন মানুষের যে কোন বিষয় নিয়ে যে কোন একটা দাবি তোলার অধিকার মানুষের রয়েছে।