স্টাফ রিপোর্টার: বন্দর উপজেলায় প্রতারণার ফাঁদ ফেলে নিঃস্ব করে দিচ্ছে মক্ষীরানী ইভা ও শান্তা নামে দুই সচতুর নারী। তাদের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইলিং সহ চাঁদাবাজির বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন নিরব থাকায় শান্তা ও ইভা সংঘবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন মানুষকে হয়রানী করছে। জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলায় দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীকে টার্গেট করে সুকৌশলে প্রতারণার ফাঁদ পেতে সর্বস্ব ছিনিয়ে নিচ্ছে এই দুই নারী। নবীগঞ্জ এলাকায় তাদের ঘাটি থাকায় এবং আরো কয়েকজন প্রতারক মিলে বন্দর থানা এলাকাসহ নারায়ণগঞ্জ শহরে বিচরণ করছে শান্তা ও ইভা। তাদের সরদার হলো কথিত সাংবাদিক নামধারী চাঁদাবাজ বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেল হাজতে বন্দি ভেজাইল্যা সুলতান মাহমুদ।
জেল থেকে জামিনে বের করার জন্য সুলতানের পক্ষ হয়ে এই দুই মক্ষীরানী কোর্টের বারান্দায় এবং জেল খানায় দৌড়াদৌড়ি করছে। গুরু জেলে কিন্তু শীর্ষরা বাহিরে থাকলে তেমন একটা ইনকাম হয়না। তাই মারমুখী হয়ে সুলতানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বাদী এবং ভুক্তভোগীদের বিভিন্ন ভাবে হুমকী ধামকী ও নাজেহাল করার চেষ্টা করছে ইভা ও শান্তা। প্রতারক ইভা ভেজাইল্যা সুলতানের অন্যতম সহযোগী এবং ভুয়া অনুমোদনহীন অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মানুষদের ধোঁকা দিচ্ছে। এছাড়াও বন্দর থানার বিভিন্ন এলাকায় ইভা ও শান্তা ভুয়া পরিচয়ে সাংবাদিকতার নাম করে চাঁদাবাজি করছে এবং সাধারণ নিরীহ মানুষদের জিম্মি করে হয়রানী করছে।
এদিকে স্থানীয় দুটি প্রেসক্লাবের দুজন কর্মকর্তা জানান বন্দরে ফেসবুক ও হলুদ সাংবাদিকদের দৌরাত্ম বৃদ্ধি পেয়েছে এবং নাম সর্বস্ব পত্রিকা ও অনলাইনের পরিচয়ে অরাজকতা সৃষ্টি করছে। অন্যদিকে পুলিশ জানায়, প্রতারক শান্তা ও ইভার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে সেগুলো তদন্ত করে দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতিমধ্যে জানা গেছে শান্তার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে এবং ইভার বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে বিস্তার অভিযোগ রয়েছে। শান্তা ও ইভা বয়সে তরুনী হওয়ায় সহজেই যে কাউকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলতে পারে। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে নারী নির্যাতনসহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলা মোকদ্দমার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে শান্তা ও ইভা। এ ব্যাপারে মক্ষীরানী ইভা প্রধান ও প্রতারক শান্তা আক্তারকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছে সচেতন মহল।