বন্দর প্রতিনিধি: কলাগাছিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাইয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে দৈনিক উজ্জীবিত বাংলাদেশ পত্রিকার সাংবাদিক শামীম ইসলামকে প্রকাশ্যেই প্রাণনাশের ও শারীরিক হানি-হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার ১৬ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সাংবাদিক হুমকির ঘটনায় মাদক ব্যবসায়ী ব্লাক জনি, নৌ-ডাকাত শিপন, মাদক ব্যবসায়ী তুহিন ও সোহেলের নাম উল্লেখ করে আরো ৪/৫জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বন্দর থানায় একটি জিডি দায়ের করেন সাংবাদিক শামীম। অভিযুক্ত তুহিন ঘারমোড়া কাজী বাড়ি এলাকার লিটন মিয়ার ছেলে। তুহিন বন্দরের শীর্ষ মাদক সম্রাট মতিউর রহমান জনি ওরফে ব্লাক জনি ও নৌ-ডাকাত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র হত্যা মামলার আসামি শিপনের সহযোগী হিসেবে পরিচিত।
জানা গেছে, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনে অভিভাবক পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছে শীর্ষ মাদক সম্রাট মতিউর রহমান জনি ওরফে ব্লাক জনি। এই নিয়ে স্থানীয় পত্র-পত্রিকাসহ ঢালাওভাবে মাদক সম্রাট জনিকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। যা নিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝঁড় ওঠে।
এদিকে বৃহস্পতিবার ১৬ অক্টোবর সকালে ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই করার সময় ছিল। প্রার্থী যাচাই-বাছাই করার তথ্য সংগ্রহ করতে যান দৈনিক উজ্জীবিত বাংলাদেশ পত্রিকার সাংবাদিক শামীম ইসলাম সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা। কিন্তু সকাল থেকে বিদ্যালয়ের আশেপাশে মাদক সম্রাট ব্লাক জনি এবং নৌ-ডাকাত শিপনের লোকজন জড়ো হয়ে থাকে। পরে মোটরসাইকেল যোগে বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি মুদি দোকানের সামনে গেলে সেখানে বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন, সেখানে মাদক ব্যবসায়ী ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে এনিয়ে আলোচনা করার সময় অপর পাশ থেকে তুহিন গালাগালি ও আকস্মিক হুমকি প্রদান করেন। সাংবাদিক শামীমকে উদ্ধৃতিতে তুহিন বলেছিল: তোর হাত কেটে ফেলমু। সাংবাদিক হত্যা করলে কিছু হবে না — বিশ লক্ষ টাকা খরচ করমু, সব কিছু শেষ হয়ে যাবে। পুলিশ-উকিল টাকা দিলে সব আমাদের পক্ষে।
স্থানীয়রা বলছেন, এলাকায় জনিসহ মাদক চক্রের প্রভাব রয়েছে। যারা সাংবাদিক সমাজের পক্ষে অপরাধীদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে তাদেরকে হুমকি-ধামকি করা হয়। অনেকেই এ ধরনের হুমকির কারণে সংবাদ সংগ্রহ ও স্থানীয় সমস্যা তুলে ধরা থেকে বিরত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন।
সাংবাদিক শামীম ইসলাম জানিয়েছেন তিনি নিজে নিরাপত্তা আশঙ্কায় এবং ভবিষ্যতে ঘটনার পুনরাবৃদ্ধি রোধে দ্রুত প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেবেন এবং দায়ীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। সাংবাদিক সংগঠনগুলোও এই হুমকিকে গভীরভাবে নিন্দা করে দ্রুত বিচার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়েছে।