স্টাফ রিপোর্টার: সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলে ২০২৫ সালের বিদ্যালয় ভিত্তিক বিনামূল্যে পাঠ্যবই দুর্নীতি করেছে চৌধুরীবাড়ী স্ট্যান্ডের জ্ঞানের আলো আইডিয়াল স্কুলের পরিচালক সাইফুল খন্দকার। নিজ কিন্ডার গার্টেন স্কুল শাখার নাম করে নতুন আইলপাড়া এলাকায় জ্ঞানের আলো মডেল স্কুল নামকরণ করে আরেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করে। যার কোন অনুমোদন নেই। কিন্তু এই সাইফুল খন্দকার শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছে এবং দুর্নীতির বরপুত্র হিসেবে চিহ্নিত রয়েছে। তার দুর্নীতি ও বিভিন্ন অপরাধের কারণে দুইবার মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট আটক করে জরিমানা আদায় করে। বর্তমানে বিগত বছরের ন্যায় এবারও বই নিয়ে দুর্নীতি করেছে জ্ঞানের আলো মডেল স্কুল এর সাইনবোর্ড রাতারাতি পরিবর্তন হয়ে মে ফ্লাওয়ার কিন্ডার গার্ডেন হয়ে গেছে। অথচ এই কিন্ডার গার্ডেনের কোন অস্তিত্বই নেই। মে ফ্লাওয়ারের নামসহ আরো ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে বই উঠিয়ে অন্যত্র বিক্রি করে দিয়েছে দুর্নীতিবাজ সাইফুল খন্দকার। আর এই সাইফুলকে দুর্নীতিতে সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করেছে গোদনাইলের বিভিন্ন স্কুলের পাঠ্য বইয়ের চাহিদাপত্রের অনুমোদনকারী ব্যক্তি পাঠানটুলী আইলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পবিত্র চন্দ্র বর্মন। অনুসন্ধানে জানা যায় এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন মনিরুল ইসলাম স্যার।
সেই মনিরুল ইসলাম অবসর নেওয়ার পর জ্ঞানের আলো মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে চাকুরী করছেন আর দুর্নীতিবাজ সাইফুলকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। তবে মনির মাস্টারের বিরুদ্ধেও রয়েছে ব্যাপক অভিযোগ। বর্তমানে রাতারাতি জ্ঞানের আলোর সাইনবোর্ড পরিবর্তন হয়ে মে ফ্লাওয়ার কিন্ডার গার্ডেন এর সাইনবোর্ড টাঙ্গালে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। অভিভাবকরা বলেন আমাদের ছেলে মেয়েরা স্কুল ড্রেস, খাতা-পত্র, ব্যাচ সহ রেজিষ্ট্রার খাতায় জ্ঞানের আলো স্কুলে পড়ছে কিন্তু এখন হঠাৎ করে দুর্নীতি ধরা পড়ায় প্রতারক সাইফুল ও মনির মাস্টার অভিভাবকদেরকে বলেন আমাদের স্কুল নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে তাই মে ফ্লাওয়ারের সাইনবোর্ড লাগিয়েছি। এখন থেকে কেউ স্কুলে আসলে বা জিজ্ঞেস করলে বলবেন আমাদের ছেলে-মেয়েরা মে ফ্লাওয়ারেই লেখাপড়া করছে। এতে করে বেশ কয়েকজন অভিভাবক ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
এদিকে প্রতারক সাইফুল নিজের অপরাধ এবং দুর্নীতির কথা স্বীকার করে বলেন বই উত্তোলন করা আমার ঠিক হয়নি। ভুল হয়েছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পবিত্র চন্দ্রের স্বাক্ষর ছাড়া কেউ বই উঠাতে পারে না, তাহলে শুধু আমরা কেন অপরাধি হবো। এদিকে এই বিষয়টি সর্ব মহলে জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পাঠানটুলী আইলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পবিত্র চন্দ্রের অনুমোদনে নাম সর্বস্ব এবং স্কুল নেই এমন ৬টি কিন্ডার গার্ডেনের বই উত্তোলনের দুর্নীতি তদন্ত করছে বলে জেলা শিক্ষা অফিস থেকে জানা গেছে। এ ব্যাপারে প্রতারক সাইফুল খন্দকার ও দুর্নীতিবাজ পবিত্র চন্দ্রের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার এবং জেলা প্রশাসকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে স্থানীয়রা।