চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ আবারও বিনিয়োগকারীদের আস্বস্ত করেছেন ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও দৈনিক ডেসটিনির সম্পাদক-প্রকাশক ড. মোহাম্মাদ রফিকুল আমীন। তিনি বলেন, ডেসটিনির প্রচুর সম্পদ আছে, ভয়ের কোনো কারন নেই। গ্রাহকের টাকা ফেরত দিয়েও ব্যবসা করে উন্নতি করা সম্ভব। তিনি আরও বলেছেন, এমএলএম নয়, আমরা নেটওয়ার্ক বিজনেজ করি। নতুন কৌশলে ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারলে আগামী ৫ বছরে অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে ২ কোটি আয়করদাতা তৈরি হবে। বছরে প্রত্যেকের আয় হবে ন্যুন্যতম ১২ লাখ টাকা।
এটা আমাদের অর্জনের মাইলফলক হয়ে থাকবে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রামের এশিয়ান এসআর হোটেলের হল রুমে ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের চট্টগ্রাম বিভাগের ক্রেতা, পরিবেশক ও বিনিয়োগকারীদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় ও বিশেষ আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ড. মোহাম্মদ রফিকুল আমীন এসব এসব কথা বলেন। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ হোসাইন। তিনি বলেন- ১২ বছর জেল খেটেছি তবুও এটাকে কিছুই মনে করিনি, কারণ ডেসটিনি রক্ষার স্বার্থে সব যন্ত্রনা সহ্য করেছি। কষ্ট আরো সহ্য করতে রাজি আছি তবু এই প্রতিষ্ঠানের কোন ক্ষতি হতে দেব না।
যেকোন মূল্যে গ্রাহকের টাকা ফেরত দিয়ে ব্যবসা কন্টিনিউ করব ইনশাল্লাহ। অরুপ দত্তের সভাপতিত্বে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় ড. মোহাম্মদ রফিকুল আমীন আরও বলেন, আমরা বেকারমুক্ত দেশ গঠনে নিরলস কাজ করার চেষ্টা করছি, আমাদের হালিশহরে ৩ বিঘা জমি আছে সেখানে ৪০ তলা মাল্টিস্টোরেড ভবন করার পরিকল্পনা আছে, কক্সবাজারে আমাদের হোটেল কমপ্লেক্স চালু হবে। মাল্টিপারপাস চালুর মাধ্যমে ব্যবসার পরিধি আরো বাড়ানো হবে। নিত্য ব্যবহার্য পণ্যের উপর গুরুত্বারোপ করে রফিকুল আমীন বলেন, বিদেশি পণ্যে ছেয়ে গেছে আমাদের বাজার, আমরা যদি গুনগত মাণ বজায় রেখে পণ্য উৎপাদন করতে পারি তাহলে আমরা সাপ্লাই দিয়ে শেষ করতে পারব না।
এছাড়া খাদ্যে ভেজালমুক্ত ও নিরাপদ জীবন যাপনের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। ক্রেতা-পরিবেশক ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের পিএসডি ও দৈনিক ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মো. আবুল হাছান, ডায়মন্ড এক্সিকিউটিভ জহির উদ্দিন, মো. বাবর, ডায়মন্ড এক্সিকিউটিভ ও মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল ইসলাম।
আরও বক্তব্য রাখেন, মো. আরিফুল হোসেন, হেলাল খান টুটুল, মো. ওমর ফারুক, মো. রাজিব হোসেন, মো. আবু জাফর মিলন, মো. মইনুল ইসলাম, নুরুল আবছার, শরিফুল ইসলাম গাজী, মো. মোশারফ হোসেন পিএসডিদের মধ্যে (প্রফিট শেয়ার এন্ড ডিস্ট্রিবিউটর) বক্তব্য রাখেন আব্দুল হাই পাঠান হিমেল, নুরুন্নাহার বেগম, আলতাফ হোসেন শামীম, মো. সাইফুল ইসলাম নবাব, মো. আক্তার হোসেন, মো. কামরুজ্জামান সরকার (রিটন) মো. মাসুদ পারভেজ, মো. শাহজালাল আনসারী প্রমূখ।