তপু রায়হান রাব্বি ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধিঃ নিয়তির কি খেলা, যেখানে সৌন্দর জীবন গড়ার জন্য পিতা-মাতা উৎসাহ অনুপ্রেরণা দেয়। আর আজ সেখানেই বাবা-মায়ের ঝগড়া থামাতে অল্প বয়সে সুন্দর জীবনকে দিতে হলো বলি। মর্মান্তিক এ করুন ইতিহাস ঘটে ময়মনসিংহের ফুলপুরের যুবক মোজাম্মেল হকের সাথে। সে ভিডিও কলে পরিবারের সাথে যুক্ত হয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। নিহত মোজাম্মেল হক(২০) উপজেলা ২ং রামভদ্রপুর সিংগীমারি গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে। সে পেশায় একজন গার্মেন্টস কর্মী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোজাম্মেল হকের বাবা-মা প্রতিদিনি নানান অজুহাতে ঝগড়াঝাটি করে থাকতো। আর এসব ঝগড়াঝাটির জন্যই বাড়ি থেকে কয়েক বছর আগে ঢাকায় চলে যায় ছেলে মোজাম্মেল। তবু তাদের ঝগড়া থামেনি। চলতেই থাকে তাদের ঝগড়া, আর সেইসব ঝগড়া প্রতিদিনই ছেলেকে মা ফোনের মাধ্যমে জানাতেন।
বলতেন তোমার বাবা আমার সাথে প্রতিদিন ঝগড়া করে। পরে ছেলে বাবা কে কল দিয়ে বলে তোমরা এই ভাবে ঝগড়া করলে আমি দেখবা মরে যাবো। এরপরে আবারো গত বুধবার শুরু হয় ঝগড়া। অবশেষে পরিবারের ঝগড়া সহ্য করতে না পেয়ে একপর্যায়ে ১৩ই মার্চ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ভিডিও কলে যুক্ত হয়ে বাবা মায়ের চোখের সামনে ঢাকা কেরানীগঞ্জ ভাড়াটিয়া(বসত ঘর) একটি হাফ বিল্ডিং বাসায় ঝন্নার সাথে দঁড়ি পেচিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়, নেমে আসে শোকের ছায়া। ছেলের লাশ আনার জন্য বৃহস্পতিবার সকালে ফুলপুর থেকে এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে পরিবারের লোকজন ঢাকায় কেরানীগঞ্জ গিয়েছেন।
নিহতের বাবা মফিজ উদ্দিন বলেন, আমাদের ভুলের কারণে আজ আমাদের সন্তান কতটা কষ্টে দুনিয়া ছেড়ে চলে গেল এটা শুধু আমরাই জানি। তবে এভাবে যে আমাদের একা রেখে চলে যাবে তা কল্পনাও করতে পারিনি। তবে পারিবারিক ঝগড়ার জন্য আমার ছেলের মৃত্যু হয়নি মানুষ গুজব ছড়াচ্ছে। ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আব্দুল হাদী সংবাদকর্মী তপু রায়হান রাব্বিকে জানান, উক্ত ঘটনাটি আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। তবে ঘটনাটি ঘটে ঢাকা কেরানীগঞ্জ এলাকায়। উক্ত ঘটনাটি ওই থানায় দায়িত্বরত অফিসাররা তদন্ত করবেন কি কারনে আত্মহত্যা। এছাড়াও এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আমরাও তাৎক্ষণিক তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।