পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:-পটিয়ার কুসুমপুরা ইউনিয়নের পেঠান সর্দার বাড়ীর মসজিদ সংলগ্ন চলাচল রাস্তার জন্য দানপত্র মূলে ফয়েজ আহমদ নামে একব্যাক্তির ক্রয়কৃত জায়গায় মাটি ভরাট ও ওয়াল নির্মাণ কে কেন্দ্র করে দু পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। এমনকি এ মাটি ভরাট ও ওয়াল নির্মাণ কাজে বাধা দেওয়ায় ফয়েজ আহমদকে প্রাননাশের হুমকি দিয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে ফয়েজ আহমদ বাদী হয়ে পটিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এতে পটিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দিলেও প্রতিপক্ষ বিবাদী উমেদ আলী গং মাটি ভরাট কাজ অব্যাহত রাখায় দু পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছে এলাকাবাসী। জানা যায়, উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের জাফর আহমদের পুত্র ফয়েজ আহমদ পেঠান সর্দার বাড়ীর মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় উমেদ আলীর দু পুত্র থেকে চলাচল রাস্তার জন্য তিন শতক জায়গা ক্রয় করে আদালতের মাধ্যমে নামজারী করেন। তার ক্রয়কৃত উক্ত জায়গায় তিনি মাটি ভরাট করতে গেলে প্রতিপক্ষ আনোয়ার হোসেন চট্টগ্রাম অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি ১৪৫ ধারায় মিচ মামলা আনয়ন করেন। ফয়েজ আহমদ অভিযোগ করেন উক্ত মামলা এখনো চলমান রয়েছে। কিন্তু প্রতিপক্ষরা তা শেষ না হতেই গত ১৭ জানুয়ারি বিকেল ৫ টায় গায়ের জোরে মাটি ভরাট শুরু করে৷ এতে আমি বাধা দিলে প্রতিপক্ষরা আমাকে মারধর সহ প্রাণে মারার হুমকি প্রদর্শন করে। এতে আমি নিরুপায় হয়ে পটিয়া থানায় অভিযোগ দিলে এসআই রাজিব ভট্টাচার্য সহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য উভয় পক্ষকে অনুরোধ করলে ও প্রতিপক্ষ তা না মেনে আমার চলাচলের পথটি অবরুদ্ধ করতে ওয়াল নির্মাণ ও মাটি ভরাট কাজ অব্যাহত রাখায় আমরা এখন এক প্রকার অসহায় হয়ে পড়েছি। বর্তমানে তাদের এহেন অনৈতিক কাজে বাধা দিতে গেলেই সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে বিধায় আমরা এ ব্যাপারে প্রশাসনের উধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এ ব্যাপারে আনোয়ার হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে, তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি বা আমরা কাউকে হুমকি দিইনি। আমরা আমাদের মৌরশী জায়গায় মাটি ভরাট ও ওয়াল নির্মাণ করছি। কোন ব্যাক্তির জায়গায় মাটি ভরাট করিনি। এ ব্যাপারে পটিয়া থানার উপ পরিদর্শক রাজিব ভট্রার্চাজের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,ফয়েজ আহমদের প্রদত্ত অভিযোগ তদন্তকালে উভয়পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বলেছি। কেউ আইন অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি আমি দ্রুত আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করব।