বিশেষ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ বন্দর নাসিক ২৪ নং ওয়ার্ড এলাকায় দিল মোহাম্মদ নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার উদ্দেশ্যে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম সহ প্লাস দিয়ে তিনটি দাঁত উপড়ে ফেলা হয়। এ ব্যাপারে ব্যাবসায়ী দিল মোহম্মদ বন্দর থানায় নিজে বাদী হয়ে নবীগঞ্জ ইসলাম বাগ এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও একাধিক মামলার আসামি কিশোর গ্যাং লিডার সীমান্ত সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বাদী দিল মোহাম্মদ এর শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
সন্ত্রাসী সীমান্ত তার চাচা মনির হোসেন অত্র ২৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হওয়ার পর থেকে সীমান্ত তার ক্ষমতার দাপটে পুরো ওয়ার্ডে আরো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। তার বিরুদ্ধে ব্লাক মেইলিং করে অর্থ আদায়, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মারপিটসহ একাধিক মামলা ও অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ এর সূত্রে জানা যায় বাদী:- দিল মোহাম্মদ (৪৫), পিতা- মৃত আলী হোসেন, মাতা- দেলোয়ারা বেগম, সাং- নবীগঞ্জ কামাল উদ্দিনের মোড়, থানা- বন্দর, জেলা-নারায়ণগঞ্জ৷ বিবাদী:- ১। সিমান্ত (২৮), পিতা- জাকির হোসেন, ২। মেহেদি (২৯), পিতা- আমির হোসেন, ৩। হিমেল (২৬), পিতা- অজ্ঞাত, মাতা- হোসনেআরা বেগম, ৪। আলিফ (৩০), পিতা- শাহ-জাহান, ৫।
তসিফ (২৭), পিতা- অজ্ঞাত, ৬। মিরান (২৭), পিতা- অজ্ঞাত, সর্ব সাং- নবীগঞ্জ (ইসলাম বাগ), থানা- বন্দর, জেলা- নারায়নগঞ্জসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন। গত ২১/০৪/২৫ ইং তারিখে নারায়নগঞ্জ জেলার সাইনবোর্ড এলাকা হইতে তার ব্যাবসার নগদ ২,৫০,০০০/- টাকা সহ খুচরা অনুমান ১২,৬০০/- টাকা নিয়ে নবীগঞ্জে তার বাসায় ফেরার পথে একই দিন রাত ০৮.০০ ঘটিকার সময় বন্দর থানাধীন নবীগঞ্জ পরিক্তাক্ত ফার্মেসী সংলগ্ন জাতীয় পার্টির অফিসের সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌছা মাত্র বিবাদীগন সহ তাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা তার চলার পথ গতিরোধ করিয়া তার নিকট যা কিছু আছে বিবাদীদের দেওয়ার জন্য বলিলে বাদী তার নিকট থাকা নগদ টাকা সহ মোবাইল ফোন বিবাদীদের দিতে অস্বীকার করিলে সকল বিবাদীগন তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ অতর্কিত মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্নস্থানে নীলাফুলা জখম সহ ১ ও ২নং বিবাদীদ্বয় তাদের নিকট থাকা প্লাস দিয়ে ১নং বিবাদী বাদীর মুখের বাম পাশের উপরের চোয়ালে থাকা দুইটি দাঁত এবং ২নং বিবাদী ডান পাশের চোয়ালের একটি দাঁত উপড়ে ফেলে গুরুত্বর মারাত্বক রক্তাক্ত জখম করে।
৩ নং বিবাদী তার হাতে থাকা কাঠের ডাসা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথায় সহ শরীরের বিভিন্নস্থানে নীলাফুলা জখম করে। ১নং বিবাদী বাদির পরনের প্যান্টের বাম পকেটে থাকা নগদ ২,৫০,০০০/- (দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা জোর পূর্বক নিয়ে নেয়। ৩নং বিবাদী বাদীর পরিহিত প্যান্টের ডান পকেটে থাকা নগদ ১২,৬০০/- (বারো হাজার ছয়শত ) টাকা সহ একটি বাটন মোবাইল ফোন যাহার মূল্য ১,৫০০/- টাকা জোর পূর্বক নিয়ে নেয়। অত:পর বাদীর ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদীগন তাকে প্রকাশ্যে খুন-জখমের হুমকি প্রদান করিয়া পালিয়ে যায়।