১১ ই ফেব্রুয়ারি রবিবার সন্ধ্যা ছয় টায় বন্দরের সবচেয়ে জনবহুল এলাকা মাহমুদ নগর কলাবাগানের ২নং গলিতে এই অগ্নিকাণ্ডেr ঘটনা ঘটে। আগুনের সূত্রপাত বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে কামুনি,রুবেল ও জজ মিয়ার ৩ টি ঘর মুহূর্তেই পুড়ে ছারখার। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এলাকার বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী আগুন নিভানোর প্রচেষ্টার চালান যাহাতে ফায়ার সার্ভিস আসার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত অন্যান্য বাড়ি গুলোতে আগুন যেন না ছড়িয়ে পড়ে । এলাকাবাসীর সূত্রে জানতে পারি যে আগুনের শিখা যখন উদ্দোমুখি সেই সময় নিজ থেকে সাহস করে জ্বলন্ত ঘর গুলোর ভিতরে গিয়ে হাতে গুলুস পড়ে আগুনে উত্তপ্ত ২ টি এল পি গ্যাসের বোতল নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে আনেন এমদাদ নামে এর ছেলে। সে সময় রাজন ও ফারুক , জ্বলন্ত ঘর গুলোর একেবারে সামনে গিয়ে লম্বা লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকে যাতে ঘরগুলোকে একত্রে চাপানো যায় এতে করে আগুন টা অন্যান্য জায়গায় আর ছড়িয়ে যেন না পড়তে পারে ,রবিন,রুসান ইমন মারুফ রিফাত সাদ্দাম সাগর সহ অন্যান্য আরো অনেকে একত্রে প্রচেষ্টা চালান আগুনটি নিয়ন্ত্রণে আনতে । একই সময় অন্য আরেকটি গ্রুপ অগ্নিদস্ত বাড়ির পূর্ব পাশের থাকা তাউলাদ মিয়ার কারখানার তৈরিকৃত কাপড় ও মালামাল নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে আনতে সহযোগিতা করে। অগ্নিদস্ত বাড়ির উত্তর পাশের বাড়ি দই ব্যবসায়িক মঙ্গল মিয়ার বিপুলসংখ্যক জ্বালানি কাঠে যেন আগুন না জ্বলে সেই জন্য মুন্না, শান্ত,সাকিল,শাহিন,জুবায়েল,সানি সহ অনেকেই পানি দিতে থাকেন যাহাতে পার্শ্ববর্তী এই বাড়ী গুরতে জেনো আগুনটি অগ্রসন না হতে পারে। সে সময় ঘটনাস্থলে কাসেম নামে একজনের অগ্নিদস্ত ঘরের টিনের আঘাতে তার পা বেশ কিছুটা কেটে জায় এ ছাড়া আর কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি। সৌদি প্রবাসী সাদ্দাম ও সিয়াম এর বাসার তিন তলা ছাদ থেকে বিপুল পরিমাণ পানি অগ্নিদস্ত ঘর গুলো উপর নিক্ষেপ করা হয় যাতে আগুনটি নিয়ন্ত্রণ আনা যায় । পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে দমকল কর্মীরা এসে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন এবং ব্যবসায়িক হাজী মুরাদ সাহেবের বাসার সেফটি ট্যাংক থেকে পানি নিয়ে, ফায়ার সার্ভিসের পাইপ গুলো রাসের ইসলাম জীবন,মিরান,নায়েম সহ বিপুলসংখ্যক অত্র এলাকার স্বেচ্ছাসেবীগণ এর সহযোগিতায় পাইম গুলো টেনে অগ্নিকাণ্ডের সামনে নিয়ে যাওয়া হয় উত্তপ্ত আগুন টিকে ৫৫ মিনিট পর নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় বন্দরের ফায়ার ব্রিগেড ইউনিট ।তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বন্দর থানার ডিএসবি এমদাদুল হক।