নিজস্ব প্রতিবেদকঃ যেখানে স্বপ্ন ছিল ৪৫ লক্ষ মানুষের, সেখানে এখন রাজত্ব করছে একটি দুর্নীতিগ্রস্ত চক্র। হ্যাঁ, আমরা বলছি ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেড এর কথা, যেটি বর্তমানে কুক্ষিগত হয়ে পড়েছে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার প্রশান্ত ভূষণ বড়ুয়া ও তার সহযোগী আশরাফুল আমিন সাহেবের দখলে নিয়ে ডেসটিনি লুটপাট করার ষড়যন্ত্র করছে তারা। পলাতক নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা বর্তমানে ডেসটিনি ২০০০ লিঃ চেয়ারম্যান, তিনি ভার্চুয়ালের মাধ্যমে লন্ডনে বসে স্ক্যান করা সিগনেচারে চালাচ্ছেন প্রতিষ্ঠান। তার ‘অন্ধ ভক্ত’ আশরাফুল মাঠে নেমে লুটে নিচ্ছেন অফিস, বাগান, জমি, গোডাউন, এমনকি লক্ষ লক্ষ মানুষের স্বপ্নও।
বিক্রি নয়, যেন লুটপাট: ১২৫ একর গাছ বিক্রি করেছে মাত্র ১২ কোটি টাকায়? টঙ্গী গোডাউন থেকে ৯০ কোটির মালামাল উধাও? এই কি ছিল আদালতের বোর্ডের দায়িত্ব? বোর্ড নয়, একক সিদ্ধান্তের চক্রান্ত: নির্বাহী বোর্ডের মতামত উপেক্ষা করে এককভাবে চলছে সিদ্ধান্ত। যেন কোম্পানির নাম “ডেসটিনি” নয়, একটি ষড়যন্ত্র চক্রের প্রাইভেট লিমিটেড”। যারা প্রশ্ন তোলে, তারা আক্রমণের শিকার! সৎ পরিচালকরা হামলার শিকার। যারা প্রতিবাদ করেন, তাদের মুখ বন্ধ করতে হুমকি, মানহানিকর প্রচারণা ও চক্রান্ত শুরু করে তারা। এই ষড়যন্ত্রকারীরা আমার বাজার নামে আরেকটি ধোঁকা কোম্পানি খুলে। ঐ আমার বাজার কোম্পানিটি আশরাফুল আমিন পরিচালনা করে ।
এই প্রকল্পে প্রায় ৫ লাখ মানুষ বিনিয়োগ করেন। আজ আমার বাজারের অফিস বন্ধ করে গ্রাহকদের টাকা নাই বলে চালিয়ে দিচ্ছেন তারা। জবাব নাই। কে করিবে কার বিচার! সকল ক্ষতি নিরীহ মানুষের। প্রতিষ্ঠাতাটি ব্যাক করলেই আশার আলো: রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসেন স্যার এখনও আস্থা হারাননি। তারা চান—আদালতের যথাযথ পর্যবেক্ষণে, স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনায় ডেসটিনিকে আবার ফিরিয়ে আনতে। বিনিয়োগকারীদের দাবি স্পষ্ট: চক্রটিকে অপসারণ, সম্পদের হিসাব ও ব্যাংক হিসাব খুলে পুনরায় কার্যক্রম শুরু, প্রতিষ্ঠাতাদের নেতৃত্বে সঠিক মডেলে রিস্টার্ট ৪৫ লাখ মানুষের কান্না আজ এই প্রশ্নে জমা হয়েছে: কারা আমাদের প্রতিষ্ঠানটিকে সত্যিই ধ্বংস করলো? বিচার হোক—সত্য উন্মোচিত হোক। এটাই বিনিয়োগ কারীদের প্রত্যাশা। এছাড়াও ডেসটিনির বিনিয়োগকারীরা বলেন, আমরা বাঁচতে চাই, আমরা চাই ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমিন ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইনকে প্রধান করে কোম্পানির দ্বায়িত্ব তাহাদের’কে দিলে আমাদের বিনিয়োগের টাকা নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে। তাহলে আমরা টাকা ফেরত পাবো।