রিপোর্ট সাইফুল ইসলাম।কে এই আরমান কি তার পরিচয়, তিনি আওয়ামী ক্ষমতা আমলে শেখ হাসিনা ও সেনা প্রধান ওয়ারকারুজ্জামানসহ কয়েক জন মন্ত্রীর আত্নীয় পরিচয় দিয়ে দেশের বেশ কিছু মধ্যবিত্ত পরিবারের থেকে কোটি টাকা হাতিয়েছেন আরমান রেজা শাহ। আওয়ামী ক্ষমতা বলে আরমান কানাডা ও ইতালি দেশের ম্যানপাওয়ার এজেন্সির ব্যবসা চালু করেন। দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের পরিচয় ভাঙ্গিয়ে গ্রাহণ সেবার আড়ালে ফেক ভিসায় কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন আরমান। এই প্রতারক নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে ততকালীন বিরোধী দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নামও ব্যবহার করার প্রমাণ মিলেছে।

বর্তমান ফ্যাসিসদের জীবন বাঁচা মুসকিল অবস্থায় আরমান তার ভ্যারিফাই ফেসবুক কাভার ফটো পরিবর্তন করে তারেক রহমানের ফটো আপলোড করেন।প্রতারক আরমান আওয়ামীলীগ ও বিএনপি দুটোকেই ব্যবহার করেছেন, নতুন করে কৌশল তৈরি করার জন্য কিছুদিন থেকে গাঢাকা দিয়েছেন। আরমানের গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামে গিয়ে অনুসন্ধান করা হলে আরমানকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় বেশ কিছু বাসিন্দা নাম পরিচয় গোপন করে বলেন, আমাদের প্রিয় নেতা ঠাকুরগাঁও জেলার উজ্জ্বল নক্ষত্র জাতীয় তাবাদি-দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের নামও বেশ কিছু যায়গায় ব্যবহার করেছেন আব্দুল কুদ্দুস শাহের পুত্র আরমান রেজা শাহ।
দৈনিক জনবাণী, রুপবানী ও বাংলাপত্রিকার অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে থলের বিড়াল, ইতিমধ্যে বেশকিছু ফেক ভিসার অনুসন্ধান মিলেছে প্রতারক আরমান রেজার বিরুদ্ধে। প্রতারণা শিকার ভুক্তভোগী এক স্টুডেন্ট অলিদ হোসেন জানান, তার নিকট থেকে ২৯ টি ভিসা গ্রহণ করেন প্রতারক আরমান। ২৯ টি ভিসা বাবদ অলিদ হোসেনের মাধ্যমে ৫৫ লক্ষ টাকা আরমান রেজার এডু কানেক্ট নামে একটি এজেন্সি অফিসে লেনদেন করেন। প্রতারক আরমানের অফিস ঠিকানা ছিল ঢাকার বসুন্ধারা এফ ব্লক, হাউজ ২২ ফ্লোর ৭ তে, যাহা অস্থায়ী অফিস ছিল। অনুসন্ধান বলছে আরমান শুধু প্রতারণা করেনি দেশের স্টুডেন্টদের উচ্চ শিক্ষায় বড় বাঁধা হয়ে দাড়িয়ে ছিল এই প্রতারক।
ভুক্তভোগী নিস্পপ স্টুডেন্টরা একত্রিত হয়েও আত্মসাৎ হওয়া অর্থ উদ্ধার করতে পারেনি। বেশ কিছু দিন আগে প্রতারক আরমানকে ভাটারা থানা এলাকায় দেখতে পেলে ভুক্তভোগী স্টুডেন্টরা আরমানকে ভাটারা থানা ওসির কাছে তুলে দেন, একপর্যায়ে মীমাংসার মাধ্যমে ২ জনের টাকা ফেরত দেবার মুচলেখা দিয়ে থানা থেকে বের হয়ে আসে আরমান, যা ছিলো তার এক মিথ্যা প্রতিশ্রুতি। এভাবে সে নিরীহ ছাত্র ছাত্রীকে বিদেশে উচ্চ শিক্ষার প্রলোভন দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে দুই কোটি টাকা। সবার চাপ এবং আইনী চাপ থেকে রক্ষা পাবার জন্য এখন সে ভুক্তভোগীদের আত্মহত্যার কথা শুনিয়ে ভয় দেখিয়ে আসছে। ভুক্তভোগী ছাত্র-ছাত্রীরা এই প্রতারক কে অতি শিঘ্রই আইনের আওতায় আনার জোর দাবী তুলেছেন।