★ নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ২৭ নং ওয়ার্ড শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে অবস্থিত হরিপুর পাওয়ার প্লান্টের মধ্যে স্ক্রাবের বৈদ্যুতিক তারের ভেতরে তামার মোটা অংশ দখল করতে গিয়ে ২৯ জুন রবিবার দুপুরে ডন বজলুর ও তার বাহিনীর হাতে মারধরের শিকার হন বন্দর উপজেলার সাবেক দুই বারের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল।
এদিকে আতাউর রহমান মুকুল দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির বহিস্কৃত নেতা ও সেলিম-শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে ডন বজলু কাচপুর বিএনপির সভাপতি ছিলেন এবং উক্ত ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচনও করেছিলেন।
ডন বজলুর ইতিহাস খুবই দীর্ঘ। অনেকের মুখে শোনা যায় তিনি কাচপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার ত্রাশের রাজত্বের কাহিনী শুনলে বাচ্চারা পেন্টে হিশু করে দিতো, মায়েরা তার দুষ্ট সন্তানদের ডন বজলু আসছে এমন ভয় দেখিয়ে রাতে ঘুম পাড়াতো।
সেই ডন বজলুর সাথে তামার তার দখল নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে খেশারত দিলেন আতাউর রহমান মুকুল। তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে বিবস্ত্র ও মারধরের শিকার হলেন তিনি। জানা যায় এই তামার তার নাকি স্বর্ণের মতই মূল্যবান। বৈদ্যুতিক তার থেকে কয়েকশ কেজি তামার মোটা অংশ সরিয়ে নিতে পারলে চোরাই মার্কেটে এই তামা উচ্চ দামে বিক্রি করা যায়। সেই লোভ সামলাতে না পেরে দুজনে জড়িয়ে পড়লেন দ্বন্দ্বে।
উল্লেখ্য যে, আওয়ামী দুঃশাসনের আমলে এই বৈদ্যুতিকেন্দ্র থেকে তার সরিয়ে নিতেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও আওয়ামীলীগ নেতা আলাউদ্দিন। ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর বন্দর, মদনপুর, কাচপুরের লোভী নেতাদের চোখ পড়ে সেই তামার তারের উপর।