কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি। নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী ফ্যাসিবাদ অনুসারীসহ একাধিক
কু-চক্রীমহলের যোগসাযোগে নারীকে দিয়া ব্লাকমেইল করে নির্মিত ঘর, পুর্নবাসন ঘর, জমি ও ঘরের টাকা হাতিয়ে নেওয়া, রাজনৈতিক, সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন, পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মোঃ মজিবর রহমান প্যাদা।তার ও ইউনিয়ন বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে দাবি করেন লালুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মজিবর রহমান প্যাদা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, তার নিকট আত্মীয় হাবলু মৃধা, হিরন মৃধা, জনি জামাল এবং সোহেল হাওলাদার।
শনিবার বেলা ১১ টায় কলাপাড়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট ফোরাম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোঃ মজিবর রহমান প্যাদা বলেন, গত ১৪ অক্টোবর মঙ্গলবার মোসা: মরিয়ম বেগম, বিএনপি ও আমিসহ আমার পরিবারের সদস্যদের জড়িয়ে সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সামাজিক ভাবে ভাবমুর্তি, রাজনৈতিক খ্যাতি ও যশ ক্ষুন্ন করেছে। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, মরিয়ম সঙ্গে তার কোন বিয়ে হয়নি। এর কোন প্রমাণ সে দিতে পারবে না। মূলত মরিয়মের পিতা এর মোসলেম আলী দফাদারের কাছ থেকে ২০২১ সালে রেফ কাগজের মাধ্যমে ১২ শতাংশ জমি ৬ লক্ষ টাকায় ক্রয় করে। সালে ক্রয়কৃত জমিতে বসত ঘর সালে স্থাপনা এবং গাছ রোপন করা হয়।
ওই জমি সরকার অধিগ্রহণ করার কারণে মোসলেম তাকে দলিল রেজিস্ট্রি করে দেয়নি। ওই জমি ক্ষতি পুরনের টাকা মোসলেম তার ছেলে রহমান এবং মেয়ে মরিয়ম বেগম নামের ব্যাংক একাউন্ট থেকে তুলে তাকে ৪৭ লক্ষ টাকা দেয়। তবে মজিবরের ওই জমিতে নির্মাণকৃত ঘরের পরিবর্তে তৎকালীন সরকার ধূলাসার ইউনিয়নের আবাসন প্রকল্পের ৬০ লক্ষ টাকা এবং ১০ টাকা মূল্যের দুটি পূর্ণবাসন ঘর প্রদান করেন। কিন্তু মোসলেম ওই ঘর দুটি তার ছেলে রহমান ও মেয়ের মরিয়ম নামে অন্তর্ভুক্ত করে। সে মোসলেমের এর কাছে ওই পূর্ণবাসন ঘর বাবদ টাকা চাইলে। না দিলে তালবাহানা শুরু করে। টাকা বুঝিয়ে পেতে সে এবছরের ১৬ এপ্রিল কলাপাড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মুলত একটি কুচক্রি মহলের যোগসাজসে এই টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে নেওয়ার জন্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ আনায়ন করে। তাই তিনি ন্যায় বিচারসহ পুর্নবাসন ঘরের ৬০ লক্ষ , জমির ৫ লক্ষ ও জমিতে নির্মানকৃত ১০ লক্ষ টাকা ফেরত চেয়েছেন। এছাড়া ওই নারীর পিতা মোসলেম আলী দফাদার ও ভাই রহমান আমার মামলা হইতে মুক্তি পাওয়ার জন্য তাদের মেয়ে মরিয়ম দিয়া বাদী বানাইয়া মিথ্যা ভিত্তিহীণ মৌখিক অভিযুক্ত লিখিত করে কোন কাগজপত্র প্রমান ছাড়া পটুয়াখালী জেলা জজ কোর্টে ৯ (খ) ধারায় এবং আমার নির্মিত ঘর, জমি তাদের নিজের দাবী করে আমার নামে মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে জানতে মোসলেম আলী দফাদারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও। ফোনটি রিসিভ করেনি।