বন্দর প্রতিনিধিঃ মুসাপুরে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেনের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, ব্যাবসায়ী রবিউল আউয়াল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাহীন আহমেদ ও মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনজুর আলমের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর
মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন তার ভাতিজা আরাফাত রিফাতকে দিয়ে মাছ লুটের একটি মিথ্যা কাল্পনিক ঘটনা সাজিয়ে বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বন্দর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগকে কেন্দ্র করে স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও পত্রিকায় ভিত্তিহীন নিউজ করিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে শাহাদাৎ হোসেন ও তার ভাতিজা আরাফাত রিফাত গংদের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহীন আহমেদ বলেন, যেই অভিযোগটা আমাদের বিরুদ্ধে করেছে সেটা মিথ্যা বানোয়াট। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নামে অভিযোগ করসে। আমি একটা ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারি আমরা কারো পুকুরের মাছ লুট করতে যাবো এটাতো একটা হাস্যকর ব্যাপার। শাহাদাৎ হোসেন একটা বিতর্কিত লোক। ওনি সব সময় মানুষকে বিতর্কিত করে প্রচারে থাকতে চায়। ভালো মানুষদের নামে মিথ্যা বিভ্রান্তকর তথ্য ছড়ানোই ওনার কাজ। ওনি মুসাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক এটা সবাই জানে, ওনি বিগতদিন শামীম ওসমান-সেলিম ওসমানের সাথে যারা আওয়ামীলীগের দোসর ছিলো তাদের সাথে তার সম্পর্ক ছিলো। আমার সাথে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে না পেরে আমাকে হেয়পন্ন করার জন্য মিথ্যা একটা ভিত্তিহীন অভিযোগ দিছে।
রবিউল আউয়াল বলেন, সামাজিকভাবে আমাকে হেয় করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত ভাবে এই নাটক সাজানো হয়েছে।
এ ঘটনায় রবিউল আউয়াল মানহানি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
রবিউল আউয়াল ও তার পরিবার সমাজিকভাবে বেশ প্রতিষ্ঠিত। সব সময় তারা অসহায়দের জন্য জনকল্যাণে কাজ করে থাকেন বলে এলাকায় তাদের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। তাদের এই অবস্থান নষ্ট করার জন্যই শাহাদাৎ গং এই ধরনের ষড়যন্ত্র করেছে বলে দাবি তার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুছাপুর ইউনিয়নের শাসনেরবাগ এলাকা থেকে বাজুরবাগ পর্যন্ত বৃহত্তর জলাধার হৃদ রয়েছে। যেটি প্রায় ৫ হাজার শতাংশ জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। যার মালিকানা রয়েছে ১৪-১৫ জনের। এরমধ্যে প্রায় ২ হাজার শতাংশ জায়গার মালিক রবিউল আউয়াল গং পারিবারিকভাবে। রবিউল আউয়ালের নিজের জলাধারের মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সামাজিকভাবে
হেয় করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে এই মিথ্যা অপপ্রচার ছড়ানো হয়। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এদিকে, অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে। তদন্তে আসল ঘটনা উদঘাটিত হলে, প্রকৃত সত্য প্রকাশ পাবে বলে আশা করছেন ব্যাবসায়ী রবিউল আউয়াল, বিএনপির নেতা শাহীন আহমেদ ও মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনজুর আলম।