বাউফল(পটুয়াখালী)প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর বাউফলে পরিবেশবান্ধব গাছ সুরক্ষায় পেরেক অপসারণ কর্মসূচি পালন করছে উপজেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উপকূলীয় বনবিভাগ পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা প্রশাসন ও সামাজিক বনায়ন বাগান কেন্দ্রের আয়োজনে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম চলমান এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এ উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত পরিসরে এক র্যালী ও উপজেলা পরিষদ চত্বরের কয়েকটি গাছ থেকে পেরেক ঠুকে ঝোলানো সাইনবোর্ড ও লোহার পেরেক আসারণ করা হয়। এ সময় উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. মনিরুজ্জামান, উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. বদিউজ্জামান সোহাগসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণ উপস্থিত ছিলেন। সর্মসূচির উদ্বোধনকালে উপজেলা বনকর্মকর্তা মো. বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, ‘চলমান এই কর্মসূচির আওতায় উপজেলার বিভিন্ন সড়কের পাশের গাছ থেকে পর্যায়ক্রমে পেরেক অপসারণ করা হবে। বন বিভাগের গভেষনা ইন্সটিটিউট ইতিমধ্যে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক কিছু প্রজাতির গাছ চিহ্নিত করে তালিকা প্রনয়ন করেছে। এই উপজেলায় পরিবেশ প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা ‘সেভ দি বার্ড এ্যান্ড বি’র মতো সংগঠনগুলোকে সাথে নিয়ে আরো কোন ক্ষতিকর প্রজাতি থাকলে চিহ্নিত করব। দেশি প্রজাতির পরিবেশবান্ধব গাছে পরিকল্পিত বনায়নের মাধ্যমে পরিবেশটাকে সুন্দর রাখার চেস্টা চালিয়ে যাব।’
উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম কর্মসূচির উদ্বোধনকালে বলেন, ‘গাছেরও জীবন আছে। গাছ পরিবেশের বন্ধু। অনেক গাছ মরে যাওয়ার একটি অন্যতম কারণ গাছের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের পেরেক মেরে এবং লোহা দিয়ে বিদ্ধ করে পোস্টার সাটানো। এতে গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়ে গাছ অকালে মরে যায়। গাছেরও জীবন আছে এই উপলব্দিটা যেন আমাদের সকলের মধ্যে থাকে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা সচেতন করতে যাচ্ছি যে, গাছ আমাদের বন্ধু, আমরা যেন অযাচিতভাবে গাছে পেরেক বিদ্ধ না করি। গাছকে সুরক্ষা দেই এবং পরিবেশের যেন সুরক্ষা হয়।’ এ সময় তিনি চলমান এই কর্মসূচিকে ইউনিয়ন থেকে প্রতিটি ওয়ার্ড পর্যায়ে পালনের আহ্বান জানিয়ে এ বিষয়ে প্রত্যেককে সচেতন এবং স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গাছে অনাকাঙ্খিতভাবে পেরেক বিদ্ধ না করার সচেতনতা তৈরীর কথা বলেন।