স্টাফ রিপোর্টারঃ মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করে মানুষের চরিত্রহরন ও মানসম্মান ক্ষুন্নকারী দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করেছে ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়। সংবাদটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের তথ্য ও অভিযোগ শাখার সহকারী কমিশনার দিল আফরোজ। তার স্বাক্ষরিত স্মারকের ০৫.৪১.২৬০০.০১৯.১৬.০০৭(অংশ-১)২৩ একটি চিঠিতে লিখিত ভাবে জানান প্রকাশনা শাখার সহকারী কমিশনার জানান যে, এই কার্যালয় হতে ঘোষণাকৃত বাংলা দৈনিক ইয়াদ নামক পত্রিকার ঘোষণাপত্র বর্তমানে বহাল নাই। কিন্তু তারপরও বর্তমানে অবৈধ ভাবে সম্পাদনা করে পত্রিকাটি নারায়ণগঞ্জ থেকে বের করছে চরিত্রহীন তোফাজ্জল হোসেন নামে এক চিহ্নিত তথ্য সন্ত্রাস ও সাজাপ্রাপ্ত আসামী। ইতিমধ্যে লম্পট তোফাজ্জল হোসেন ও তার মক্ষীরানী নাসরিন আক্তারের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে কয়েকটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগীরা। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ আদালতে তোফাজ্জলের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা গুলি পিবিআই ও পুলিশ তদন্ত করছে। যে কোন সময় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তোফাজ্জল ও নাসরিনকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়। বিভিন্ন ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ইয়াদ পত্রিকাটি ভাড়া নিয়ে পরিচালনা করে আসছিল তোফাজ্জল। প্রথমে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এবং পরবর্তীতে নিজেকেই সম্পাদক জাহির করে নারায়ণগঞ্জ থেকে পত্রিকাটি প্রকাশ করেন। যা পত্রিকার ডিক্লারেশন আইন অনুযায়ী অবৈধ। এক সময় তোফাজ্জল জামায়াতে ইসলামীর পত্রিকা দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকা অফিসে টি বয় হিসেবে কাজ করতো। চুরির দায়ে সেখান থেকে তাকে বের করে দেয়া হয়। পরে সে ২০০৪ সাল থেকে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন পত্রিকায় জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপি’র লিফলেট ও প্রেস রিলিজ সরবরাহ করতো। পত্রিকা অফিসগুলোতে প্রেস রিলিজ বিলি করে সে সংসার চালাতো। পরবর্তীতে সে সাংবাদিকতায় নেমে পড়ে। সংগ্রাম, মিল্লাত পত্রিকায় সে বেশ কিছুদিন কাজ করে। ২০০৭ সালে আজকের নারায়ণগঞ্জ নামে একটি পত্রিকা কিনে নেয়ার পর থেকেই তোফাজ্জল বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। জেলা বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে সে ওই পত্রিকার মাধ্যমে ব্ল্যাকমেইল করে। প্রতিদিনই কারো না কারো বিরুদ্ধে আজকের নারায়ণগঞ্জে ভূয়া নিউজ ছাপিয়ে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করতো। বিষয়টি জানাজানি হলে গভীর তথ্য-উপাত্ত নিয়ে চাঁদাবাজীর অভিযোগে সে সময় যৌথ বাহিনী তোফাজ্জলকে হাতে নাতে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর যৌথ বাহিনীর কর্মকর্তারা তাকে নাকে খত দিয়ে চাঁদাবাজী মামলায় কারাগারে প্রেরণ করে। তাতেও থেমে থাকেনি লম্পট তোফাজ্জলের অপকর্ম। পরে জামিনে বেরিয়ে আজকের নারায়ণগঞ্জ পত্রিকা চালানোর চেষ্টা করলেও তৎসময়কার জেলা প্রশাসন আইনী প্রক্রিয়ায় ওই পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করে দেয়। পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের কিছু দিন পর ঢাকা থেকে দৈনিক ইয়াদ নামে একটি পত্রিকা জনৈক রওশন আরার কাছ থেকে ভাড়া নেয়। ইয়াদ পত্রিকাটি ভাড়া নেয়ার পর হতে তোফাজ্জল আরো হিংস্র হয়ে ওঠে। বেড়ে যায় তার ব্ল্যাকমেইল ব্যবসা। প্রতিদিনই সে সমাজের ভালো ভালো ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিউজ করে মান সম্মানহানি করে। এমন কোন দিন নেই তার পত্রিকায় ভাল মানুষের বিরুদ্ধে নিউজ না হয়। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হচ্ছে তোফাজ্জল সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেই সবচেয়ে বেশি নিউজ করে থাকে। তিনি শহরে রাজত্ব করবে এবং সাংবাদিক হিসেবে তার পত্রিকার কথিত সাংবাদিকরাই আধিপত্য বিস্তার করবে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তোফাজ্জল হোসেন একাধিক বিয়ে করেছে। বর্তমানে ৩ স্ত্রীর সঙ্গে তার সংসার-সম্পর্ক বজায় রয়েছে। তার বৈধ ও অবৈধ অনেক সন্তান রয়েছে। সন্তানদের মধ্যে কয়েকজনকে সাংবাদিকতা পেশায়ও নামিয়েছে। এর বাইরেও তোফাজ্জলের রয়েছে অসংখ্য কলগার্ল। যাদেরকে নিয়ে প্রতিনিয়তই তোফাজ্জল বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, বাসা-বাড়িতে, শীতলক্ষ্যা নদীতে নৌকা নিয়ে সময় কাটায়। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের বেশ কয়েকটি পত্রিকায় নিয়মিত প্রতিবেদন ছাপা হয়। ২০১৩ সালেও ভূয়া নিউজের কারণে নারায়ণগঞ্জ শহরের গলাচিপা মোড়ের জাতীয় পার্টির অফিসের সামনে গণধোলাইয়ের শিকার হন। নিজের মান-সম্মান না থাকার দরুন তোফাজ্জল প্রতিদিনই ইয়াদ পত্রিকায় পীরকে চোর আর চোরকে পীর বানায়। না বললেই নয়, তোফাজ্জল ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জের প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিক দৈনিক ইত্তেফাক এর নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি তথা দৈনিক ডান্ডিবার্তা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক হাবিবুর রহমান বাদলের বিরুদ্ধেও অবান্তর সংবাদ পরিবেশন করে। এরপর একের পর এক বিভিন্ন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সহ সমাজের বিশিষ্টজনদের নিয়ে ভূয়া নিউজ প্রকাশ করেই চলেছে। তোফাজ্জলের এহেন অপকর্মের কারণে নারায়ণগঞ্জের পেশাদার সম্মানিত গণমাধ্যমকর্মীদের জীবন নাভিশ্বাস হয়ে উঠছে। লম্পট তোফাজ্জলের সাথে নারীদের অনৈতিক সম্পর্কের বেশকিছু ছবি এখন সবার হাতে হাতে। প্রতারক ও নারীলোভী লম্পট তোফাজ্জল ও মক্ষীরানী নাসরিনের অবৈধ সম্পর্কের কথা নারায়ণগঞ্জ শহরের আনাচে কানাচে ঘুড়ির মতো উড়ে বেড়াচ্ছে। ২০০ টাকা পেলেই বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষদের চরিত্রহরন করাই যার পেশা সেই তোফাজ্জল ও নাসরিনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি জোর দাবী জানান সচেতন মহল।