নিজস্ব প্রতিবেদক :অপরাধ স্বর্গ রাজ্যের আরেক নাম রোহিঙ্গা ক্যাম্প। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রাত-দিন চলছে মাদক আর অস্ত্রের ঝনঝনানি। তার মাঝে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপরাধ চক্রের গডফাদার হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে নবী হোসেন। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন অপরাধ অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে আলোচিত নবী হোসেনের একটি সক্রিয় গ্রুপ। জানা গেছে, এই নবী হোসেনের বিশ্বস্ত ও সক্রিয় বাহিনীর সদস্য হিসেবে কাজ করছে উখিয়ার দক্ষিণ বালুখালি এলাকার শাহাব উদ্দিনের পুত্র মোহাম্মদ একাম উদ্দিন (২৪)। তথ্য সুত্রে জানা যায়, ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে তথ্যবহুল একাধিক সংবাদ প্রকাশ হলেও সু-কৌশলে প্রশাসনের কাছে অধরা থেকে যায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ক্যাম্প-৯ এর এক রোহিঙ্গা যুবক জানান, বালুখালী বল খেলার মাঠের একাম উদ্দিন নিবাচনের দিন রাতেও বস্তা নিয়ে ৭কার্ড ইয়াবা ডুকিয়েছে। সে গ্রামী হওয়ার কারণে এপিবিএন পুলিশ বা ক্যাম্পে দায়িত্বরত প্রশাসন তাকে চেক করেনা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তিনি এমন কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। ক্যাম্পের এক মাঝি জানান, আমাদের ক্যাম্পের একাধিক মানুষ বলতে শুনেছি গত ১০/১৫দিন আগে তার সে ক্যাম্প-৯ এর সি-১০ ব্লক দিয়ে রাতের আঁধারে ৩টি বিদেশী অস্ত্র এনেছে। যা প্রশাসন অবগত রয়েছে। প্রশানের এক কর্মকর্তা গোপন সুত্রে জানিয়েছে বিষয়টি শুনেছি, তবে সঠিক তথ্য প্রমাণ না থাকায় কোন ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছেনা। তবে আমাদের কটোর নজরদারি রয়েছে। সুত্রে জানা যায়, তার এই একাম উদ্দিনের বাবা পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক দফদার। সে নারী কেলেঙ্কারের কারণে দফদারের পদ থেকে বহিস্কৃত হয়। তার কারণে সে বেকার হয়ে পড়লে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে বলে জানায় এলাকাবাসী। অনুসন্ধানে জানা যায়, ইয়াবা গডফাদার একাম উদ্দিনের নানা একজন পুরাতন বার্মায়া। এলাকাসী আরো জানান, একাম উদ্দিনের বাড়ি মায়ানমার সীমান্তের একদম কাছাকাছি তার সুযোগে মায়ানমার হতে মাদক সংগ্রহ করে দেশের আনাচেকানাচে মাদক পৌঁছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। আরো জানা যায়, একাম উদ্দিনের নানার বাসা ও আত্মীয় স্বজন মায়ানমারে থাকায় তারা রমরমা ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। মুফিজ নামের স্থানীয় এক যুবক জানান, একাম উদ্দিনের পিতা সাহাব উদ্দিনের একসময় কিছুই ছিলো না। এখন তার অঢেল সম্পদের পাহাড় হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার এক নিকটতম আত্মীয় বলেন, বালুখালীতে তাদের ছোট একটা কুড়ি ঘর ছিল, কিন্তু ইয়াবার ছোঁয়ায় এখন তাদের ১০রুম বিশিষ্ট একটি রাজপ্রাসাদের মত বাড়ি রয়েছে। উক্ত এলাকার তার এক বন্ধু বলেন, বর্তমানে শাহাব উদ্দিন ও তার ছেলে একাম উদ্দিন ক্যাম্প- ৯ এর সমস্ত ইয়াবা ব্যবসার নিয়ন্ত্রক বলে জানা যায়। স্হানীয়দের দাবী একাম উদ্দিনকে আইনের আওতায় আনা না হলে যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে । এ বিষয়ে একাম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শামীম হোসাইন জানান, অপরাধী যত বড় হউক বিষয়টি খতিয়ে দেখে নিশ্চয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।