মোঃ শিমুল হোসেন, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:লক্ষ্মীপুর জেলার দালাল বাজার ইউনিয়নের বাসিন্দা রূপালী বেগম (৫৮) গত ১২ বছর ধরে একটি বেসরকারি ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে নিয়মিত টাকা জমা দিলেও এখনো পর্যন্ত পাননি তার জমাকৃত অর্থ। উল্টো কোম্পানির কর্মকর্তাদের হুমকির মুখে পড়েছেন তিনি।
ভুক্তভোগী রূপালী বেগম জানান, ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড-এর একটি ১০ বছর মেয়াদি বীমা গ্রহণ করেন তিনি। বীমা পত্র নং– ১৮২৮০০১৮৯৮-২, প্রস্তাব পত্র নং– NOAL1898/12, পরিকল্পনা নং– ৭০৩।
বীমা নেয়ার সময় প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, মেয়াদ শেষে জমাকৃত অর্থ ও লভ্যাংশ পরিশোধ করা হবে। ১০ বছর পর যখন তিনি অর্থ উত্তোলনে যান, তখন কোম্পানির এক কর্মকর্তা ফজলু করিম তাকে জানান, মেয়াদ আরও ২ বছর বাড়ালে লাভসহ পুরো টাকা দেওয়া হবে।
বিশ্বাস করে রূপালী বেগম মেয়াদ ২ বছর বাড়ান এবং মাসিক ২০০০ টাকা হারে মোট ২,৪৪,০০০ (দুই লক্ষ চুয়াল্লিশ হাজার) টাকা জমা দেন।
হুমকি ও হয়রানির অভিযোগ, বীমার পূর্ণ মেয়াদ শেষে তিনি টাকা তুলতে গেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ফজলু করিম (পরিচালক, নোয়াখালী) এবং দেলোয়ার (জেলা ইনচার্জ) বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ঘুরাতে থাকেন। অভিযোগ রয়েছে, ইনচার্জ দেলোয়ার প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বলেন— তোমার টাকা আমরা দিব না, যা করার করো।
রূপালী বেগম বলেন, বর্তমানে আমার স্বামী মানসিক ভারসাম্যহীন, তার চিকিৎসার জন্য টাকার খুব দরকার। অথচ আমি এখন নিঃস্ব, কোম্পানি টাকা তো দেয়ই না—উল্টো হুমকি দেয়।
তিনি আরও জানান, গত ২৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় তিনি কোম্পানির অফিসে গিয়ে কাউকেই পাননি। এতে তিনি হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যান।
প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা, রূপালী বেগম এ ঘটনার দ্রুত তদন্ত ও প্রতিকার চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তিনি বলেন, “আমি শুধু আমার পরিশ্রমের টাকাটা ফেরত চাই। কেউ যেন আর এমন হয়রানির শিকার না হয়।
এ বিষয়ে সাংবাদিক মোঃ শিমুল হোসেন বলেন, পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কর্তৃপক্ষের ফজলু করিম জানান,তার জাতীয় কাগজপত্র আমি নোয়াখালী অফিসের ইনচার্জ দেলেয়ারের কাছে জমা দিয়ে আসছি এগুলো ঢাকায় পাঠানো হবে, ঢাকা থেকে কাগজপত্র পচে চিং হয়ে আসলে তার তার পাওনা অর্থ তাকে দেওয়া হবে।