 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    চুনাটুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি। চুনারুঘাটে  ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের ঘটনায় মামলা দায়েরের ৫ মাসেও গ্রেফতার হয়নি কনটেন্ট ক্রিয়েটর দম্পতি মুক্তা ও ইব্রাহিম। উচ্চ আদালতও তাদেরকে জামিন দেননি। এরপরও তারা দিব্যি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং আবার ভিডিও তৈরি করছে। এতে করে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মুক্তা-ইব্রাহিমকে গ্রেফতার না করার রহস্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষ।
তাদের বিরুদ্ধে পবিত্র কোরআনের সূরা ফাতেহা নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক কনটেন্ট বানানোর অভিযোগ ছিলো। এ ঘটনায় ধর্মপ্রাণ মানুষদের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলে নিন্দার ঝড়।
উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ইকরতলি গ্রামের বাসিন্দা এই দম্পতির গ্রেফতার না হওয়া নিয়ে চলছে সমালোচনা। পাঙ্গাস মুক্তা নামে পরিচিত এই নারী বিগত উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জামানত হারিয়ে ছিলেন। তার স্বামী ইব্রাহিম একসময় কাঠমিস্ত্রির কাজ করলেও এখন কনটেন্ট বানিয়ে হয়েছেন বিত্তবান। গত ১৫ জুলাই তাদের বিরুদ্ধে সেলিম আহমেদ নামের এক আইনজীবী বাদি হয়ে আদালতে মামলা করেন। মামলাটি আদালত সদর মডেল থানাকে রুজু করার নির্দেশ দেয়। তদন্তের দায়িত্ব পান থানার এসআই আওলাদ হোসেন। তারা অনেকদিন পালিয়ে থাকার পর অবশেষে উচ্চ আদালতে জামিনের জন্য গেলে আদালত তা নাকচ করেন।
কিন্তু এরপর থেকে বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যাওয়ায় তারা আবারও চুনারুঘাট উপজেলায় নিজ বাড়িতে ফিরে আসে এবং আগের মতো কনটেন্ট ক্রিয়েট করছে। গত কয়েকদিন ধরে তারা উপজেলার সর্বত্র প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে। লোকমুখে তারা প্রচার করছেন প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই ঘুরাফেরা করছেন। এদিকে সচেতন মহল প্রশ্ন তুলেছেন তাদের অপরাধ আমলে নিয়ে হাইকোর্টও জামিন দেননি, অথচ পুলিশ এ বিষয়টিকে গুরুত্ব না দেয়ায় তারা প্রকাশ্যে ঘুরাফেরার সুযোগ পাচ্ছে।