স্টাফ রিপোর্টার ঃ পুলিশের নিস্ক্রিয়তায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে হামলাকারী স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদ সরকারের দোসর শাহজাহান ও তার গুন্ডা বাহিনী সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলে প্রকাশে বুক ফুলিয়ে ঘোরাফেরা করছে। অজ্ঞাত কারণে প্রশাসনের নিরব ভুমিকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু, মাদক বিক্রেতা ও ছাত্র জনতার গণহত্যাকারীরা এখনো হুন্ডার মহড়া দিয়ে যাচ্ছে যার কারণে বিগত সময়ের অত্যাচারের কথা স্মরণ করে জনসাধারণ ভয়ে তটস্থ। তবে অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ডিএইচ বাবুল ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের ছত্রছায়ায় থাকায় শাহজাহান ও তার বাহিনী এখনো রয়ে গেছে ধরা ছোয়ার বাইরে। আর্থিক আতাতের মাধ্যমে যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনীকে শেল্টার দিয়ে যাচ্ছে বিএনপি চিহ্নিত নামধারী নেতা।
জানা যায়, পাঠানটুলীর মোড়ে অবৈধ ভাবে বসবাসকারী ভূমিদস্যু সন্ত্রাসী শাহজাহান এলাকায় এক মূর্তিমান আতংক হিসেবে দীর্ঘদিন আওয়ামী সরকারের সময় রামরাজত্ব চালিয়েছে। শহরের গডফাদার পলাতক শামীম ওসমানের দোসর শাহজাহানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা, অস্ত্র ও বিষ্ফোরক মামলা, মারামারি ও ভূমিদস্যুতার বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। বর্তমানে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদ সরকারের দোসর হিসেবেও গণহত্যার দায়ে মামলা হয়েছে। তারপরও শাহজাহান তার বাহিনীর রাজিব-সজিব, সাইদুল, কেরাম বাবুল, স্বপন, হিমেল, রকমত উল্লাহ, রাজু, মোকলেছ ও হিয়াইল্যা ইয়াছিন এলাকায় এখনো প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। পাঠানটুলী মোড়ে সাগরের চায়ের দোকানে বসে এখনো সেই আগের মতো আড্ডাচাট চালিয়ে মানুষকে ক্ষয়ক্ষতি করার পরিকল্পনা করছে। যদিও শাহজাহানের অন্যতম সহযোগি শহিদুল্লাহ নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে ঢাকায় পলাতক জীবন যাপন করছে। পুরাতন আইলপাড়া এলাকায় মাদকের বিস্তার লাভ করেছে শুধুমাত্র শাহজাহান-শহীদুল্লাহ বাহিনীর কারনে। মাদক কেনা বেচায় সাইদুল ও অর্থ উত্তোলনে হিমেল চষে বেড়িয়েছে পুরো এলাকা ও তার আশপাশ। কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাতের প্রধান কারন হিসেবে হুন্ডা বাহিনীর সদস্য নিষিদ্ধ ছাত্র লীগের রাজিব-সজিব এলাকাকে নষ্ট করে দিয়েছে। পুইচকা স্বপন ও লুচ্চা কেরাম বাবুলের কবল থেকে রক্ষা পায়নি গার্মেন্টস শ্রমিকের নারীরা। পুলিশের সোর্স হিসেবে কৃষক লীগের হিয়াইল্যা ইয়াছিন এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপের আখড়াসহ বাড়ী ঘরে গিয়ে ছেচরামী করে আসছিল। বর্তমানেও এলাকায় যাকে তাকে হুমকী ধমকী দিয়ে যাচ্ছে। রাজু ছুরি হাতে প্রকাশ্যেই নিয়মিত মহড়া দিয়ে মানুষের মধ্যে ভয়ভীতি সৃষ্টি করছে। রাজুর রয়েছে আলাদা একটি ছিনতাই গ্রুপ। বিগত সময়ে এলাকায় রাতের আধারে বিভিন্ন বাসাবাড়ীতে নিজেরাই আগুন লাগিয়ে অন্যদের হয়রানী করতো উল্লেখিত অমানুষরা। এলাকায় চুরি, ছিনতাই, রাহাজানির জনক শাহজাহান-শহীদুল্লাহ গড়ে তুলেছিল একটি ক্যাঙ্গারু গ্রুপ। গ্রুপটি নতুন আইলপাড়া, পশ্চিম আইলপাড়া, এনায়েতনগর ও উত্তর হাজীগঞ্জ এলাকাসহ পাঠানটুলী মোড়ে অরাজকতা সৃষ্টি করে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে। বর্তমানে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এবং যুবলীগ, কৃষকলীগ ও আওয়ামী লীগের লোকজন বিশৃঙ্খল আচরন করে জনমনে শংকা তৈরি করছে শুধুমাত্র পুলিশ প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তার কারনে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছে।