নিজস্ব সংবাদদাতা: কোন দল বা কোন ব্যক্তির কথা চিন্তা করে, নির্বাচন বিলম্বের ষড়যন্ত্র জনগণ বরদাস্ত করবে না। আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করছি যে, যারা এতোদিন সকাল-বিকাল নির্বাচনের জিকির করতো, তারা আজ নিশ্চুপ! ঘোষিত পরিকল্পনা অনুযায়ী ফেব্রুয়ারীর প্রথম দিকেই নির্বাচন হওয়াই জনগণের প্রত্যাশা।
মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর চাষাঢ়াস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর উদ্যোগে এক নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই) এ-সব কথা বলেছেন।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আহবায়ক মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই)।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন- দেশের মানুষ একটি স্বচ্ছ, শান্ত ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। তিনি আশা প্রকাশ করেন, অন্তর্বর্তী সরকার শান্ত পরিবেশে দেশকে সে-ই নির্বাচন উপহার দেবে। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে ব্যর্থ হলে জনগণ তা মেনে নেবে না।
তিনি সতর্ক করে বলেন- দেশের মানুষ চাঁদাবাজদের আর ভোট দেবে না। বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের প্রতিও জনরোষ বাড়ছে। দেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়, নারীরা নিরাপত্তা, ব্যবসায়ীরা চাঁদামুক্ত ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ, চাকরিজীবীরা যোগ্যতার ভিত্তিতে পদোন্নতি এবং শ্রমিকরা ন্যায্য অধিকার চান। কোন ধরনের আন্দোলন শুরু হওয়ার আগেই, জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত দেখতে চায়। দেশে ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার না হলে, কোন মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে জীবন-যাপন করতে হতো না।
ও-ই নির্বাচনী জনসভায় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, নগর সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের হাতপাখা প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী মুফতী মাসুম বিল্লাহ, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের হাতপাখা প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা ইসমাঈল সিরাজী, জেলা সভাপতি মাওলানা মোঃ দ্বীন ইসলাম, সেক্রেটারী জাহাঙ্গীর কবির, নগর সেক্রেটারী সুলতান মাহমুদ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার আমীর জননেতা আলহাজ্ব আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সী প্রমূখ।