বন্দর প্রতিনিধিঃউলেখ্য নারায়ণগঞ্জ তরিক হোসেন বাপ্পী জানান নাসিক ১৯ নং ওয়ার্ড, শান্তিনগর এলাকায়,দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করে আসিতেছি, আমার পাশের বাড়ির গুটিকয়েক প্রতিবেশী লোভী ব্যবসায়ীরা নিজের স্বার্থে, সরকারি খাস জায়গায় দীর্ঘদিন যাবত আমার বাড়ির দেয়াল ঘেঁষে খোলা মেলা ভাবে গরু পালন করে আসছে, কিন্তু তাদের ময়লা যাবার কোন মাধ্যম করে নেই।
‎তাহারা তদের ব্যবসার লাভের অংশ ভোগ করে, কিন্তু পশুর মলত্যাগ ও ময়লা এবং পরিছন্নতার কোন ব্যবস্থা এখন করেনি । পাশাপাশি তাদের ব্যবহৃত মানুষের টয়লেটের মলত্যাগ ও খালি স্থানে পরিত্যক্ত হচ্ছে। আমি বাড়িটিতে দীর্ঘদিন থাকার কারণে পশু ও মানুষের ময়লা প্রচন্ড দুর্গন্ধ এবং ময়লা স্থানটিতে থেকে বিভিন্ন বিষাক্ত পোকা, মাচ্ছি, ও ডেঙ্গু মশার ব্যাপক উৎপাত,এতে আমার পরিবার ডেঙ্গুর প্রকোপে একাধিকবার আক্রান্ত হচ্ছে।জানাযায়
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ১৯ নং ওয়ার্ড শান্তিনগর এলাকাটি গণবসতিপূর্ণ এলাকা অথচ অত্র এলাকাটিতে এখন পর্যন্ত ড্রেনের ব্যবস্থা না থাকায় পানি ও ময়লা নিষ্কাশনের ভয়ানক জনদুর্ভোগে বসবাস করে আসছে বাপ্পি ও তার পরিবার।
‎‎জনদুর্ভোগের এই বসবাস কে আরো তীব্র করে তুলেছে, এলাকার কিছু লোভি ব্যবসায়ী,যেখানে মানুষ বসবাসের ময়লা ত্যাগের কোন ড্রেন নেই, অথচ সেই স্থানটিতেই তারা অপরিকল্পিত ভাবে পশু পালনের খামারি হয়ে আছেন, কিন্তু তাদের পশুর ময়লায় ভুক্তভোগী হচ্ছে বাপ্পির পরিবার, দুর্গন্ধে, নোংরা ময়লা পানিতে বিভিন্ন পোকা, ডেঙ্গু মশার প্রজম্মক্ষেত্র হয়ে আছে নিজ বাসস্থান।
‎‎প্রতিটি দিন জীবনযাপন করতে হয়। সারাদিন কর্মব্যস্ততার পরে
‎ নিজ বাসস্থানে শান্তি ও নিরাপদে ক্লান্ত জীবন টাকে স্বস্তি নিশ্বাস ফেলা দায় হয়ে পড়েছে। কিন্তু আসাদু লোভি প্রতিবেশীদের অপরিকল্পিত ব্যবসায় জনদুর্ভোগের শিকার হচ্ছি আমি আর আমরা পরিবার।একটা বনের পাখিও দিনশেষে নিরাপদ আশ্রয় বসবাস করে। ‎বাপ্পি আরো বলেন অথচ মানুষ হয়েও নিজ বাসস্থানে বছরের অধিক সময় অসুস্থ জীবন যাপন করতে হচ্ছে এই লোভি ব্যবসায়ীদের কারণে, গত তিনটা বছর যাবত তাদের সাথে কথা কাটাকাটি হইতাছে কিন্তু কোন, সমাধানে আসতে পারেনি তারা তবে তাদের ব্যবসা চলমান রেখেছেন।
‎‎বিষয়টি একাধিকবার গ্রাম পঞ্চায়েত কে জানানোর পরও কোন উপায় না পেয়ে, আমি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ১৯ নং ওয়ার্ড সচিব সরকারকে ঘটনাস্থলটিকে ভিডিও ধারণ করে তার হোয়াটসঅ্যাপে পাঠাই, এবং তার সাথে ফোনে কথা বলি তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন ঈদের ছুটির শেষ হলে সরকারি প্রথম কর্ম দিবসেই সিটি কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবগত করবেন।
‎সিটি কর্পোরেশনের নিয়মিত মনিটরিং না থাকায়, শহরের নানা অপরিকল্পিত ব্যবসা পরিচালিত হয়ে আসছে, একটি শহর এলাকায় কিভাবে দিনের পর দিন অপরের ক্ষতি করে ব্যবসা পরিচালনা করা যায় সেটা একমাত্র নারায়ণগঞ্জই সম্ভব।
‎ তাই আমি স্বেচ্ছায় বাধ্য হয়ে অন্য কোন এলাকায় বাসা ভাড়া থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এবং বাড়িটি বিক্রি করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছি। আমার দুটি সন্তান দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ একাধিকবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হইয়াছে এখনো প্রচন্ড অসুস্থ, সন্তানের সুস্থতার জন্য সিদ্ধান্তটি নিয়েছি।
‎‎সরকারের প্রতি আমার বিনীত অনুরোধ অত্র বিষয়টি আমলে নিয়ে ঘটনাস্থলটি পরিদর্শন করুন,
‎এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন, পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশনের অধীনে একটি ড্রেন করে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।