বন্দর প্রতিনিধি: বন্দরে মোবাইলের এমবি শেষ করার জের ধরে বিজলী আক্তার ওরফে আমেনা (২৮) নামে এক গৃহবধূকে মাছ কাটার বটি দিয়ে কুপিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ঘাতক স্বামী বিরুদ্ধে । হত্যাকান্ডের ঘটনার কিছুক্ষণ পর ঘাতক স্বামী রতন চন্দ্র দাস ওরফে ইমরান থানায় গিয়ে স্বেচ্ছায় আত্নসমর্পণ করেছে । গত শনিবার (৫ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টায় বন্দর র্যালী আবাসিক এলাকাস্থ আব্দুল মমিন মিয়ার ভাড়াটিয়া বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত গৃহবধূ বিজলী আক্তার আমেনা সুদূর কুমিল্লা জেলার লাঙ্গলকোট উপজেলার কান্দাল হাজীবাড়ি এলাকার বাহার মিয়ার মেয়ে। ঘাতক স্বামী রতন চন্দ্র দাস ওরফে ইমরান (৪০) বন্দর থানার এনায়েতনগর ঋষিপাড়া এলাকার ভাড়াটিয়া তপন চন্দ্র দাসের ছেলে।
আহত গৃহবধূ বিজলী আক্তার ওরফে আমেনা গত শনিবার দিবাগত রাত ১টা ২০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে।
হত্যাকান্ডের ঘটনার খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।
এ ঘটনায় নিহতের ছোট বোন বৃষ্টি আক্তার মরিয়ম বাদী হয়ে ঘাতক স্বামী বিরুদ্ধে বন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে। যার মামলা নং- ৯(৭)২৫।
নিহতের ছোট বোন বৃষ্টি আক্তার জানান, গত ৯ মাস পূর্বে আমার বড় বোনের সাথে ঘাতক স্বামী রতন চন্দ্র দাস ওরফে ইমরান বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী স্ত্রী বন্দর র্যালী আবাসিক এলাকার ২ নং গলি আব্দুল মমিনের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছে। বাদিনী একই বাড়িতে একই ফ্লাটে ভাড়া থাকে। তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়ত তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। এর ধারাবাহিকতায় গত (৫ জুলাই) রাতে মোবাইলের এমভি শেষ করা নিয়ে দুই জনের মধ্যে কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে স্বামী ইমরান ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো মাছ কাটার বটি দিয়ে মাথায়, বুকে ও পিটে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
পরে তার ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে আমার বড় বোনকে মুর্মুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্মব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি লিয়াকত আলী বলেন, হত্যাকান্ডের পর আসামি থানায় এসে সেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছে। নৃশংস এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের বোন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।