স্টাফ রিপোর্টার ঃ ক্রাইমজোন সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে হত্যা মামলা সহ বিভিন্ন অপরাধের ফৌজদারী মামলার আসামীরা পলাতক থেকে আওয়ামী লীগের দোসররা সংঘঠিত হচ্ছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। আওয়ামী লীগের দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করছে। যারফলে পলাতক আওয়ামী সন্ত্রাসীরা স্থানীয় নামধারী বিএনপি নেতাদের ছত্র ছায়ায় এলাকায় ভিরছে বলে অভিযোগের সুরে জানা যায়।
এলাকাবাসী জানায়, আওয়ামী সরকারের পতনের পর পলাতক লীগের সন্ত্রাসীরা গোদনাইলের ধীরে ধীরে ফিরে সক্রিয় হয়ে উঠছে এবং আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে। তার মধ্যে শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহ নিজামের সহযোগী পাঠানটুলী আইলপাড়া এলাকার ভূমিদস্যু সন্ত্রাসী শাহজাহান, মাদক কারবারী শহিদুল্লাহ, নতুন আইলপাড়া এলাকার অস্ত্র ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন দেলু, কৃষক লীগের সেক্রেটারি মামলাবাজ ইয়াসিন, আজমীর ওসমানের সহযোগি মুরাদ হোসেন বারিশ, নিষিদ্ধ ছাত্র লীগের সন্ত্রাসী যমজ দুই ভাই রাজিব-সজিব, ফেনসিডিল বিক্রেতা সাইদুল, পুরাতন আইলপাড়া এলাকার আব্দুর রহমান সেন্টু, এনায়েত নগর এলাকার পুষন, তাঁতখানা এলাকার স্বেচ্ছাসেবক লীগের আক্তার, শামীম ওসমানের দোসর ভূইয়াপাড়া এলাকার ত্রাস মহসিন ভূইয়া, সহ বিভিন্ন এলাকার ছিচকে ও পাতি নেতাসহ ভূমিদস্যু, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য এবং মাদক কারবারীরা বর্তমান সময়ে প্রকাশ্যে আসার চেষ্টা করছে এবং অরাজকতা সৃষ্টি করে বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নসহ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের জাল বুনে সংঘঠিত হচ্ছে।
অথচ উল্লেখিত অপরাধীরা বৈষম্যবিরোধী হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক মামলার এজাহারভুক্ত আসামী। হত্যা মামলার আসামীরা পুলিশের নাকের ডগায় ঘোরাফেরা করছে আর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিস্ক্রিয়তায় যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার আশংকা রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে গোদনাইল ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির কতিপয় নেতাদের ছত্র ছায়ায় এবং আর্থিক আতাতের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের পলাতক নেতা কর্মীরা ধীরে ধীরে এলাকায় দু’একদিন পর পরই আসা-যাওয়া করছে এবং সরকার বিরোধী গোপন বৈঠক করছে। বর্তমানে গোদনাইল এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, মাদক কেনাবেচা ও ভূমিদস্যুতা বেড়ে গেছে। তাছাড়া চাঁদাবাজিতো হরহামেশাই চলছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় এলাকার মানুষজন শংকিত ও আতংকিত রয়েছে। তার মধ্যে চলছে পুলিশের সামারি ও মামলা বাণিজ্য। অথচ আসামী ধরার কোন পদক্ষেপই নেই। এমতাবস্থায় জেলা প্রশাসন ও সেনা বাহিনীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সচেতন মহল।