হাকিকুল ইসলাম খোকন ,বাপসনিউজঃনবনির্বাচিত আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন চীনের নেতা শি জিনপিং। পেরুর লিমায় বর্তমান আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে শেষ বৈঠকে এ প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। খবর বিবিসির।
গত ১৬ নভেম্বর ২০২৪ (শনিবার) লিমায় বার্ষিক এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে দুই নেতার মধ্যে এ বৈঠক হয়। তারা বাইডেনের শাসনামলের চার বছরে সম্পর্কের ‘উত্থান-পতনের’ বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে উভয়েই বাণিজ্য ও তাইওয়ানের মতো ইস্যুগুলোতে উত্তেজনা কমানোর ক্ষেত্রে অগ্রগতি তুলে ধরেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরছেন। এতে ট্রাম্পের চীনা পণ্যের আমদানিতে শুল্ক বাড়ানোর প্রতিশ্রুতিসহ বেশ কয়েকটি কারণে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক আরও অস্থির হয়ে উঠতে পারে।
নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট চীন থেকে সমস্ত আমদানির ওপর ৬০ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প চীনকে ‘কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। মহামারী চলাকালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট কোভিডকে ‘চীনা ভাইরাস’ হিসাবে চিহ্নিত করলে সম্পর্ক আরও খারাপ হয়।
শনিবার লিমায় শি জিনপিং তার হোটেলে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাইডেনের উদ্দেশে বলেন, বেইজিংয়ের ওয়াশিংটনের সঙ্গে স্থিতিশীল সম্পর্কের লক্ষ্য অপরিবর্তিত থাকবে। তিনি বলেন, ‘চীন যোগাযোগ বজায় রাখতে, সহযোগিতা প্রসারিত করতে এবং পার্থক্যগুলো ব্যবস্থাপনা করতে নতুন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।’
বাইডেন বলেন, দুটি বৈশ্বিক শক্তির মধ্যে কৌশলগত প্রতিযোগিতা কখনো যুদ্ধের দিকে নেওয়া উচিত নয়। তিনি বলেন, ‘আমাদের দুই দেশের কোনো একটি এই প্রতিযোগিতাকে সংঘাতের দিকে যেতে দিতে পারে না। এটা আমাদের দায়িত্ব এবং গত চার বছরে আমি মনে করি, আমরা প্রমাণ করেছি এই সম্পর্ক থাকা সম্ভব।’
শনিবার বাইডেন স্বীকার করেন, শির সঙ্গে সর্বদা মতবিরোধ ছিল, তবে তিনি যোগ করেন তার ও চীনা নেতার মধ্যে ‘অকপটে’ আলোচনা হয়েছে।
এই দুই নেতা হোয়াইট হাউসে বাইডেনের মেয়াদে তিনবার মুখোমুখি বৈঠক করেন। এর মধ্যে গত বছর সান ফ্রান্সিসকোতে একটি শীর্ষ সম্মেলন ছিল, যেখানে উভয় পক্ষই মাদক ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিষয়ে চুক্তিতে করেছিল। তবে বাইডেনের প্রশাসনও ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক অব্যাহত রেখেছে। সেই সঙ্গে বাইডেন সরকার গত মে মাসে চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ি, সোলার প্যানেল ও স্টিলের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে। এ অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলা করতে তিনি এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলজুড়ে প্রতিরক্ষা জোটকে শক্তিশালী করেছেন। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট আরও বলেছেন, চীন আক্রমণ করলে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে রক্ষা করবে।