1. [email protected] : adminbackup :
  2. [email protected] : Gk Russel : Gk Russel
  3. [email protected] : stnews :
গুমঘরের বাইরে রাজনীতির কবি মোমিন মেহেদী - শিক্ষা তথ্য
বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
লক্ষ্মীপুরে নির্বাচন ছাড়াই ইউনিয়ন বিএনপির পকেট কমিটি, প্রতিবাদে বিক্ষোভ জনগণের আস্থা অর্জন করেই বিএনপি আবার জনগণের ক্ষমতায় ফিরবে: আশা গলাচিপায় অপহরণের ১৫ দিন পরে ভিকটিম উদ্ধার, অপহরণকারী কারাগারে গুমঘরের বাইরে রাজনীতির কবি মোমিন মেহেদী কুয়াকাটা সৈকতে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার রাস্তায় গর্ত করে মাটি নিয়ে যাওয়া জনগণের চরম ভোগান্তি কলাপাড়ায় টাইফয়েড ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত রাজশাহী অ্যাসোসিয়েশন ভবনের দোকান দখলের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন : লিটু বেনাপোল দিয়ে ভারত থেকে ফিরলো ১৭ কিশোর কিশোরী নারায়ণগঞ্জে কোকো আন্তর্জাতিক দাবায় মিনহাজ চ্যাম্পিয়ন   

গুমঘরের বাইরে রাজনীতির কবি মোমিন মেহেদী

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫
  • ১২ Time View
একরামুল হক গাজী লিটন:বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাদেরকে আমি অনেক পছন্দ করি, যারা রাজপথকে মনে করে ঘর-সংসার-পরিবার। এমন নীতি থেকে কাজ করেছেন মওলানা ভাসানী, শেরেবাংলা একে ফজলুল হক, আমার প্রিয় ভাষা মতিনসহ গত শত বছরের রাজনীতিতে শতাধিক রাজনীতিক। তাদের সবার প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। তেমনই একজন নতুন প্রজন্মের র্জানীতিক মোমিন মেহেদী। যাকে আমি স্নেহ করি, সাহস যোগাই অন্যায়-অপরাধ-দুর্নীতি-খুন-গুম-ধর্ষণ-নির্মমতার বিরুদ্ধে যুদ্ধে থাকা এই সময়সাহসীকে। ২০১৮ সালের ১৫ মার্চ রাতে তৎকালিন সরকারের বিশেষ বাহিনী দ্বারা গুমের শিকার হয় মোমিন মেহেদী। ১০ দিন পর ২৫ মার্চ রাতে নির্যাতন করতে করতে মৃত ভেবে ফেলে যাওয়ার পর দীর্ঘ চিকিৎসায় নতুন জীবন পেয়ে আবারো সোচ্চার হয়ে ওঠে অপরাধ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে।
আর তাই আমার দেখা, আপনার দেখা তথাকথিত তরুণ নেতাদের মত ষাট বছরের বা ৫০ বছরের তরুণ নয় নতুনধারার রাজনীতির প্রর্বতক মোমিন মেহেদী। কথা কাজে এক থাকা মোমিন মেহেদী উত্তরাধিকার ব্যতিত আরো কোন যোগ্যতা নেই এমন নেতা তারেক, মাহী, পার্থ, ববির মত নয় । শুধু আমার দৃষ্টিতে নয়; গণমাধ্যমের দৃষ্টিতেও বর্তমানে নতুন প্রজন্মের কাছে একাধারে রাজনীতিক-কলামিস্ট-কবি-গীতিকার-সুরকার-শিল্পী-সমাজসেবক-সম্পাদক-পরিবেশবিদ-গবেষক-ছড়াকার-কথাশিল্পী-শিক্ষক ও শিল্প উদ্যেক্তা হিসেবে সমধিক জনপ্রিয়। একাধারে অসংখ্য গুণের অধিকারী মোমিন মেহেদীর শৈশব- কৈশোর আর তারুণ্যের প্রতিটি দিন তিনি নির্মাণ করেছেন নিপুন পরিশ্রম- মেধা আর যোগ্যতাকে কাছে রেখে। তিনি নতুন প্রজন্মের জন্য নিরন্তর রাজনৈতিক আন্দোলনের পাশাপাশি সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন নির্মমতার রাজনৈতিক কালো অধ্যায় থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে মুক্ত করতে।
তার-ই সূত্র ধরে বিভিন্ন অঙ্গনে নতুন প্রজন্মের জন্য নিবেদিত তিনি।  ‘বিজয় বাংলাদেশ’ শীর্ষক কবিতায় তিনি লিখেছেন, ফাঁদের বাইরে পা রাখে নি কো কেউ। ফাঁদে পা পড়েছে তাই গড়েছে জীবন।/ গড়তে গড়তে চলে বয়সের চাকা। এক থেকে পয়তাল্লিশ। জন্ম থেকে/ বয়স্ক হওয়ার রাস্তা তৈরির জন্য নতুনের ডাকে ফিরেছে পুরোনো।/ ত্রিকোণের সবটুকু কুকুরের মত। অবিরত ভাঙে আর গড়ে/ থরে থরে সাজানো সকাল। ভোর হয় আলো হাসে/ মিছিলে কন্ঠ ভাসে ‘বিজয় বাংলাদেশ’ শ্লোগানে মূখর/ রাজপথে দুর্নীতি বিরোধী আয়েশ। চোখের পাতায় ঘুম/ মনের পাতায় শুধু বিজয় বিজয়। / বিজয় ভালোবাসা। বিজয় আদর। বিজয়ীরা বেঁচে থাক কাজের চাদর/ গায়ে জড়িয়ে আরো দৃঢ়তার সাথে। আমরাও রাখবো হাত নতুনের হাতে।  ব্যক্তি বা পরিবার বাদ দিয়ে আজ কাজ হোক দেশ-মাটি আর জনতার।/ বেইলী রোডে জুটিবদ্ধ থাকে না সময়। সবাই ব্যস্ত আজ দরাজ জীবনের টানে।/ কানে কানে নেই আজ বেতারনীমায়া; আছে শুধু প্রশস্থ সম্ভাবনাই…
৬৪ টি বই প্রকাশিত হয়েছে তাঁর। প্রতিদিন লিখছেন বিভিন্ন পত্রিকায় কলাম-কবিতা-ছড়া-প্রবন্ধ-নিবন্ধ-গল্প ইত্যাদি। আর রচিত প্রতিটি পঙ্তিতে তিনি নির্মাণ করছেন নতুন প্রজন্মের প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির সাথে সাথে সততায় অগ্রসর হওয়ার কথা। বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের জীবন থেকে দেখে দেখে খইফোটা রোদ্দুরে হাঁটতে হাঁটতে রচনা করছেন নির্মল লোভ- মোহহীন নিরন্তর রাজনৈতিক কর্মকান্ড। তিনি মনে করেন, নতুন প্রজন্মের রাজনীতির অপর নাম হবে বাংলাদেশকে-বাংলাদেশের মানুষকে ভালোবেসে সাহসের সাথে তৈরি করা কবিতা-ছড়া-গল্প-নাটক-উপন্যাস-প্রবন্ধ-নিবন্ধ-কলাম সহ সৃজনশীল সকল কর্মকান্ড। যে কর্মকান্ড মানুষের সংস্কৃতির পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে, অভ্যাসের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে যেতে উপহার দেবে ভোটাধিকার- মৌলিক অধিকার আদায়ের সোচ্চার কন্ঠস্বর; সেই পরিবর্তনের জন্য নতুন প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধ করার মহান দায়িত্বটি তিনি নিজেই কাঁধে তুলে নিয়েছেন।
২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর যে সাহসের-সম্ভাবনার স্বপ্ন নিয়ে আত্ম প্রকাশ করেছিলো লাল পোশাক পরিহিত শত শত ছাত্র-জনতা-আবাল-বৃদ্ধ-বণিতার রাজনৈতিকধারা নতুনধারা বাংলাদেশ-এনডিবি; সেই সাহস-সম্ভাবনার রাস্তায় চলতে চলতে বলতে বলতে এখন সারাদেশে ৩৭ জেলা, ১০০ উপজেলা, ৮ বিভাগীয় শাখার পাশাপাশি দেশে ও দেশের বাইরে প্রায় আড়াইশ সাংগঠনিক কমিটি রয়েছে। এই সকল কমিটিতে তারুণ্যের জয়গান গেয়ে আলোকিত সমাজ- দেশ ও মানুষ গড়ার মিছিলে যুক্ত রয়েছেন নেতাকর্মী-সমর্থক-শুভানুধ্যায়ী হিসেবে বারো লক্ষ বাংলাদেশী। যাদের স্লোগান একটাই ‘নতুনধারার অঙ্গীকার দুর্নীতি থাকবে না আর’। পাশাপাশি সাহসের সাথে তারা উচ্চারণ করেন ‘বিজয় বাংলাদেশ’ ‘বিজয় নতুনধারা’। তাঁর কাছে ছন্দিত জীবন মানেই আয়েশি জীবন নয়; আন্দোলন-সংগ্রাম-ঘাত-প্রতিঘাত আর প্রতিবাদের রাজত্ব।
মোমিন মেহেদী। এই নামের মধ্যেই রয়েছে ছন্দ, রয়েছে সাহসের গন্ধ। অতিতের অর্থাৎ ১৯৯৫ থেকে বর্তমান পর্যন্ত তাঁর প্রতিটি লেখায় আমাদের দেশ ও মানুষের কল্যাণময় প্রত্যয় আর ভালোবাসার যে বহি:প্রকাশ ঘটেছে, তা প্রমাণ করে যে, জনগনের জন্য, নতুন প্রজন্মের জন্য নতুনধারার রাজনীতিক মোমিন মেহেদী’র রাজনৈতিক দর্শন নতুনতন্ত্র নিয়ে আসবে বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের জন্য নিরব বিপ্লব।
যে বিপ্লব বাম বা ডানদের ধার করা, ভাড়া করা পাশ্চাত্যের বা মধ্যপ্রাচ্যের উগ্রবাদী দর্শন নামক কষ্ট আর রাজনৈতিক প্রহসন নয়। আমাদের রাষ্ট্রিয়-সামাজিক ও ব্যক্তি জীবন থেকে উৎসারিত তন্ত্র। যে তন্ত্রের হাত ধরে আগামীর বাংলাদেশ এমনকি বিশ্বও বদলে যেতে পারে। কথায় আছে ‘বৃক্ষ তোমার নাম কি?’ ‘ফলে পরিচয়’। আমাদের রাজনীতির পুরোধা ব্যক্তিত্ব, আমাদের রাজনৈতিক মুক্তির অগ্রপথিক মোমিন মেহেদী এবং নতুনধারার বেলায় এই কথাটি অক্ষরে অক্ষরে বিশ্বাস করি। প্রমাণ দিতে চাই কাজে, কাজে এবং কাজে। যে কারনে নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিগন নিজেদের রুটি-রুজী-জীবন-জীবিকার ব্যবস্থাটি আগে করে তারপর যতদূর সম্ভব বিনম্র ভালোবাসায় আন্তরিকতার সাথে তৈরি করছে ছাত্র-যুব-জনতা-আবাল-বৃদ্ধ-বণিতার রাজনৈতিক ঐক্যবদ্ধতা।
মহান স্রস্টার প্রতি সর্বোচ্চ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রতিটি ভোর আসে সাহসের রাজনীতিক মোমিন মেহেদীর। তিনি ইসলাম ধর্মের অনুসারী হলেও কোন ধর্মের প্রতি অবমাননা বা অতি উৎসাহি হওয়ার বিরুদ্ধে নিজস্ব অবস্থান নির্মাণ করেছেন। নিজে যতদূর সম্ভব ধর্মীয় দায়িত্ব পালন করবেন, কিন্তু কাউকে ধর্মীয় দায়িত্ব পালনে নিরুৎসাহিত না করে যতদূর সম্ভব বিনম্র শ্রদ্ধার সাথে-বিনয়ের সাথে অনুপ্রাণিত করবেন এমন চিন্তায়-ধ্যান-ধারনায় বিশ্বাসী।
মোমিন মেহেদীর রাজনীতির সাথে তার আদর্শিক-কাব্যজ পথচলা লোভ- মোহহীনভাবে বিনম্র শ্রদ্ধার কথা বলে চলেছে। আমাদের শূণ্য দশকের খুব কম লেখকই আছেন, যারা সৈয়দ শামসুল হকের মত সব্যসাচী। মোমিন মেহেদী সেই শূণ্যতা পূরণ করার পাশাপাশি সব্যসাচী লেখক তো অবশ্যই; সাথে সাথে তার রাজনীতিও তাকে করে রেখেছে সবার চেয়ে অনন্য। তার সাথে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক না থাকলেও ২৮ আগস্ট জন্মদিন হওয়ায় আমি মনের সবটুকু আন্তরিকতা শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা সাথে নিয়ে তার প্রায় ১৫ টি গ্রন্থ সংগ্রহ করেছি এবং পাঠ করেছি। আর সেই পাঠ ও পঠন থেকে জেনেছি, সময়ের আলোচিত তরুণ রাজনীতিক-লেখক মোমিন মেহেদীর জন্ম ১৯৮৫ সালের ২৮ আগস্ট ময়মনসিংহে। তার পৈত্রিক নিবাস বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে হলেও লেখালেখি ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে তিনি রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে স্বনামে পরিচিত।
তিনি সাংগঠনিকভাবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে শীর্ষ একটি ছাত্র সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে ছিলেন। সাথে সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক শিক্ষা-সাহিত্য-সাংস্কৃতিক-সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন সাউন্ডবাংলা’র নির্বাহী পরিচালক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার আন্দোলন জোটের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। স্বাধীনতার স্বপক্ষের রাজনীতিক ও লেখক হিসেবে বাংলাদেশের সকল পত্র পত্রিকায় তিনি নিয়মিত লিখে চলেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বড়দের জন্য- ডিভোর্স (২০০৪), শকুনেরা উড়ছে (২০০৫), কাকতুড়ুয়ার দেশে (২০০৭), এই চাকাটা ভালোবাসার (২০০৭) ইত্যাদি ও ছোটদের জন্য +ভূত-ভয়, বাবা, কাগজের ভূত, বাংলাদেশে স্বপ্ন ইত্যাদি।
তিনি শিক্ষা-সাহিত্য-সাংস্কৃতিক-সামাজিক-স্বেচ্ছাসেবি ও রাজনৈতিক অঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য অগ্নীবীণা স্বর্ণ পদক ২০০১, অনিবার্ণ পদক ২০০২, জাতীয় কবি নজরুল সম্মাননা ২০০৫, কবিগুরু পদক ২০০৭, কবি সুফিয়া কামাল পদক ২০০৮, সিএমএম-স্বপ্নালোক পদক ২০০৮, ইউএনজিপি এ্যাওয়ার্ড ২০০৯, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংস্কৃতি সম্মাননা ২০১০, ন্যাশনাল ডায়ালড এ্যাওয়ার্ড ২০১২, আনন্দ সভা (ভারত) ২০১৩, নাট্যসভা সম্মননা ২০১৪, বেস্ট এশিয়ান রাইর্টার্স এ্যাওয়ার্ড ২০১৫  সহ বিভিন্ন পদক ও সম্মাননা পেয়েছেন। নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক ধারা নতুনধারা বাংলাদেশ-এনডিবি’র প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদী দেশের ঐকিহ্যবাহী গণমাধ্যম দৈনিক পূর্বাভাস-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন ২০২২ সাল থেকে। তার মতে, মানুষ সততার সাথে যে কাজই করুক না কেন, সফলতা আসবেই। যে কারনে শিক্ষা-সাহিত্য-সাংস্কৃতিক-সামাজিক- স্বেচ্ছাসেবি ও রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে কাজ করলেও তার মূল চিন্তা- চেতনা জুড়ে রয়েছে পরিবর্তনের স্বপ্ন।
যে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে আমাদের রাজনৈতিক অন্ধকার-ধর্মীয় কুসংস্কার-দুর্নীতি-খুন-গুম-সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বিলুপ্ত হবে। সভ্য হবে বাংলাদেশ-বাংলাদেশের মানুষ। খুব কাছ থেকে দেখার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি প্রাণোচ্ছল এই মানুষটিকে। কেননা, নতুন প্রজন্মের এই প্রতিনিধি ভোর ৬ টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত তার রাজনীতি-শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি-অর্থনীতি ও সাহিত্যকর্মকান্ড নিয়ে এতটাই ব্যস্ত থাকেন যে, ইচ্ছে করলেই বসে আড্ডা দেয়ার মত সুযোগ গড়তে পারেন না। আর তার রাজনীতি তো অনবরত তৈরি করেই চলেছে আমাদের স্বপ্নজ কথা-সাহসের কথা। মোমিন এসেছেন নিতান্তই শাদামাটা পরিবার থেকে; কিন্তু তাদের সেই শাদামাটা পরিবারের রাজনৈতিক-শিক্ষা-সাহিত্য-সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কর্মকান্ড থেকে শিখে শিখে তৈরি হয়েছেন, নিজেকে তৈরি করেছেন নির্মল স্বচ্ছ ও সুন্দরের জন্য।
যাতে করে পরিবার বা গোষ্ঠির কোন ভুল এসে সমস্যা তৈরি করতে না পারে তাঁর ব্যক্তি জীবনে অথবা গবেষণা-রাজনীতির কোথাও কোন স্থানে। যে কারনে তিনি একাগ্র-অধ্যবসায়ী। বিজয়ী হওয়ার অদম্য বাসনা থেকে ক্রমশ সংসার-সন্তান আর আরামের রাস্তা থেকে সরে এসেছেন। আরামের-আয়েশের জীবন থেকে অবশ্য সেই কৈশোর পেরুনোর সাথে সাথেই তিনি দূরত্ব তৈরি করেছিলেন। একদিকে তাঁর বয়সীরা রাতদিন নিজেদের আনন্দ-উল্লাস নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেছে, অন্যদিকে কোন রকম আরাম আয়েশ তো দূরের কথা; তৈরি হয়েছেন ভোরের বাতাস আর আজানের ধ্বণি থেকে গভীর রাতের নিঝুমতা অবধি। আজো যে ধারাবাহিকতা তিনি অব্যহত রেখেছেন যোগ্যতর সহধর্মিনী থাকার কারনে। তিনি নিরবে বেয়েছেন প্রেমের রাজনৈতিক সাম্পানও।
যে সাম্পানের বৈঠা হাতে তার সাথে সাথে পাল তুলে দিয়ে আরো গতি বাড়িয়েছেন নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক আন্দোলন নতুনধারা বাংলাদেশ-এনডিবি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান প্রিন্সিপাল শান্তা ফারজানা। ২০০৭ সালের কথা। তখনো নতুনধারা বাংলাদেশ নামক কোন স্বপ্ন চোখের স্যালুলয়েডে এসে সমবেত হয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অবস্থায় রাজনৈতিক কালো অধ্যায়ের কারণে হল ছাড়তে হয় ছাত্র আন্দোলনের তৎকালিন প্রিয়মুখ মোমিন মেহেদীকে। সাংবাদিকতার পাশাপাশি স্বাধীনতার স্বপক্ষের রাজনৈতিক চেতনায় আন্তরিক ছিলেন একটি শীর্ষ ছাত্র  সংগঠনের শীর্ষ পদে। যে দায়িত্ব পালনে তিনি নির্ভিক ছিলেন, সেই দায়িত্ব পালনের জন্য তাকে করতে হয়েছে অসংখ্য নির্যাতন সহ্য। একদিকে পুলিশি নির্যাতন, অন্যদিকে যুদ্ধাপরাধীদের দোসর ছাত্র সংগঠন শিবিরসহ বিভিন্ন নিকৃষ্টতর রাজনৈতিক পাষন্ডদের কারনেও ক্যাম্পসের বাইরে আবাস গড়তে হয় তাকে।
এই সময়ে পরিচয় হয় ভিকারুননিসা নূন স্কুল থেকে এসএসসি ও সিটি কলেজ থেকে এ প্লাস পাওয়া মেধাবী শিক্ষার্থী শান্তা ফারজানার সাথে। আন্দোলন-সংগ্রামে মুগ্ধ হয়ে পাশে পাশে সবসময় আন্তরিক ছিলেন শান্তা। তাঁর সেই আন্তরিকতায় আরো দৃঢ়তর আন্তরিক হয়ে এগিয়ে আসেন নতুনধারার রাজনীতির স্বপ্নদ্রস্টা মোমিন মেহেদী। চলতে চলতে কথা বলতে বলতে তারা পৌছে যান জীবনময় আলোকিত দেশ-সমাজ ও মানুষের জন্য নিবেদিত থাকার সিদ্ধান্তে। দু’জনে মিলে সারাদেশে সাউন্ডবাংলা নামক শিক্ষা-সাহিত্য-সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনটির অসংখ্য কমিটি গঠন করেন। এসময় সাউন্ডবাংলা’র উপদেষ্টা ছিলেন তৎকালিন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। ২০০৮ ও ২০০৯-এ তারা কবি সৈয়দ শামসুল হক থেকে শুরু করে কবি শামসুর রাহমান, প্রত্যয় জসীম, রিফাত নিগার শাপলা, কবি সাইফুল ইসলাম চৌধুরীসহ পাঁচ শতাধিক কবি-সাহিত্যিকের বই প্রকাশ করেন।
পেশায় প্রকাশক-শিক্ষক বা শিল্প উদ্যেক্তা; যাই-ই হোন না কেন, নিজের রাজনৈতিক দর্শনের কারনে সততাকে করেছেন নিত্য সঙ্গী। এমন নীতির রাস্তায় অগ্রসর হওয়ায় আমরা গর্বিত, আনন্দিত। আমরা অ- নে-ক প্রবীণ রাজনীতিক দেখেছি, এবার দেখতে চাই নতুন প্রজন্মের রাজনীতিক নতুনধারার রাজনীতিক মোমিন মেহেদী ও তাঁর রাজনৈতিক দর্শনে নিবেদিত শত শত ত্যাগী রাজনীতিকের সুললিত আগামী। ব্যক্তি জীবনে তিনি নির্ভিক। আর তাই কোথাও তিনি কখনোই ভয় পান নি। বিএনপি-জামাত সরকারের সময়ে অকপটে লড়েছেন, গড়েছেন নিজস্ব স্বকিয়তা। যে কারনে অনেক পাষন্ড রাজনীতিকগণ নতুনধারার রাজনীতির বিরুদ্ধে ছড়ায় বিভিন্ন ধরনের কুৎসা। ‘সাহসে সামনে নিরন্তর থাকে বীর/ ভয়ে কাঁপে কাপুরুষ, নামিয়ে রাখে শির’ মোমিন মেহেদী লিখেছেন, তাই মোমিন মেহেদী-ই সাহসের সাথে সামনে যাচ্ছেন হাজারো বাঁধা অতিক্রম করে।
তিনি সাদেকপুর, রুকুন্দী, পাতারহাট, চাঁনপুর, কোটের হাট, উলানিয়া, চুনারচরসহ বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ করেছিলেন সৃজনশীল লেখকদের সম্মিলন। এই সম্মিলনে সেই সময়ে সমবেত হয়েছিলেন নাজমুল হুদা রানা, তারিক অনিকেত, কে এম জয়নাল আবেদীনসহ শতাধিক কবি-সাহিত্যিক-সাংবাদিক। বরিশালেও সেই কর্মকান্ডের জোয়ার চলতে থাকে। অভিনন্দন সাহিত্য সংসদ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেই সময়ে। তিনি দৈনিক দক্ষিণাঞ্চল-এ স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ শুরু করেন। মায়ের আদর বঞ্চিত মোমিন মেহেদী বড় বোন কবি আশা পেয়ারীকে হারান ১৯৯৭ সালে। তবুও তরী বাইতে হবে, খেয়া পাড়ে নিতে হবে বলেই হাল ছাড়েন নি। অনেক কাজের পাশাপাশি সকল মেধাকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে গেছেন। ২০০৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নের সুযোগ পান। ইচ্ছে ছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়ন করবেন, সেই ইচ্ছে পুরন হয় তবে ব্যাচলর অব ফাইন আর্ট-এ। তাতেই তিনি সন্তুষ্ট ছিলেন। বাঁধ সাধে ওয়ান ইলেভেন নামক কালো অধ্যায়। পড়ালেখায় বিঘ্ন ঘটায়। নিয়ে আসে অন্যায়ের রাজত্ব। সেই সময়ে আন্দোলন-সংগ্রামের সাহসমুখ হিসেবেও ব্যাপক পরিচিতি পান তিনি।
দুর্নীতিবাজ-সন্ত্রাসী আর চাঁদাবাজদের রাজনীতিক হয়ে ওঠা দেখে দেখে ক্লান্ত মোমিন মেহেদী দেশে স্বৈরাচারের রাজনৈতিক প্লাটফর্ম রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসলে তথাকথিত রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, বিভিন্ন হলে তিনি দিনের পর দিন নতুন প্রজন্ম, নতুনধারা নিয়ে শিক্ষার্থী অনুজদের সাথে যোগাযোগ করতে থাকেন। এই সময়ে তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে শত শত শিক্ষার্থী যোগ দেন নতুনতন্ত্রের রাজনৈতিক দর্শনের সাথে কাজ করার জন্য। বিশেষ করে সেই সময়ে তিনি পাশে পান রওশন কবির বিপুল, চন্দন সেনগুপ্ত সহ অসংখ্য মেধাবীকে। যাদের দ্বারা আত্মপ্রকাশের পথে প্রত্যয়ের সাথে এগিয়ে যায় আজকের নতুনধারা বাংলাদেশ-এনডিবি।
এই এগিয়ে চলা চালের দাম বাড়লে ট্রাক মিছিল করে প্রতিবাদ জানায়, ডেঙ্গু ছড়ালে মশারি মিছিল করে সমাধান চায়, শিক্ষাক্ষেত্রে ভ্যাট বসালে লংমার্চ করে। গত ৭ বছর যেমন নতুনধারার রাজনীতির প্রবর্তক কলামিস্ট মোমিন মেহেদী নতুনধারাকে জনগনের দুয়ারে দুয়ারে নিয়ে গেছেন, আগামী ৭০ বছরের রাজনীতিতে নতুনধারা হবে বাংলাদেশ থা বিশ্ববাসীর ভালবাসার রাজনৈতিক ধারা। মোমিন মেহেদী হবে বিশ্বময় আলো আর ভালোর উধাহরণ। ২৮ আগস্ট, ৩৪ তম জন্মদিনে এটাই একজন শিক্ষক হিসেবে বরাবরের প্রত্যাাশা। বিজয় বাংলাদেশ। বিজয় নতুনধারা…
একরামুল হক গাজী লিটন : প্রেসিডিয়াম মেম্বার, নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবি

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সাইবার প্লানেট বিডি