সঞ্জয় ব্যানার্জী, পটুয়াখালী প্রতিনিধি।।পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার সদর ইউনিয়নের নিজাবাদ গ্রামের মেহের মোল্লা বাড়ি সংলগ্ন খালের উপর সেতু না থাকায় এলাকাবাসীকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এলাকাবাসী চলাচলের জন্য খালের মধ্যে বাঁশ দিয়ে সাঁকো নির্মান করে এপার-ওপার যাতায়াত করছে। বর্তমানে সাঁকোটি মরণফাঁদে পরিণত হয়ে গেছে। এলাকার বাসিন্দারা দীর্যদিন যাবত খালের উপর একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানালেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেননি।
জানা যায়, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে উপজেলা সদর ইউনিয়নের নিজাবাদ ও উত্তর লক্ষ্মীপুর গ্রাম দুইটির মধ্যে দিয়ে প্রবাহমান খালটি বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড খনন করে ছিল। জলাবদ্ধতা ও সহজে পানি নিষ্কাশনের জন্যই খালটি খনন করা হয়। খননের পর খালে পানির প্রবাহ থাকলেও দুই গ্রামের বাসিন্দারা দুর্ভোগে পড়ে যায়। খালের উপর কোনো ব্রিজ নির্মাণে না করায় এলাকাবাসীর যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এছাড়া দুইটি গ্রামের প্রায় ৫ শতাধিক কৃষক ভোগান্তিতে পড়েছে। ব্রিজ নির্মাণ না করায় কয়েক চলাচলের জন্য কয়েক বছর আগে স্থানীয় যুবকদের উদ্যোগে খালের উপর বাঁশ দিয়ে একটি অস্থায়ী সাঁকো নির্মাণ করা হয়। বাঁশ দিয়ে তৈরি সাঁকোটি বর্তমানে মরনফাঁদে পরিণত হয়ে আছে। প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলের শিক্ষার্থীরা বাঁশের সাকো পারাপার হয়। স্কুল শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম জানায়, প্রতিদিন আমরা ঝুঁকি নিয়ে এই সাঁকো দিয়ে স্কুলে আসা যাওয়া করে থাকি। সাঁকো পার হওয়ার সময় প্রায়ই আমাদের বই- খাতাসহ স্কুলব্যাগ খালে পড়ে যায়।
উপজেলা সদর ইউনিয়নের নিজাবাদ গ্রামের কৃষক আজাহার মৃধা বলেন, খালটি খনন করার পর থেকেই ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। দুইটি গ্রামের বাসিন্দাদের জন্য নির্ধারিত স্থানে ব্রিজ নির্মাণ না করায় চলাচলে সবকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গ্রামে উৎপাদিত কৃষি পণ্যসামগ্রী সহজে পরিবহন করে বাজারজাত করা যাচ্ছে না। বাঁশের সাঁকো দিয়ে উৎপাদিত কৃষিপণ্য নিয়ে চলাচল করা সম্ভব হয় না। খালের উপর একটি সেতু নির্মাণ করা হলে দুই গ্রামের মানুষ নিরাপদে যাতায়াত করতে পারবে।