স্টাফ রিপোর্টারঃ- বর্তমানে সারাদেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জের বন্দরেও চুরি ছিনতাই বেড়ে গেছে। মাদকের কারণে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপত্তি এবং মাদকসেবীদের উৎপাত আশংকাজনক হারে বাড়ছে। আর এ ধরনের অপরাধের সাথে উতোপ্রতোভাবে জড়িত বন্দর থানাধীন বাগবাড়ি এলাকার একাধিক মামলার আসামী মাদকাসেবী আলমগীর। বখাটে ছিনতাইকারী আলমগীরকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী। জানা যায়, বন্দর থানা এলাকায় ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে সম্পূরক আসামী আলমগীর প্রধান প্রকাশ্যেই ঘোরাফেরা করছে। মামলাটি বন্দর থানা থেকে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে এবং ব্যবস্থা নিতে সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও বিদেশে নেওয়ার কথা বলে এক হতদরিদ্র পরিবারের কাছ থেকে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বন্দর থানায় নন প্রসিকিউশন মামলা রুজু হয়। মামলাটি নারায়ণগঞ্জ আদালতে বিচরাধীন রয়েছে। জালকুড়ি এলাকায় এক ব্যবসায়ীকে মারধর করে ১৭ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের হয় সম্প্রতি, কিন্তু দেড় মাসেও গ্রেফতার নেই আসামী আলমগীর, আরো জানা যায়, হত্যা চেষ্টার অভিযোগে গুরুতর আহত করায় ফতুল্লা থানায় আলমগীরের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, বাগবাড়ি এলাকার আবুল প্রধানের মাদকাসক্ত কুলাঙ্গার ছেলে আলমগীর প্রধান দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত থেকে মানুষের ক্ষয় ক্ষতি করছে, কিন্তু পুলিশ প্রশাসন এই অপরাধিকে গ্রেফতার না করায় ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশে নারায়ণগঞ্জের ডিসি ও এসপির কাছে কয়েকজন লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আলমগীর ও তার পরিবারের সদস্যরা চিহ্নিত প্রতারক চক্র এবং মামলাবাজ হিসেবে পরিচিত। মানুষদের ব্ল্যাকমেইল করার জন্য বিভিন্ন সময় মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন নাটক সাজিয়ে থানায় ও আদালতে মামলা দায়ের করে ফায়দা লুটার চেষ্টা করে, বিশেষ করে প্রতারক আলমগীরের রয়েছে একটি ব্ল্যাকমেইলার নারীচক্র, তবে আলমগীরের বোনসহ আত্মীয়-স্বজনের কয়েকজন নারী সদস্য বিভিন্ন মানুষকে নানা ভাবে হয়রানী করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে, বাগবাড়ি এলাকার আতংক ও অভিশাপ হিসেবে আলমগীরের পরিবারের প্রতি মানুষের ঘৃনা বাড়ছে, এলাকাবাসী জানায় ছিনতাইকারী আলমগীর ও তার খারাপ পরিবারকে জুতাপেটা করলেও এরা শোধরাবেনা। বর্তমানে প্রতারক ও মাদকসেবী আলমগীর সহ তার বাহিনীর বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা ও অভিযোগসহ জিডি রয়েছে। এ ব্যপারে আলমগীরকে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য পুলিশ বাহিনীসহ ডেভিল হান্টের জরুরী অভিযান প্রয়োজন বলে সচেতন মহল মনে করছে।