চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:-চট্টগ্রামের পটিয়ায় এক গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণ, গোপনে ভিডিও ধারণ ও তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে আবুল মনছুর (৩৯) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পটিয়া থানার পুলিশ। শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃত আবুল মনছুর নগরীর চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানার ছিদ্দিক কলোনির বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন এক ভুক্তভোগী গৃহবধূ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পটিয়া পৌরসভার ওয়াবদা রোড এলাকায় প্রবাসী স্বামীর অনুপস্থিতিতে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন ওই গৃহবধূ। স্বামীর একটি আইনি বিষয়ে সহযোগিতার সূত্র ধরে পরিচয় হয় আবুল মনছুরের সঙ্গে।এরপর ২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারি দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে গৃহবধূর বাসায় গিয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে মনছুর। ধর্ষণের সময় গোপনে মোবাইলে আপত্তিকর ভিডিও এবং স্থিরচিত্র ধারণ করে রাখেন মনসুর। এরপর ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ওই নারীকে ব্ল্যাকমেইল করে এবং একাধিকবার ধর্ষণ করার অভিযোগ তুলেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ। এজাহারে আরও উল্লেখ করেন, ২০২২ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময় নগরীর বাকলিয়া থানার ছিদ্দিক কলোনির একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে গিয়ে ওই গৃহবধূকে একাধিকবার জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
প্রতিবারই সে নতুন করে ভিডিও ধারণ করে সেগুলো ব্যবহার করে ভুক্তভোগীকে হুমকি ও মানসিক চাপ সৃষ্টি করে রাখত। সম্প্রতি অভিযুক্ত ব্যক্তি গোপনে ধারণ করা আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যদের কাছে পাঠিয়ে দেন। পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরুজ্জামান জানান, ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফির অভিযোগ এনে গতকাল ভুক্তভোগী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এর পর পর মামলাটি গুরুত্বসহকারে নিয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। পরে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল, তাই যথাযথ তদন্ত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ও উক্ত গৃহবধুর ভাইকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করে মনসুর, গৃহবধূর পরিবার মনসুরের বিভিন্ন হুমকি ধামকি ভয়ভীতি প্রদর্শনের কারণে তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ তুলে ভুক্তভোগী গৃহবধূ ও তার পরিবার।