২৪ শে অক্টোবর শুক্রবার দীপাবলির পূর্ণ লগ্নে যখন সারা দেশে কালীমা পূজিত হন বিভিন্ন রুপে, বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান এর মধ্য দিয়ে, ক্লাবের পূজো থেকে শুরু করে বাড়ির পুজোয়। চারিদিকে জ্বলে উঠে রং বেরঙের আলোক সজ্জা।
অন্যদিকে বংশ পরম্পরায় সকল রীতি নীতি মেনে কালী মাকে বিভিন্ন ফলের তৈরী পালা পরিয়ে , তবেই কালী মায়ের পূজো হয়, প্রথম থেকেই এই প্রচলন চলে আসছে, এই বছর ৫০ তম বছর, তাই মাকে সন্তুষ্ট করতে ও মায়ের কাছে প্রার্থনা জানাতে এই বছর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজনও করেছেন টালিগঞ্জ বয়েজ ক্লাব। পশ্চিমবঙ্গের বুকে এই রকম করে মাকে ফলের মালা পড়িয়ে কালী মাকে পূজো করতে দেখা যায় না। এই পূজো সকলের মন কেড়েছে, এমনকি জানা যায় ক্লাবের উদ্যোক্তাদের কাছে, দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা মানত করে যান, এবং ভক্তরায় মাকে এই ফলের মালা দেন। এমনকি কালী প্রতিমাও আনেন সাবেকী আনার , কোনো রকম করেন না । ফল ও ফূলের মালায় একদিকে সেজে ওঠে শ্যামা মা।আর একদিকে ব্রাহ্মণের মন্ত্র উচ্চারণে দেবী সন্তুষ্ট হন।
প্রিন্স রহিমুদ্দিন লেনের সংযোগ স্থলে অবস্থিত—- টালিগঞ্জ বয়েজ ক্লাবের উদ্যোক্তা সমীর কুমার সাহা জানান , এবারে আমাদের ৫০ তম বর্ষ, তাই প্রতি বছর যেভাবে পূজো করি , এবারে যেহেতু ৫০ তম বছর , আমরা এবারে একটু পূজোটাকে অন্যভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি, বিভিন্ন প্রোগ্রাম ও অতিথি সন্মান এর মধ্য দিয়ে ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। সকলের সহযোগিতা নিয়ে। তাই সকলের কাছে কৃতজ্ঞ,
আর একটা কথা বলা দরকার, মাকে যে ফলের মালা দেন। তাহার মানতের ওপর নির্ভর করেই মালা তৈরি করা হয়। প্রতি বছর একি ওজন থাকে না। মায়ের মালা দশ কেজি ওজনের ফলের হতে পারে , আবার পাঁচ কেজিরও হতে পারে আবার কুড়ি কেজির ও হতে পারে ।।যে যেমন মানত করবেন ফল , আর এই পূজো টাকে প্রচারের আলোয় আনায়, দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা ছুটে আসেন। জায়গার অভাবে হয়তো অনেক অসুবিধা থাকে , কিন্তু যখন কেউ দূর থেকে এসে মাকে দর্শন করেন,আমরা সব কথা আর সবার কথা ভুলে যায়, আমাদের আনন্দ হয় ।আমরা যে এলাকায় যে পরিবেশে সবাই কে নিয়ে পূজো করি, আর এখানে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করে , এবং পূজো টা গলির মধ্যে কষ্ট করে করতে হয় , হাজার বাধার মধ্য দিয়ে।
এবারে আমাদের ৫০ তম বর্ষে, প্রতিমার শুভ সূচনা করেন জ্বী বাংলা সিরিয়াল খ্যাত ফুলকি। এছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে, বেশ কিছু সন্মানিত ব্যক্তিকে সন্মাননা প্রদান করেছি,
সাংবাদিক, পুরোহিত, ডেকোরেটর, তবলা বাদক, পটুয়া, সিঙ্গার, পেনসনার অ্যাসোসিয়েশন, ইলেকট্রিসিয়ান প্রভৃতিকে, তাহাদের উত্তরীয় ও ব্যাচ পরিয়ে হাতে স্মারক তূলে দিয়ে সন্মান জানাই, উপস্থিত সকল অতিথিদের।
এছাড়াও আমরা পুজোতে ছোটদের জন্য অঙ্কন প্রতিযোগিতা ও নৃত্য প্রতিযোগিতা এবং মহিলাদের একটি প্রতিযোগিতাও রেখেছিলাম।
কয়েকদিনের পূজোতে মেনে উঠেন এলাকার সকল ছোট ছোট ছেলে মেয়ে থেকে অন্যান্য রা।
আজ সিন্দুর খেলার মধ্য দিয়ে মাকে বেদনা ভরা ও অশ্রু জলে বিদায় দিলাম , আর জানালাম আসছে বছর আবার আলো করে আসো ,আর আমাদের মূল ত্রুটি মার্জনা করে দিও ।।আমাদের সকলকে ক্ষমা কোরো ।।
এবারে পঞ্চাশ তম বর্ষে, আমরা বেশ কয়েকটি সম্মানী ভূষিত হয়েছি। সকলের ভালোবাসায়।