গত ৩০ এপ্রিল কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক দৈনন্দিন পত্রিকা, ঢাকা থেকে প্রকাশিত নয়া শতাব্দী পত্রিকার অনলাইন ভার্সন সহ সময়ের কণ্ঠস্বর নিউজ পোর্টালে “টাকা পেলে বনের জমিতে সবকিছুর বৈধতা দেন বিট কর্মকর্তা বেলাল। শিরোনামের প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত ঘটনায় আমাকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ করে অপপ্রচার করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমি উক্ত মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিট কর্মকর্তা বেলাল হোসেন বলেন, কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের মোছারখোলা বন বিটে যোগদানের পর দেশের বনভূমি সম্পদ ও বন্যপ্রাণী রক্ষা করতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে কোন সময় গাফিলতি বা পিছপা হয়নি। ভবিষ্যতেও বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করে যাবো। তিনি আরও বলেন, নিজের দায়িত্বের অংশ হিসেবে পাহাড় খেকো, বালু খেকো, গাছ চোর, বনভূমি দখলকারী, বনভূমিতে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে বন আইনে অসংখ্য মামলা দিয়েছি। বিভিন্ন সময় বনভূমিতে অবৈধভাবে স্থাপিত স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের পয়েন্ট বন্ধ করে দিয়েছি। পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে পাহাড় কাটা বন্ধ করে মাটি পাচারে জড়িত ডাম্পার জব্দ করেছি। বন অপরাধীদের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান শক্ত হওয়াতে অপরাধীরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বন অপরাধীরা তাদের অবৈধ কার্যক্রমে ব্যর্থ হয়ে আমার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। তারা সাংবাদিক ভাইদের ভুল তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে পত্রিকায় মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করিয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রকাশিত মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদে আমার উর্ধ্বতন কর্মকতা ও আমি- আমার কর্তৃপক্ষ প্রশাসনসহ কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। পাশাপাশি সাংবাদিক ভাইদের তথ্য বহুল সংবাদ প্রকাশের আহবান জানাচ্ছি
প্রতিবাদকারী
মোহাম্মদ বেলাল হোসেন
বিট কর্মকর্তা মোছারখোলা বিট, উখিয়া রেঞ্জ-কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগ।