কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি। পটুয়াখালীর সাগর কন্যা কুয়াকাটা যেখানে দাঁড়িয়ে একইসাথে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়। প্রকৃতির মনোরম দৃশ্য দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ভ্রমণ পিপাসুরা ছুটে আসেন এখানে। দীর্ঘ কয়েক সপ্তাহ পর্যটক শূন্য থাকায় ঈদুল আযহার টানা ১০ দিনের ছুটিতে এ যেন প্রাণ ফিরেছে কুয়াকাটায়। আশানুরূপ পর্যটক থাকায় উচ্ছ্বসিত পর্যটন ব্যবসায়ীরা। আগত পর্যটকরা স্নিগ্ধ সৈকতে আনন্দ উল্লাসে মেতেছেন। অনেকে সমুদ্রের নোনা জলে গাঁ ভাসিয়ে হই হুল্লোরে মেতেছেন। অনেকে প্রিয়জনকে নিয়ে সেলফি তুলে স্মৃতির পাতায় রেখে দিচ্ছেন। অনেকে সৈকতের বিভিন্ন বাহনে চরে একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত ঘুরে দেখছেন।
কেউবা আবার বেঞ্চিতে বসে সমুদ্রের তীড়ে আছরে পড়া ঢেউ সহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন।কেউবা আবার স্পিডবোট ও ঘোড়ায় চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মোটকথা সৈকতে বিরাজ করছে ঈদ উৎসবের আমেজ। এদিকে গঙ্গামতি, লেম্বুর বন, ঝাউবন ও শুটকি পল্লীসহ সকল পর্যটন স্পটে রয়েছে পর্যটকদের উচ্ছাসিত উপস্থিতি। আগতদের ভীড়ে বিক্রি বেড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। ৫০ শতাংশ বুকিং রয়েছে অধিকাংশ হোটেল মোটেল। নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিষ্ট পুলিশ, থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশের সদস্যরা। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও রয়েছে সৈকত এলাকায়।
সোমবার (৮ জুন) ঈদের ৩য় দিনে সরেজমিনে দেখা যায়, পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে ১৮ কিলোমিটারের দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত। ঈদের দিন বিকেল থেকেই সৈকতে এ সকল পর্যটকের আগমন ঘটেছে বলে জানা গেছে। গৌরনদী থেকে আসা পর্যটক কামরুল নিপা দম্পতি ঢাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন, ঈদের ছুটিতে পরিবারের সদস্যদের সাথে কুয়াকাটায় এসেছেন। কুয়াকাটা অনেক সুন্দর একটি জায়গা এমনটি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। খুলনা থেকে আশা কবিরুল ইসলাম বলেন, ঈদের ছুটি উপভোগ করতে গতকাল রাতেই কুয়াকাটা এসেছি। কুয়াকাটার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখেছি। সুর্যোদয় ও সূর্যাস্ত সহ বিভিন্ন স্পটে ঘুরেছি। অনেক ভালো লেগেছে।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহীম বলেন, আজকে আমাদের হোটেল হোটেলেগুলোতে ৬০ শতাংশ বুকিং রয়েছে আগামীকাল থেকে ৮০ শতাংশ বুকিং থাকবে। ১০-১১তারিখ থেকে শতভাগ বুকিং আশা করছি। কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শাহাদাত হোসেন বলেন, আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তার আমরা প্রস্তুত আছি। গোসলের সময় পর্যটকরা যাতে কোনো ধরনের দূর্ঘটনার শিকার না হয় সে বিষয়ে আমাদের নজরদারি রয়েছে। সার্বক্ষণিক ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম সমুদ্র সৈকত এলাকায় রয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি। কুয়াকাটার দর্শনীয় স্থানগুলো পোশাক পরিহিত ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। কোনো ধরনের অপ্রতিকার ঘটনা যাতে না ঘটে সে বিষয়ে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।