আজ ৩১ শে অক্টোবর শুক্রবার, বাঙ্গালীদের বড় উৎসব দুর্গা পুজো ও কালীপুজো, তাহার সাথে সাথে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোকে টেক্কা দিতে, কলকাতাতেও বেড়ে চলেছে জগদ্ধাত্রী পুজো। চন্দননগরের মত আলোকসজ্জাকে পাল্লা দিতে কলকাতাতেও আলোকসজ্জা মানুষের মন কেড়েছে। একটা একটা করে কলকাতায় বহু জগদ্ধাত্রী পুজো বেড়েছে, এমন কি অনেক বাড়িতেও নতুন করে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু করেছে। এমনটাই দেখা যাচ্ছে, কুমারটুলির মৃৎ শিল্পীরা সেই রকমই জানালেন।
জগদ্ধাত্রী পুজো ও আলোকসজ্জা মানেই চন্দননগর, কলকাতায় যেমন দুর্গা পুজো দেখার জন্য বিভিন্ন জেলা থেকে ভিড় করে দর্শনার্থী, চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো দেখার জন্য ভীর যমান চন্দননগরে, চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোয় আলোক শিল্পীদের নিত্য নতুন আলোর বাহার দেখা যায় , তাহাদের আলোর বাহার জগদ্ধাত্রী পুজো দিয়ে শুরু হয়। আর চন্দননগরের পুজো দেখতে দূর দূরান্ত থেকে দর্শনার্থী ভিড় জমায়, প্রতিমা গুলিও হয় দেখার মতো, যাহা ঘাড় উঁচু করে প্রতিমাগুলিকে দেখতে হয়, এতটাই বিশাল বিশাল আকারের হয়, অনেক দর্শনার্থী এই কটা দিন জগদ্ধাত্রী পুজো দেখার জন্য চন্দননগরে রয়ে যান, কারণ চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী প্রতিমার ভাসান মানুষের মন কাড়ে, সারা রাস্তায় চলে procession , প্রশাসনের নির্দেশ মতো এবং পৌরসভার নির্দেশ মতো তারা একে একে প্রতিমাকে বিসর্জন দেন। কয়েক হাজার মানুষ ঘাটে ঘাটে ভিড় করে জগদ্ধাত্রী প্রতিমা বিসর্জন দেখার জন্য।
তেমনি কলকাতাতেও আগে এতটা জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন ছিল না, মাঝে মাঝে দেখা যেতো, কিন্তু এই কয়েক বছর যাবত বহু জগদ্ধাত্রী পুজো বেড়েছে, শুধু তাই নয়, দর্শনার্থীদের মন কারতে, চন্দননগরের মতো আলোকসজ্জা ও বড় বড় প্রতিমা তৈরি করছেন, শুধু তাই নয় ভাবনা ও থিমের মধ্য দিয়েও কোন অংশে কম না, এমনটাই দেখা গেল বেশ কয়েকটি ক্লাবের পূজোতে, যেখানে দর্শনার্থীরা ভিড় জমাচ্ছেন, তবে আশা করা যায় আগামী দিনে আরও বেশি জগদ্ধাত্রী পুজো বাড়বে,
তবে জগদ্ধাত্রী পুজো দুর্গা পূজার নিয়মে চন্দননগরে পূজিত হয়, কিন্তু কলকাতায় কেউ দুর্গা পুজোর নিয়মে পুজো করেন চার দিন ধরে, আবার কেউ দুইদিন পুজো করেন। এমনটাই দেখা যায়। প্রত্যেকটি ক্লাবে শোনা যায় দর্শনার্থীদের উদ্দেশ্যে জগদ্ধাত্রী পূজোর প্রীতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।