বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর বাউফলে নিখোঁজ খলিলুর রহমান গাজী (৩১) এর মরদেহ উদ্ধার করেছে বাউফল থানা পুলিশ। শনিবার (৩মে) বেলা ১০টার দিকে উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ লক্ষীপাশা গ্রামের ফকিরের হাট এলাকা একটি খরের পালার ভিতর থেকে তার মৃত্যু দেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত খলিলুর রহমানের বাবার নাম হাসান গাজী। তিনি দুই সন্তানের জনক। স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানাযায়, গত ২৯ মে রাত অনুমান ৮টার দিকে আদাবাড়ীয়া ইউনিয়নের কাশিপুর বাজারে যাওয়ার কথা বলে ঘড় থেকে বের হয়। বাজার থেকে বাসায় ফিরতে দেরি হাওযায় তার সাথে থাকা মোবাইল ফোন নাম্বরে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। পরে আত্মীয় স্বজনের বাড়ী সহ খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে শুক্রবার (২মে) বাউফল থানায় একটি নিখোঁজ সাধারন ডায়রি করেন।
নিবার (৩মে) সারে ৭টার দিকে ফজলুল হক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী আছিয়া বেগমসহ কয়েক সহপার্টি প্রাইভেট পড়তে যাবার সময় একটি লাশ দেখতে পেয়ে ডাক চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে থানা পুলিশকে খবর দেয়। সরেজমিনে দেখাগেছে, উপজেলার লক্ষীপাশা গ্রামের ফকিরেরহাট এলাকায় পাকা রাস্তার দক্ষিণ পাশে খড়কুটার পালার পাশে লাশটি ঢেকে রাখা হয়েছে। লাশের দুই পা বাইরে ছিল। খড়কুটা সরানোর পর স্থানীয়রা খলিলের লাশ শনাক্ত করে তার স্বজনদের খবর দেয়া হয়। স্থানীয়রা জানান, খলিল এলাকায় মাদক ব্যবসা করতো।
তার নামে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। পুলিশের গ্রেপ্তারের ভয়ে খলিল অনেকদিন আগেই এলাকা ছেড়ে ঢাকা চলে যায়। একসপ্তাহ আগে খলিল ঢাকা থেকে বাড়ি আসে। এরপর মঙ্গলবার (২৯এপ্রিল) রাত ১০ টার পর থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। তাদের ধারণা খলিল মাদক ব্যবসা ছেড়ে দেয়ায় তাকে খুন করা হয়েছে। বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করনের চেষ্ঠা চলছে।