নিজস্ব প্রতিবেদক : বান্দরবানের লামার উপজেলায় ফাইতং ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড সুতাবাদী পাড়ার মৃত পিতা- চাঁন মিয়া, পিতা- মৃত মতি হোসেন নামীয় ও ভোগ দখলীয় ৩০৬নং ফাইতং মৌজায় আর/৭৫১নং হোল্ডিং এর বন্দোবস্তী ১৯৮১-৮২ইং সনের এর ৫.০০ একর ৩য় শ্রেণীর এই জায়গা ওয়ারিশ সূত্রে মালিক নুরুল হক, ফজলুল করিম পিতা মৃত্যু চাঁদ মিয়া দীর্ঘবছর শান্তিপূর্ণ’ভাবে পরিবারের সকল’কে নিয়ে ভোগদখলে আছে। এমতাবস্থায় বসতবাড়ি জায়গা’তে এঘটনা ঘটায় শুক্রবার (১৫ লা মার্চ) রাত ৩টায় আধারে ভাড়াটিয়া বহিরাগত সন্ত্রাসীরা দখল নিতে বিভিন্ন কৌশলে জবরদখল, মারধর ও ভূমি দস্যুরা জোরপূর্বক দখল করতে এসে বাদী পক্ষের’ বেশ কয়েক জনকে গুরুতর আহত করে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাস্থল থেকে ৯৯৯ ফোন করলে ফাইতং পুলিশ ফাঁড়ি টীম উপস্থিত হওয়াতে বিবাদীগন জায়গা জোরপূর্বক দখল করতে পারেনি, তবে গুরুতর আহত ব্যাক্তিদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

থানার এজাহার সূত্রে জানাজায় অভিযুক্তগন হলেন ১। মাহমুদুর রহমান (২৯) পিতা- মৃত আঃ জলিল সওদাগর ২। আবুল কালাম (৫২) পিতা- মৃত আব্দু ছমদ ৩। আব্দুর রহমান মানিক (৩১) পিতা- মৃত আঃ জলিল সওদাগর ৪। মোঃ সোহেল (২৮) পিতা- আবুল কালাম, ৫। মুজিবুর রহমান মুজিব (২৩) পিতা- মৃত আঃ জলিল সওদাগর ৬। মৃত আঃ জলিল সওদাগর এর স্ত্রী (৫৩) ৭। মৃত আঃ জলিল সওদাগর এর মেয়ে (৩৩) ৮। রফিক (৩৪) পিতা- কাঞ্চন গাজী সর্ব সাং- সুতাবাদী, ০৫নং ওয়ার্ড ফাইতং সহ অজ্ঞাত নামা ৪০/৫০ জন লোক পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হাতে বিভিন্ন ধারালো দা, লোহার রড ও লাঠি-সোটা ইত্যাদি নিয়ে বাদীর উপর আক্রমন করে জায়গা অভিযুক্তদের একজনের নামের এক বলে দাবিকরে জোরপূর্বক জবর দখল করার চেষ্টা করেন। আরও জানান, পিতার মৃত্যুর পর আমরা তাহার সকল ওয়ারিশগণ উক্ত জায়গায় ওয়ারিশ সূত্রে মালিক ও উত্তরাধিকারী হই। উক্ত জায়গা আমার পিতার নামে তৌজিভূক্ত হওয়ার পর হইতে তথায় বহু অর্থ ও কায়িক পরিশ্রমের মাধ্যমে ঘরবাড়ি নির্মান করে বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ ও বনজ গাছের বাগান সৃজন করে পরিবার পরিজন নিয়ে অদ্যবধি পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ দখলে স্থীত আছি। বর্তমানে আমাদের উক্ত জায়গার মূল্য অতি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং গাছপালা বড় হওয়ার সুবাদে সকল আসামীগণ পরস্পর যোগসাজসে উক্ত জায়গার প্রতি দূর্লোভের বশবর্তী হয়ে জায়গা ও গাছপালা গ্রাস করার কুমানসে দীর্ঘদিন ধরে জোর পূর্বক জরব দখল ও গাছপালা কেটে নিয়ে যাওয়ার পায়তারা করিয়া আসিতেছে। কিন্তু হঠাৎ উক্ত সন্ত্রাসী বিবাদীগণ সহ অজ্ঞাত নামা ৪০/৫০ জন বহিরাগত সন্ত্রাসী বাহিনী বিভিন্ন অস্ত্র শস্ত্র যথা: ধারালো দা, ছুরি, লোহার রড, লোহার হাতুড়ি, লোহার খন্তা, মোটা লাটিসোটা ইত্যাদি নিয়ে বে-আইনী জনতাবদ্ধে ঘটনাস্থলে আমার বসত বাড়িতে প্রবেশ করিয়া ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা আমি, আমার ভাই ফজলুল করিম (৪৩), আমার ছেলে শহিদুল ইসলাম (২৫) ও জসিম উদ্দিন (২৯), আমার স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৪৭) কে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। বিবাদীগণ এলেপাতাড়ি মারধর করে আমার পায়ের আঙ্গুলে মারাত্মক রক্ত ঝরা কাটা জখম করে, মাথার পিছনে ও বুকে পিঠে মারাত্মক নীলাফুলা জখম করে। আমার ভাই ফজলুল করিম (৪৩) কে বিবাদীগণ প্রাণে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে ধারালো দা দিয়ে মাথায় দুইটি কোপ মারে এবং দুই হাতে দুইটি কোপ মারে। ইহাতে তাহার মাথায় ও হাতে মারাত্মক রক্তঝরা কাটা জখম হয়। আমার ছেলে শহিদুল ইসলাম (২৫) এর শরীরের বিভিন্ন অংশে বিবাদীগণ লোহার রড মোটা লাঠি দিয়ে আঘাত করে মারাত্মক নিলাফুলা জখম করে। আমার ছেলে জসিম উদ্দিন (২৯) এর শরীরের বিভিন্ন অংশে বিবাদীগণ লোহার রড মোটা লাঠি দিয়ে আঘাত করে চোখের নিচে, বুকে পিঠে, মাথায় মারাত্মক নিলাফুলা জখম করে। আমার স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৪৭) কে পুরো শরীরে বিবাদীগণ লোহার রড মোটা লাঠি দিয়ে আঘাত করে মারাত্মক নীলাফুলা জখম করে এবং তাহার শরীরের কাপড় চোপড় ছিড়ে, মাথার চুল ধরে টানা হেচড়া করে মারাত্মক শ্লীলতাহানী করে ।

আহত মরিয়ম বেগম বলেন, সকল বিবাদীগণ আমাদের এলেপাতাড়ি শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে যাওয়ার সময় হুমকি দিয়ে বলে, আমাদের দায়েরকৃত মামলাসমূহ প্রত্যাহার করিয়া নিতে। যদি আমরা আমাদের দায়েরকৃত মামলা সমূহ প্রত্যাহার না করি কিংবা ঘটনার বিষয় নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করিলে কিংবা মামলা মোকদ্দমা করিলে তোকে সহ তোর পরিবারের লোকজনকে প্রাণে হত্যা করিয়া লাশগুম করিয়া ফেলিব, মিথ্যা মামলায় জড়াইয়া হয়রানী করিব, ঘরবাড়ি আগুন দিয়া জ্বালাইয়া দিব” মর্মে মারাত্মক প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করে ঘটনাস্থল হতে চলে যায়। বিবাদীগণ যাওয়ার সময় আমার ঘরের তিন পার্শ্বের টিনের বেড়া কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলে এবং ঘরে রক্ষিত ৪৩,৫০০/- টাকা দামের দুইটি স্মাট ফোন, নগদ ৬৭,৪৫০ টাকা, ঘরের আসবাবপত্র, রান্নার জিনিস পত্র, ব্যবহৃত কাপড় চোপড়, কাঁথা- কম্বল সহ ঘরের সকল জিনিস পত্র লুটপাট করে তাহাদের গাড়ি যোগে নিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন ও স্বাক্ষীগণ আমাদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করিয়া লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করে থানায় এজাহার দিয়েছি।

আহত শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার আর হোল্ডিং ৭৫১নং এর জায়গা আসিয়া বেআইনীভাবে দাবী উপস্থাপন করে গভীর রাতে জবরদখল পরিবর্তনেট অপচেষ্টা করে। আমি বিচার চাই অভিযুক্ত ও বহিরাগত সন্ত্রাসী জবরদখলী’দের। পার্শ্ববর্তী মানুষ এগিয়ে না এলে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর হামলা, জায়গা জোরপূর্বক দখল করতো কিন্তু শোর চিৎকার শুনে পাশ্ববর্তী লোকজন এগিয়ে আসলে অভিযুক্তগণ ঘটনাস্থল থেকে ত্যাগ করেন। আমিও আব্বু চাচা,ভাই,মা গুরুত্ব আহত এখন হাসপাতালে ভর্তি আছে।

পাশ্ববর্তী নাজমা বেগম ও নাজমা বেগম বলেন, অভিযুক্ত কয়েক জন’কে চিনি তারা রাতে এসে বাদীপক্ষ ৫জন’কে মারধর করে গুরুত্ব আহত করে ঘরও ভেঙ্গে দেন। আমরা এঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক বিচার চাই। অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে মাহমুদুর রহমান বলেন, আমাদের জায়গা দখল করে ঢুকতে যাচ্ছে তারা,আমরা যখন গিয়েছি তখন তারা পালিয়ে যায়।সাথে সাথে পুলিশ ফাঁড়ি’তে বলি। কাওকে মারধর করি নাই। আমাদের’কে মামলা ফাঁসানো জন্য এইসব করছ