মোঃ আবু কাওছার মিঠু রূপগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ অংশে ৮ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানজটের কারণে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে যাত্রী ও পরিবহন চালকরা। মঙ্গলবার ( ২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে মহাসড়কের বরাব থেকে রূপসী পর্যন্ত থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়। চারটার পর থেকে যানজটের পরিধি বেড়ে মহাসড়কের কাঁচপুর থেকে কর্ণগোপ এলাকা পর্যন্ত ৮ কিলোমিটারে যানজট ছড়িয়ে পড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রী ও সাধারণ পরিবহন শ্রমিকরা। যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃষ্টির কারণে সড়কের উভয় পাশের কাঁচা রাস্তা কর্দমাক্ত হয়ে যাওয়া, সড়কের বিভিন্ন অংশে খানাখন্দ বড় গর্তে গাড়ি আটকে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে দুপুর থেকে থেমে থেমে যানজট দেখা দেয়।
বিকেলে সড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লে যানজট বিস্তৃত হয়ে বিকেল চারটার দিকে যানজট বেড়ে কাচপুর থেকে কর্ণগোপ পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত হয়। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে বসে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রী সাধারণ, পরিবহন শ্রমিক ও পথচারীদের। এদিকে যানজটে আটকে থাকা যাত্রী ও চালকদের অভিযোগ, ঢাকা সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জের এ অংশে প্রতিনিয়তই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যানজট নিরশনে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে প্রতিদিন এমন দুর্ভোগ আরও বাড়বে। নরসিংদীগামী মেঘালয় পরিবহনের যাত্রী মোস্তাক হোসেন বলেন, তাঁরা চারটায় যাত্রামুড়া এলাকা থেকে জ্যামে আটকা পড়েন ১ ঘন্টা লেগেছে বরপা এলাকায় আসতে। তিনি বলেন, সামান্য এগিয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে দীর্ঘক্ষণ। সামনের পথটুকু পার হতে কত সময় লাগবে কে জানে। পিকআপ ভ্যান চালক শিহাব উদ্দিন বলেন, গাউছিয়া মাল আনলোড করে সোয়া চারটায় রওনা করেছি।
কর্ণগোপ ইউ এস বাংলা হসপিটালের সামনে থেকেই জ্যামে আটকে গেছি। এক ঘন্টার বেশি লেগেছে রূপসি আসতে। কখন ঢাকায় পৌঁছবো বলতে পারছি না। আসিয়ান পরিবহনের যাত্রী মিল্টন হক বলেন, ভুলতা থেকে চার কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করতে ৪৫ মিনিট সময় লেগেছে। অথচ এই রাস্তা ৫ মিনিটেই আসা যেত। এই সড়কের যানজট কবে শেষ হবে? শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত পরিদর্শক আশরাফুজ্জামান বলেন, খানাখন্দে রাস্তার বেহাল অবস্থা। আবার আগে যাওয়ার জন্য নিয়ম ভেঙে চালকরা বিপরীত রুটে গাড়ি ঢুকিয়ে একাধিক লাইন করার কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে হাইওয়ে পুলিশের জনবলেরও ঘাটতি রয়েছে। তাই যানজট নিয়েসনে একটু হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে হাইওয়ে পুলিশ যানজট নিরসনে নিরলস ভাবে কাজ করছে।