চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:-দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর প্রকাশ্যে আসছে পটিয়া পৌরসভা শ্রমিকলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি কলিমুর রহমান। তার বাসা পৌর সদর বৈলতলী রোডে। তার পিতা নাম মরহুম হাজী দুদু মিয়া। কলিম মাথায় ক্যাপ পরিহিত এ প্রভাবশালী শ্রমিকলীগ নেতা ৫ আগষ্টের পর আত্মগোপনে চলে যান। বর্তমানে নিয়মিত থানায় আসা যাওয়া করতে দেখা যায়। তার আসা যাওয়া নিয়ে বিএনপি সহ বিভিন্ন মহলের তিব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বৈষম্য বিরোধী ছাএজনতার গত জুলাই – আগষ্ট বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পটিয়া থানায় বিস্ফোরণ আইনে সহ ৫/৫ টি মামলা হয়। ছাএ জনতার উপর হামলার মামলা হলেও মুল আসামিরা অধরা রয়েছে তার মধ্যে কলিমুর রহমান অন্যতম বলে জানান এলাকার লোকজন। এ বিষয় বৈলতলী রোড বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন,শফিকুর রহমান, শহিদুল ইসলাম, আবদুর রহিম,আবুল কাসেম সহ অনেকে। সুএে জানায় যায় আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতা থাকাকালীন শ্রমিকলীগে পদ ভাগিয়ে নিয়ে এলাকার নিরীহ লোকজন সহ বিএনপি নেতা কর্মী সমর্থকদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। এছাড়া মামলায় ফাঁসিয়েছেন নিকট আত্মীয় স্বজনকে। ১৮ সাল থেকে ২৫ সাল পর্যন্ত পরিসংখ্যান করলে দেখা যাবে সে নিজে অর্ধ শতাধিক মামলার বাদী বিবাদী। কলি মর রহমান একজন মামলাবাজ হিসেবে এলাকায় চিহ্নত বলে জানান ভুক্তভোগী দেলোয়ার হোসেন, আবদুর রহিম সহ অনেকে। এমনকি এক জায়গা তিনবার আদালতে মামলা করেন বলে অভিযোগ তুলেন দেলোয়ার হোসেন। তাছাড়া জায়গা জমি বিরোধ সংক্রান্ত বিষয়ে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন। মুলত আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন জাতীয় শ্রমিকলীগ পটিয়া পৌরসভার সিনিয়র সহ সভাপতি হয়ে নিজে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে লোকজন কে হয়রানি করে আসছেন বলে ভুক্তভোগী শফি, রহিম, মাসুম, শহিদ, আনোয়ার, জাগির, আবু আলম সহ একাধিক ব্যাক্তির সাথে কথা বলে জানা গেছে। কলিমুর রহমান গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান এলাকাবাসী। গোয়েন্দা সুএে জানায় কলিমুর রহমান দীর্ঘদিন পলাতক ছিল বর্তমানে এলাকায় অবস্থান করছে বলে শুনেছি শিগগিরই তাকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান। কলিম মুখ ডাকানো থাকে সব সময়।