1. [email protected] : adminbackup :
  2. [email protected] : Gk Russel : Gk Russel
  3. [email protected] : stnews :
বন্দরে আজমেরী ওসমানের দোসর শাহীন, কবির, মোস্তফা, লিপি এক অশান্তির… - শিক্ষা তথ্য
মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১২:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
অসুস্থ সাংবাদিক সোবহান ফারুককে বিএনপি নেতা তানভীর হুদার আর্থিক সহায়তা প্রদান সোনারগাঁয়ে ‘মিথ্যা’ মামলায় ব্যাবসায়ী নূরে আলমকে ফাঁসানোর অভিযোগ কলাপাড়ায় বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উদযাপন মহিপুরে তিনটি অবৈধ ট্রলিং বোট জব্দ সাংবাদিকদের রুটি-রুজী-জীবনের নিরাপত্তা ও বিভুরঞ্জনের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে সংবাদবন্ধন পটিয়ার কচুয়াই কালভার্ট নির্মাণে কৃষি জমি অনুপযোগী হওয়ার আশংকা পটুয়াখালীর মহিপুর দিনমজুরকে পেটানোর অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিত রামেক হাসপাতালে নার্সদের দুর্ব্যবহার, অবহেলার অভিযোগ বেলকুচিতে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রয় উদ্বোধন করলেন ইউএনও!  বাউফল ডাকাতির সময় গণপিটুনিতে নিহত ১,আহত ১

বন্দরে আজমেরী ওসমানের দোসর শাহীন, কবির, মোস্তফা, লিপি এক অশান্তির…

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৫
  • ৩৮ Time View

বন্দর প্রতিনিধিঃ নারায়নগঞ্জ বন্দরের মদনপুর ফুলহর এলাকার ২৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা শাহীন মিয়া, কবির, মোস্থফা, লিপি আক্তার ফুলহরের জন্য অভিশপ্ত হয়ে উঠছে। গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন সাবেক এমপি নাসিম ওসমানের পুত্র আজমেরী ওসমানের অন্যতম সহযোগী হিসেবে নিজের আর্বিভাব ঘটায় মাদক সম্রাট শাহীন। একই গ্রুপের ছিল কবির হোসেন। গত ৫ আগষ্টের পর একটু ঘাপটি মেরে বসে থাকা শাহীন, কবির, মোস্তোফা, লিপি আক্তাররা মিলে ধরাকে সরা ঞ্জান করা শুরু করে। শাহীন ফুলহর এলাকার ইউসুফ মিয়ার ছেলে, এলাকাবাসীর কাছে ইউসুফ মিয়া পয়েন ইউসুফ নামে পরিচিত। আর শাহীন মিয়া পরিচিত গিরিঙ্গি শাহীন নামে।

আওয়ামী লীগের ক্ষমতাকালীন সময় তিনি মদনপুর ফলুহর সব আশেপাশের এলাকাগুলোতে আজমেরী ওসমানের প্রভাব খাটিয়ে ভূয়া ওয়ারিশ নামা দলিল সহ, ভেজাল দলিলের মাধ্যমে অল্পদামে জমি ক্রয় করে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জমির প্রকৃত মালিকদের কাছ থেকে তাদের জমি, বসতভিটা হাতিয়ে নিয়ে তাদেরকে সর্বশান্ত করেছে। সে সময় আজমেরী ওসমানের ঘনিষ্ঠ লোক হওয়ায় এই গিরিঙ্গি শাহীনের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে বা প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। ভূয়া দলিলের মাধ্যমে জমির ব্যবসার পাশাপাশি তার অধীনে থাকা সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে তিনি নিয়ন্ত্রণ করেছেন এলাকার বেশ কিছু মাদক স্পট। জমি ও মাদক স্পট নিয়ন্ত্রণে টাকায় আওয়ামীলীগের ক্ষমতার ১৬ বছরে শাহীন কোটিপতি বনে যায়।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরাচারী সরকারের পতন হলে কিছুদিনের জন্য ঘা ঢাকা দেয় ফ্যাসিস্ট ওসমান পরিবারের এই দোসর শাহীন মিয়া, কবির ওরফে ফেন্সি কবির, মোস্তফা । বর্তমানে তারা আবারো এলাকায় ফিরে এসে নিজের ভোল পাল্টে পুরনো রূপে আবির্ভূত হয়েছে। স্থানীয় কিছু বিএনপি নেতাকে ম্যানেজ করে এই স্বৈরাচারী সন্ত্রাসী নব্য বিএনপি সাজার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এলাকাবাসী জানান, স্বৈরাচারী সরকারের আমলে ফুলহর ও আশেপাশের এলাকায় এই শাহীন আজমেরী ওসমানের লোক পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন অত্যাচার চালিয়েছে। অসহায় মানুষের জমি, বসত ভিটা ভূয়া কাগজের বলে দখল করে বিক্রি করে তাদেরকে পথে বসিয়ে এালাকা ছাড়া করেছে। এমন কি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় শাহীন মিয়া মদনপুর এলাকায় তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়েছে।

সরকার পতনের পর কিছু দিন ঘা ঢাকা দিয়ে ছিল এই সন্ত্রাসী। আওয়ামী লীগ পতনের পর আমরা ভেবে ছিলাম এলাকায় শান্তি ফিরবে। কিন্তু ওই শাহিন স্থানীয় কিছু বিএনপি নেতাকে ম্যানেজ করে তাদের সাথে মিশে গিয়ে আবারো এলাকায় আগের মত অত্যাচার নির্যাতন শুরু করেছে। বিভিন্ন জনের কাছে চাঁদা দাবি করছে। তার অত্যাচারে আবারো অতিষ্ঠ হতে শুরু করেছে ফুলহর এলাকার সাধারণ নিরীহ মানুষ।
প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এলাকাবাসীর দাবি অবিলম্বে এই আওয়ামী সন্ত্রাসী আজমেরী ওসমানের অন্যতম সহযোগী শাহিন মিয়াকে তার অতীত কর্মকান্ডের জন্য গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করে এলাকাবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরিয়ে দেয়া হোক।

এক লিপিতে অশান্তিতে ফুলহরবাসী এক লিপি’র বিয়ে নামে কাবিন বানিজ্যে অশান্তিতে নারায়ণগঞ্জ বন্দরের ফুলহর গ্রামবাসী । একের পর বিয়ে প্রতারণায় ফুলহর এলাকায় একাধিক পারিবারে অশান্তি সৃষ্টি করেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। লিপি আক্তার নিজের বড় বোনের স্বামী কবির মিয়াকে বিয়ে করে তিন বছরে তিন দফায় ডিভোর্সে আলোচনা ও সমালোচনায় উঠে এসেছে লিপি আক্তার। লিপি আক্তারের মা বলেন, লিপি আমার মেয়ে। সে বড় মেয়ের সংসার নষ্ট করেছে। এখন আবার ছোট মেয়ের স্বামী মোস্তফা মিয়ার সঙ্গে পরকীয়া অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে। তাকে অসামাজিক কর্মকান্ড থেকে ফিরিয়ে আনলেও এখনো ভালো হয়নি। আমি চাই, সমাজ ও আইন তার যেন বিচার করেন ।

স্থানীয়রা জানান , লিপি আক্তারের বিয়ে কর্মকাণ্ডে এলাকায় একাধিক পারিবারে দ্বন্দ্ব ও অশান্তি তৈরি হয়েছে। এসব কর্মকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন ফুলহর সহ আশপাশের গ্রামবাসী । স্থানীয়দের অভিযোগ, তিনি একাধিক বিয়ে করে ডিভোর্স দিয়ে কাবিনের টাকা দাবি করে থাকেন। অভিযোগ আরো রয়েছে, লিপি আক্তার তার বড় বোনের স্বামী কবির মিয়ার সঙ্গে প্রায় তিন বছর সংসার করেন। এ সময়ে তিন দফা ছাড়াছাড়ির পর আবারও বিয়ে হয়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই সংসার ভেঙে যায়। সম্প্রতি পুনরায় কবির মিয়ার কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে নতুনভাবে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ উঠেছে।

লিপির মা অভিযোগ করে আরও বলেন, আমার মেয়ে লিপি আমার বড় মেয়ের সংসার নষ্ট করেছে। এখন আবার ছোট মেয়ের স্বামী মোস্তফার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে। কয়েক বছর আগে তাকে অসামাজিক জীবন থেকে ফিরিয়ে আনলেও সে ভালো হয়নি। মা হয়ে আমি চাই, সমাজ ও আইন যেন এর বিচার করে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, লিপি আক্তারের এসব কর্মকাণ্ডে এলাকায় নানা ধরনের পারিবারিক দ্বন্দ্ব ও অশান্তি তৈরি হচ্ছে। তারা এর সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয় লিপি আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তিনি সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত হন। এবং কোনো মন্তব্য করেনি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সাইবার প্লানেট বিডি