নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে এক তরুণ-তরুণীকে সিএনজিতে তুলে ছিনতাই ও মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে স্থানীয়দের গণপিটুনির পর কথিত সাংবাদিক শামীমা আক্তারসহ তিনজনকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে এলাকাবাসী। তবে থানায় আনার পর উল্টো দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রকাশ্যে হুমকি দেয় শামীমা। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে ভুইগড় এলাকা থেকে তরুণ-তরুণীকে সিএনজিতে তুলে দাপা বালুর মাঠে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্তরা। পরে আরো অধিক টাকা মুক্তিপণ দাবিও করে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসলে তারা তিনজনকে আটক করে গণপিটুনি দেয় এবং ফতুল্লা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। আটক করে থানায় নিয়ে আসার পর শামীমা উত্তেজিত হয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর তদন্ত) আনোয়ার হোসেনকে ‘মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর’ হুমকি দেয়। একই সঙ্গে উপস্থিত উপ-পরিদর্শক (এসআই) সনজীব জোয়ার্দারকে “রগ কেটে দেওয়ার” হুমকি দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেখানে থাকা সাংবাদিকদের দিকেও বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে শামীমা।
তার এমন আচরণে উপস্থিত পুলিশ সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মীরা হতবিহ্বল হয়ে পড়েন। থানা কর্তৃপক্ষ জানায়, ঘটনাটির সবদিক খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) মোঃ হাসিনুজ্জামান জানান, “আটক তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আমরা জেনেছি, এই নারীসহ তার সংঘবদ্ধ চক্র এর আগেও একাধিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। তার বিরুদ্ধে মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে।”