1. [email protected] : Gk Russel : Gk Russel
  2. [email protected] : Nazrul Islam : Nazrul Islam
  3. [email protected] : pbangladesh :
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০২:৪১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
কলাপাড়ায় প্রতিমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পথচারীদের মাঝে বিনামূল্যে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এসেছে মৃত ইরাবতী ডলফিন সিদ্ধিরগঞ্জ নাসিক ৮ নং ওয়ার্ডে পেশিশক্তির দাপটে সরকারী জমিতে পাকা স্থাপনা তৈরির পায়তারা, কতৃপক্ষের নজরদারি প্রয়োজন কুড়িগ্রামে মাদক বিরোধী অভিযানে বাধা, ইউপি সদস্যসহ গ্রেফতার ২ কলাগাছিয়া ৯ নং ওয়ার্ডে এম এ রশিদের নির্বাচনী উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল বানিয়ার ছড়া সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত, আহত ১৫ বজ্রপাতে ৫ জেলায় এক শিক্ষার্থীসহ প্রাণ গেল ১১ জনের শার্শা উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সোহরাবের পথসভায় অনুষ্ঠিত শ্রীপুর পরিবহন শ্রমিকদের মাঝে খাবার পানি ও গ্লুকোজ বিতরণ

জামায়াতও ধোঁকা দিলো বিএনপিকে

সংবাদদাতা :
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৪১ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সামনে আরও যে দুটি তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে সেখানে স্বাধীনতাবিরোধী এই রাজনৈতিক দলটির আরও ৬৩ জন প্রার্থী হতে চলেছেন। দলের পক্ষ থেকে তাদেরকে সবুজ সঙ্কেতও দেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছে, বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের এটি প্রতারণা। তবে কোন কোন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলছেন, বিএনপিকে কাছে পেতে এবং বিএনপির সঙ্গে থাকার জন্য জামায়াত ইচ্ছা করে এই ধরণের কৌশল নিয়েছে। যেহেতু জামায়াতের কোন রাজনৈতিক নিবন্ধন নেই এবং তারা দলীয় প্রতীক ব্যবহার করতে পারে না, কাজেই কারা জামায়াতের, কারা হেফাজতে ইসলামের এটি বোঝা দুষ্কর। তা ছাড়া জামায়াতের নেতারা যেহেতু তেমনটা পরিচিত নয় তারা অনেকটা আন্ডারগ্রাউন্ডের মতো করে কাজ করেন, সে কারণে অনেকেই জামায়াতের নেতাদেরকে চেনে না। তারা বিভিন্ন ইসলামিক দাওয়াত, ইসলামী শিক্ষা ইত্যাদি আলোকে এখন জামায়াতের রাজনীতি অনেকটা গোপনেই প্রচার করছে। এ কারণে কারা জামায়াতের রকন, কারা সাথী বা কারা বড় নেতা এটা সাধারণভাবে বোঝার উপায় নেই। তবে স্থানীয় পর্যায়ে যারা রাজনীতি করেন তারা জামায়াতের নেতাদেরকে চেনেন এবং তাদের সাথে তাদের ওঠা বসা হয়েছে। বিএনপি যখন নির্বাচন বর্জনের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তখন জামায়াতও ঘোষণা করেছে যে, তারা এই নির্বাচনে দাঁড়াবে না এবং যারা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন তাদেরকে সরে আসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত জামায়াতের প্রার্থীদের কেউই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। আগামী ২২ এপ্রিল প্রথম পর্যায়ে উপজেলা নির্বাচনগুলোতে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। জামায়াতের বিভিন্ন সূত্র বলছে, এই সময়ে তারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবেন না। বিএনপির নেতারা এখন মনোনয়ন টিকিয়ে রাখার জন্য এবং নির্বাচন করার জন্য তাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে দেন দরবার করছেন। এই সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে বোঝাচ্ছেন যে, জামায়াতও নির্বাচন বর্জন করেছে। কিন্তু বিএনপির স্থানীয় নেতারা বলছেন, জামায়াত নির্বাচন বর্জন করেনি। বরং জামায়াত নির্বাচনের মাঠে আছে। বিভিন্ন সূত্র বলছে, প্রকাশ্য জামায়াত নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে কৌশলগত কারণে। কিন্তু ভেতরে ভেতরে যে সমস্ত উপজেলাগুলো তারা শক্তিশালী সেখানে তারা প্রার্থিতা ঘোষণা করেছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী সহ অন্তত ১২টি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় জামায়াত ইতোমধ্যে তাদের প্রার্থীদেরকে নিয়ে মাঠে আসছে। বিভিন্ন মহল মনে করেন যে, একাধিক কৌশলগত কারণে জামায়াত তাদের পরিচয় গোপন করে নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। প্রথমত, জামায়াত মনে করছে, যদি সরকারের দিক থেকে জানাজানি হয় যে, জামায়াত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সংশ্লিষ্টরা জামায়াতের প্রার্থীকে প্রতিহত করার জন্য সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তাদের বিরুদ্ধে আবার হয়রানি গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে। এ কারণে জামায়াত নির্বাচনের প্রার্থিতার কথা প্রকাশ করছে না। দ্বিতীয়ত, বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য জামায়াত বাইরে থেকে বলছে যে, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না। তৃতীয়ত, জামায়াত তার সাংগঠনিক শক্তি কতটুকু, তাদের কর্মী সমর্থকদের অবস্থান কী তা যাচাইয়ের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে উপজেলা নির্বাচন। এটি তাদের অভ্যন্তরীণ সাংগঠনিক কর্ম তৎপরতা হিসেবে বিবেচনা করছে। আর এ কারণে জামায়াত তাদের নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়টি প্রকাশ করছে না। তবে বিএনপির মাঠের নেতারা বলছেন, এটি জামায়াতের আরেকটি প্রতারণা এবং বিশ্বাসঘাতকতা। জামায়াত যে বিভিন্ন সময় প্রতারণা করে এটি তার প্রমাণ। বিএনপির নেতারা আরও বলছেন, ১৯৯১ সালের নির্বাচনের পরও জামায়াত বিএনপির সঙ্গে একই ধরনের প্রতারণা করেছিল। বিএনপিকে সরকার গঠনের সমর্থন দেওয়ার পর জামায়াত আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঐক্য করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার আন্দোলন করেছিল। এখন জামায়াত সেই প্রতারণার আরেক রূপ প্রকাশ করছে। এই উপজেলা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তারা একদিকে যেমন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ট হওয়ার চেষ্টা করছে অন্যদিকে নিজেদের সংগঠনকে গুছিয়ে নিচ্ছে।’

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:০৭
  • ১১:৫৯
  • ৪:৩১
  • ৬:৩১
  • ৭:৫০
  • ৫:২৪
শিক্ষা তথ্য পত্রিকার কোন লেখা, ছবি বা ভিডিও কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সাইবার প্লানেট বিডি