বন্দর উপজেলা জাতীয়পার্টির বিতর্কিত দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক সুমন প্রধানের বিরুদ্ধে নানা অনৈতিক কর্মকান্ড ও অসামাজিক কর্মকান্ডে ফুসে উঠেছে বুরুন্দী গ্রামবাসী। ইতিপূর্বে বিতর্কিত এই নেতা আপন শ^াশুরীর সঙ্গে পরকিয়া প্রেমে লিল্প হওয়ায় অসামাজিক কাজ করার ঘটনায় বুরুন্দী গ্রামের মানুষের জনরোষের শিকার হয়। পরবর্তীতে সে মুচলেকা দিয়ে কিছুদিন গা ঢাকা দেয়। বিগত স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডে মেম্বার প্রার্থী হয়েছিল সুমন প্রধান। ওই সময় সে বিপুল ভোটে পরাজিত হওয়ার পর এলাকাবাসীকে ভোট দেয়নি বলে নানাভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে হয়রানি করেছে। বুরুন্দী গ্রামে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধানের ঘনিষ্ট এক লোকের কাছে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সুমন প্রধান ১০ লাখ টাকা চাদা দাবী করে হুমকি প্রদান করে। পরে ওই ভূক্তভোগী জমির মালিক বাদী হয়ে সুমন প্রধানের বিরুদ্ধে চাদাবাজী মামলা করেন। তখন সে পালিয়ে যায়। পুলিশ তাকে গোপনে ঢাকা যাত্রাবাড়ি থেকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়। এছাড়াও এই ভূমি দস্যু সুমন প্রধানের বিরোদ্ধে কলাগাছিয়াবাসী একাধিক স্থানে মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সভাও করে। জা’পা কথিত নেতা সুমন প্রধান ২০০১সালে বাংলাদেশ নিবন্ধন বাতিল সংগঠন জামায়াত ইসলামী সংগঠনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে বিভিন্ন নাশকতা মুলক কর্মকান্ড করে বেড়াত। পরে বাংলাদেশ আ’লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার দীর্ঘদিন গা ঢাকা দেয়। পরবর্তী সময়ে জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্যাহ মিয়ার হাত ধরে জাতীয় পার্টিতে অনুপ্রবেশ করে। জাতীয় পার্টি বিতর্কিত নেতা সুমন প্রধান মঙ্গলবার ভোর ৬টায় কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ডের মোহনপুর ডকইয়ার্ডের পাশে এক ঠেড়াঘরে অনুপ্রবেশ করে ঠেলাগাড়ি চালক কালু মিয়ার অনুপস্থিতিতে তার সুন্দরী স্ত্রী রুবিনা বেগমকে মোটা টাকার প্রলোভন দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। পরে ওই সুন্দরী নারী সুমন প্রধানের অনৈতিক প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যাত করে চিৎকার দিয়ে গালমন্দ করতে থাকলে আশপাশের লোকজন এসে সুমন প্রধানকে উত্তম মধ্যম দিলে অবস্থা বেগতিক দেখে উপস্থিত উত্তেজিত জনরোশের কবল থেকে মুক্ত হয়ে কোন রকমে সুমন প্রধান ভেড়া ভেঙ্গে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ডের মনির মেম্বারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,ঘটনা আমি শুনেছি। তবে কাজটা খুব লজ্জা জনক। আগামী শুক্রবার স্থানীয় লোকজন নিয়ে এ ব্যাপারে একটা সুরাহা করব। বন্দর থানা জাতীয়পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মাঈনুদ্দিন মানু বলেন,জাতীয়পার্টি হচ্ছে একটা স্বচ্ছ ও নির্ভেজাল সংগঠন। বুরুন্দী এলাকার সুমন প্রধানের বিরুদ্ধে এর আগেও অনেক অপকর্ম শুনেছি। এজন্য আমাদের নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের মাননীয় এমপি সেলিম ওসমান সাহেবও সুমন প্রধানকে সাবধান করে দিয়েছিল। ঘটনা সত্য প্রমানিত হলে জাতীয়পার্টির মত একটি সুশৃঙ্খল দলে এসব লোকের কোন ঠাঁই নাই। নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয় পার্টির দপ্তর সম্পাদক রোমান হোসাইন বলেন,সুমন প্রধান একটা বাজে প্রকৃতির লোক। এদের মত বদলোকের কারনে দলের বদনাম হচ্ছে। আমি পার্টির সভাপতিকে অবগত করে এসব চরিত্রহীন নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।