নিজস্ব প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের বন্দরে গোসলের ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে টানা চার বছর এক গৃহবধুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ফয়সাল নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় দু’দফায় দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ১নং নয়ানগর মাউরাবাড়ী এলাকায়। ফয়সাল ওই এলাকার বরকত উল্লাহ ছেলে। ভুক্তভোগী ওই নারী বন্দর সোনাকান্দা এলাকার মৃত মনসুর আলীর মেয়ে মিলি আক্তার। ভুক্তভোগী নারী জানায়, ২০১৮ সালে কল্যান্দি ১নং নয়ানগর শশুড়বাড়ী এলাকায় রাজ্জাক মিয়ার টিউবলে গৃহবধূ গোসল করছিলেন। ওই সময় গোপনে টিনের উপর দিয়ে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেন পার্শ্ববর্তী বরকত উল্লাহ ছেলে ফয়সাল। এরপর সেই গোসলের ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল করে দেবে বলে হুমকি দেন। এক পর্যায়ে ওই গৃহবধু তার সংসার বাঁচাতে একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হন। একই সঙ্গে ভিডিওটি ফেসবুকে না ছড়ানোর জন্য অনুরোধ করেন। বিষয়টি তার শশুড়বাড়ীর লোকজনের মধ্যে জানাজানি হলে ওই গৃহবধুকে তালাক দিয়ে দেন তার স্বামী নাছির। পরবর্তীতে কোরআন শরীফে হাত রেখে ওই গৃহবধুকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে টানা চার বছর ধর্ষণ করে আসছে। ভুক্তভোগী নারী আরও জানান, ফয়সালে মা আমাকে তার বাসায় ডেকে এনে তার ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিবে বলে দুই লাখ টাকা নিয়েছে, সেই টাকা নিয়ে সৌদি আরব চলে যায়। এরপরও আমার সাথে প্রতিনিয়তই যোগাযোগ রাখে। কিন্তু হটাৎ ৫/৭ মাস যাবৎ আমার সাথে কোন যোগাযোগ করে না। আমি তাদের বাসায় গেলে আমাকে শারিরিকভাবে নির্যাতন করে। এঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করলেও বন্দর থানায় তদন্ত দেয়া হয়। কিন্তু বন্দর থানার তদন্ত ওসি আবু বকর সিদ্দিক বিবাদী পক্ষের কাছ থেকে টাকা খেয়ে তদন্ত রিপোর্ট দিয়ে দেয়। এছাড়াও স্থানীয় নারী মেম্বার বিউটির কাছে সুবিচার চাইলেও কোন প্রতিকার পাননি। এবিষয় বন্দর থানার তদন্ত ওসি আবু বকর সিদ্দিক জানান, ওই নারী দুই লক্ষ টাকার প্রতারণা মামলা করলে থানায় তদন্ত আসে। পরবর্তী সময়ে আমরা তদন্ত করে টাকার কোন প্রমান পাইনি। যার জন্য আমরার তদন্ত রিপোর্ট দিয়েছি। এবাবদ কোন টাকা পয়সা কারো কাছ থেকে নেইনি।