কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি। ‘মহিপুরে চাঁদা না দেয়াকে কেন্দ্র করে দিনমজুরকে পিটিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ’ এমন শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ সংবাদে বলা হয়েছে গত ২০ আগস্ট দুপুর ১২টার সময় আলতাফ ও তাঁর ছেলে রনি এবং আলতাফের অপর ভাই চান মিয়া ও ফুল মিয়াসহ অজ্ঞাত কয়েকজন পরিকল্পিতভাবে চাঁদার বিষয়কে কেন্দ্র করে ফারুক হাওলাদারের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। হামলাকারী রনি ও তাঁর সহযোগীরা ফারুককে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়।
প্রকৃত সত্য হচ্ছে, সেদিন এ ধরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তা ছাড়া ওই সংবাদে বলা হয়েছে, আলতাফ হোসেন ও তাঁর ছেলে রনি প্রায় সময় বিভিন্ন লোকের কাছে চাঁদা দাবি করেছে। আলতাফ ও রনি চাঁদা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হইয়া এলাকার মানুষের ওপর হামলা, অত্যাচার শুরু করে দেয়। প্রকৃত সত্য হচ্ছে, সেদিন তুচ্ছ একটা ঘটনা নিয়ে আলতাফ এবং ফারুক হাওলাদারের সাথে তর্ক-বিতর্ক হয়েছি। এর চেয়ে বেশি কিছু ছিলনা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আলতাফ হোসেন এবং তাঁদের পরিবার পারিবারিকভাবেই সম্পদশালী। আলতাফ হোসেন, তাঁর ভাই চান মিয়া, ফুল মিয়া মহিপুর বন্দরে মৎস্য ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছেন। বিগত ৩০-৪০ বছর ধরে সুনামের সাথে তাঁরা মৎস্য ব্যবসা করে আসছেন। এ ছাড়া তাঁদের মাছের আড়ত রয়েছে।
আলতাফ হোসেন দাবি করে বলেন, তাঁদের নিজস্ব ট্রলারসহ জেলেরা সমুদ্রে গিয়ে প্রতিনিয়ত গভীর সমুদ্রে মাছ শিকার করে থাকে। এসব ট্রলার এবং আড়তদারী ব্যবসায় বহু লোককে কাজ দিয়ে তাঁরা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। তাঁরা যেখানে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল, তাঁরা যেখানে এলাকার বহু মানুষককে নানা সময়ে সাহায্য-সহযোগিতা করে থাকেন, সেখানে কোনো মানুষকে জিম্মি করে চাঁদা দাবি করবে এটা শুধু মিথ্যাচার নয়। পুরো অভিযোগটি একেবারে ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিত। আলতাফ হোসেনের ছেলে রনি গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চ শিক্ষা লাভ করেছেন। রনি দেশের বাহিরে গিয়ে আরও শিক্ষা গ্রহন করবেন সে প্রস্ততিও নিচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে আসা এরকম একজন শিক্ষিত তরুণকে জড়িয়ে যেসব কথা বলা হচ্ছে তাও মিথ্যা, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিত। কোনো মহলের দ্বারা হয়তো প্রভাবিত হয়ে অভিযোগকারীরা আলতাফ হোসেন, তাঁর ছেলে রনিসহ অপর ভাইদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।