নিজস্ব প্রতিবেদক: কক্সবাজারে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প জামতলি বাজার থেকে গত ১৪ এপ্রিল জুনায়েদ নামে এক রোহিঙ্গাকে অপহরণের পর তাকে নিয়ে যাওয়া হয়! হোয়াইক্যং কেরুনতলী এলাকায়, এরপর কল দিয় মুক্তিপণ দাবি করে পাঁচ লক্ষ টাকা/টাকা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হু*ম*কি দেন অপহরণকারীরা। তাকে মারধর করে বিভিন্ন মিথ্যা ভিত্তিহীন ভিডিও নেন তারা -এর দশমিনিট পর আবারো কল দিয় ভুক্তভোগী জুনায়েদের শালা রহমত উল্লাহ কে আপাতত ২০ হাজার টাকা দিতে বলে, পরে ঐ বিকাশ নাম্বারে ২০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেয়। এরপর জামতলী এলাকায় অপহরণের বিষয়টা জানা-জানি হলে নাম প্রকাশ হয় আবু নাছেরের নেতৃত্বে এই অপহরণ হয় বলে । পরে জামতলী থেকে ইউপি সদস্য মুফিজ মেম্বার সহ তিনজন লোক গিয়ে কেরুনতলী থেকে অপহরণ হওয়া জুনায়েদকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে / তখন এলাকায় জানাজানি হলে স্হানীয় অসাধু এক জনপ্রতিনিধি মুক্তিপণের ২০ হাজার টাকা ফেরত দেবে বলে জানান /ঘটনার দুইদিন পর (১৬ এপ্রিল) টাকা ফেরত দিলেও তার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি ফেরত দেয়নি বলে জানান ভুক্তভোগী। অনুসন্ধানে জানা যায়, ছিনতাই, অপহরণ, একের পর এক ঘটনা ঘটিয়েছে এই গ্যাংস্টার। স্হানীয় এক ব্যক্তি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলেন গত (১৭ মার্চ) বেলালের নেতৃত্বে একটি সিএনজি থেকে দুই লক্ষ টাকার কাপড় ছিনতাই করেছিলো, ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পায় না। স্হানীয়দের দাবি এ-ই গ্যাংস্টারদের আটক করলে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে! গোপন সূত্রে জানা যায় তাদের এইসব অপকর্মের শেল্টার দেন এলাকার প্রভাবশালী প্রতিনিধি।
ভুক্তভোগীর বক্তব্যে জানা যায় গ্যাংস্টার এর প্রধান: আবু নাছের (২৮) পিতা: মৌলভী জাফর আলম ২/ বেলাল উদ্দিন (২৫) পিতা : দানু মিয়া চৌধুরী ৩/ মহিউদ্দিন ড্রাইভার (২৭) পিতা: ফরিদ আলম ৪/ সাদেক হোসেন (২৫) পিতা : নুরুল ইসলাম, আমাকে অপহরণ করে কেরুনতলি নিয়ে একটি ঘরে আটকে রেখে ওখানে আমাকে মারধর করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে, পরে আমার শশুর বাড়িতে ফোন দিলে তারা ২০ হাজার টাকা জোগাড় করে একটি বিকাশ নাম্বারে পাঠিয়ে দেয়! এই বিষয় নিয়ে মুখ খুললে আমাকে আবারও অপহরণ করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। কিছুক্ষণ পরপরে পালংখালি ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মফিদুল আলম সিকদার ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জয়নাল উদ্দিন ও শাহ আলম চৌকিদার গিয়ে ওখান থেকে আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
এই বিষয়টি নিয়ে পালংখালি ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মফিদুল আলম মেম্বারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন অপহরণের বিষয়টি সত্য তবে অপহরণ হওয়া রোহিঙ্গা ছেলে মামলা না করলে আমাদের তো আর কিছু করার নেই।
অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তি আবু নাছিরের, সাথে মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টির মধ্যে আমি জড়িত ছিলাম না- তবে মুক্তিপণের ২০ হাজার টাকা অভিযুক্ত মহিউদ্দিনের বিকাশে নেওয়া হয়েছিলো , মহিউদ্দিন,বেলাল, সাদেকর,সাথে একাধিকবার চেষ্টা করার পরেও তাদের ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্যে নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে বেলাল উদ্দিনের পিতা দানু মিয়া চৌধুরী’র মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয় তিনি বলেন, আমার ছেলে এই অপহরণে জড়িত এই কথা জানার পর আমি তাদের মুক্তিপণের টাকা মুফিদুল আলম মেম্বারের সামনে ফেরত দিয়েছি।