বিশেষ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ শহরের শায়েস্তা খান সড়কে অবস্থিত সুইড বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে একাধিক জেলা প্রশাসক পরিদর্শনে এসেছেন। তবে সারাদেশে ‘মানবিক ডিসি’ হিসেবে পরিচিত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার আজকের পরিদর্শন উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তা, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের বিমোহিত করেছে। পরিদর্শন শেষে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও কমিটির নেতারা বলেন— “ডিসি জাহিদুল ইসলাম একজন সত্যিকারের মানবিক জেলা প্রশাসক।” সুইড কমিটির কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. শাহনেওয়াজ বলেন, “একবাক্যে বলতে হয়, জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম অসাধারণ ও অতুলনীয় একজন ব্যক্তি।
আমি অনেক ডিসির সঙ্গে কাজ করেছি, কিন্তু তাঁর মতো আন্তরিক কাউকে দেখিনি।” বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফজলুল আমিন বলেন, “অন্য জেলা প্রশাসকরাও আন্তরিক ছিলেন, কিন্তু শিশুদের জন্য উপহার নিয়ে আসা, নিজ হাতে ফুল,চকলেট ও মিষ্টি দেওয়া—এমন দৃশ্য আমরা আগে দেখিনি। উনি সত্যিই একজন মানবিক ডিসি।” বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থী সামাইয়া হকের মা জেনিফার জেবিন বলেন, “জাহিদুল ইসলাম স্যার যা বলেন, তা করেন। আমাদের অনুভূতিগুলো তিনি বোঝেন। আজ মনে হয়েছে, আমাদের পরিবারের কেউ আমাদের মাঝে এসেছেন।” তিনি আরও জানান, স্কুলে শিক্ষক সংকটের বিষয়টি ডিসিকে অবহিত করা হলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার। আরেকজন অভিভাবক শফিকুজ্জামান বলেন, “বর্তমান ডিসির আন্তরিকতা অন্য সবার চেয়ে আলাদা।
ফুল, চকলেট ও মিষ্টি নিয়ে বাচ্চাদের সঙ্গে যেভাবে তিনি মিশেছেন, তা আমাদের গভীরভাবে ছুঁয়ে গেছে।” এদিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, “বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা সমাজের বোঝা নয়, বরং তারা সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যথাযথ সহায়তা ও সুযোগ পেলে তারাও অসাধারণ সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম।” তিনি আরো আরও বলেন, “যেসব পরিবারে চ্যালেঞ্জ শিশুরা রয়েছে, তারা প্রতিদিন নানা কষ্টের মধ্য দিয়ে যান। এই শিশুদের মধ্যেই বিশেষ মেধা ও দক্ষতা লুকিয়ে আছে। আমাদের দায়িত্ব সেই মেধাকে বিকশিত হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া।” পরিদর্শনে তিনি বিদ্যালয়ের শিশুদের জন্য ফুল, চকলেট ও মিষ্টি নিয়ে যান। তাঁকে দেখে আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে শিশুরা।