শেখ আরিফ,নারায়ণগঞ্জ-বন্দর:কার্ড ও ভাতার বই পাওয়ার ৪বছর পার হলেও ভাতা পাচ্ছেন না নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দরের ২২নং ওয়ার্ডের শারিরীক প্রতিবন্ধী দোয়া রফিকুন নিসা(৮) নামে এক শিশু। যদি কোন অনুদান আসে তাহলে পাবেন অথবা আবেদন করে দেখেন ৩বছর ধরে এমন নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে অসুস্থ পিতাকে ঘুরিয়েছেন বন্দর উপজেলা সমাজসেবা সংশ্লিষ্টরা। একাধিক বার যোগাযোগ করেও হয়নি বলে জানান প্রতিবন্ধী শিশুটির পিতা রফিকুল ইসলাম। বরং তাকে তিরস্কারও করেন সমাজ সেবা অফিসের এক কর্মী। বন্দর ২২নং ওয়ার্ডের আমিন আবাসিক এলাকার শহিদুল মিয়ার ভাড়াটিয়া হকার রফিকুল ইসলাম জানান,আমি নারায়ণগঞ্জে এক ঘড়ির হকারী করে স্ত্রীসহ ২মেয়ে নিয়ে কোন রকমে জীবন যাপন করছি। আমার ২ মেয়ের মধ্যে রফিকুন নিসা নামে এক মেয়ে শারিরীক প্রতিবন্ধী। গত ২-৩ বছর ধরে শারীরিক সমস্যার কারণে জীবিকা নির্বাহে খুব কষ্ট হচ্ছে। এ অবস্থায় অভাব-অনটনের সংসারে তার প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে বেকায়দায় আছি। মুখে কথাও বলতে পারে না,কানেও শুনতে পায় না। এ কারণে চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগীতায় প্রতিবন্ধীদের তালিকায় দোয়া রফিকুন নিসার নাম লিপিবদ্ধ করেছি। ২০২০ সালের ৮ আগষ্ট তার নামে ইস্যু করা হয় প্রতিবন্ধী কার্ডও। দেয়া হয় ভাতার বই। এর পর অদ্যাবধি কোন সরকারি সাহায্য-সহযোগীতা পায়নি সে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে, মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে সমাজসেবা অফিসের লোকজন আমাকে চার বছর হয়রানি করেছেন। অফিসের অন্যান্য অফিসাররা আমাকে নানা তালবাহানা দেখিয়ে তিরস্কার করেন। অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার ফয়সাল বলেন, বরাদ্দ না থাকায় সে ভাতা পাচ্ছে না। তথ্যগত সমস্যার কারণে কিছু ভাতায় সমস্যার তৈরী হয়েছে। তবে এ (দোয়া রফিকুন নিসা) ভাতাটি কেন পাচ্ছেনা তা আমি দেখছি। এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন,অভিযোগ পেলে বিষয়টি আমি তদন্ত করে দেখবো।