নার্গিস আক্তার স্মৃতিঃ বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, আগামী রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের ৬১তম জন্মবার্ষিকী এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় গাজীপুর-৬ আসনের জনপ্রিয় নেতা ও টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সভাপতি সরকার জাবেদ আহমেদ সুমন এর উদ্যোগে টঙ্গী ও গাছা এলাকার চারটি ওয়ার্ডের বিভিন্ন মাদ্রাসার এতিম ও অসহায় শিশুদের মাঝে কম্বল ও খাবার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় আমজাদ আলী সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ মাঠে, আরিচপুর, টঙ্গী। সরকার জাবেদ আহমেদ সুমন সভাপতি, টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপি; সম্ভাব্য প্রার্থী, গাজীপুর-৬।

ইসমাইল হোসেন রানা সিনিয়র সহ-সভাপতি, টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপি, আকবর হোসেন প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক, গাজীপুর মহানগর বিএনপি, গাজী ওসমান, সভাপতি, ৫৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি, মোহাম্মদ আমিন, সাধারণ সম্পাদক, ৪৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদল, সিরাজুল ইসলাম সাথী, সদস্য সচিব, টঙ্গী পূর্ব থানা স্বেচ্ছাসেবক দল, মফাজ্জল উদ্দিন সরকার বিজয়, নেতা, গাজীপুর মহানগর যুবদল, মামুন, সাধারণ সম্পাদক, ৫৬ নং ওয়ার্ড যুবদল, নিরব, সাবেক সদস্য সচিব, যুবদল, রাজীব বিন শহীদ রিগান, নেতা, গাজীপুর মহানগর ইউনিট যুবদল, তিন থানার বিএনপির নেতাকর্মীরা, ধর্মীয় ও উপদেষ্টা মহল। মাওলানা শরাফ আলী, প্রধান অতিথির বিশেষ শুভেচ্ছা বক্তা।
স্থানীয় আলেম-ওলামা, মাদ্রাসার শিক্ষক ও অভিভাবকবৃন্দ। প্রধান অতিথির আবেগঘন বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমাদের নেতার নির্দেশনা ছিল, জন্মদিনে উল্লাস নয়, মানবিক সেবা। তাই আজ আমরা টঙ্গী পূর্ব, টঙ্গী পশ্চিম ও গাছা থানার মাদ্রাসার হাজারো শিশুকে একত্র করেছি। শীত যেন তাদের কষ্ট না দেয়, এজন্য সামর্থ্য অনুযায়ী কম্বল, খাবার ও উপহার প্রদান করছি।” তিনি আরও বলেন, “দেশনায়ক তারেক রহমান যেন দেশে ফিরে এসে জাতিকে নেতৃত্ব দিতে পারেন। এই কামনাই আমাদের সবার। যেমন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দেশকে হাল ধরেছিলেন, এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিলেন। আমরাও সেই পথেই চলছি।” নির্বাচনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “১৮ কোটি মানুষ সুষ্ঠু নির্বাচনের অপেক্ষায়।
আমরা আলেম-ওলামা ও গণমানুষের কাছে দোয়া চাই। যেন আমরা দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে সফল হই।” ধর্মীয় পরিবেশে কোরআন তেলাওয়াত ও মোনাজাত, অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সূচনা হয় এবং পরে মোনাজাতে দোয়া করা হয়, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য। দেশনায়ক তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য দেশের শান্তি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য সব এতিম ও অসহায় শিশুদের ভবিষ্যৎ মঙ্গল কামনায় মোনাজাতে সবার চোখে ছিল গভীর আবেগ ও আশার আলো। তিন থানার মাদ্রাসাগুলো থেকে আসা শত শত শিশুদের হাতে শীতবস্ত্র, খাবার ও উপহার তুলে দিয়ে মানবিকতার বিরল দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করা হয়। শিশুদের মুখের হাসি, নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা এবং ধর্মীয় আবহ পুরো অনুষ্ঠানটিকে পরিণত করেছে এক মহতী মানবিক প্ল্যাটফর্মে।