উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মো. হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী হুমায়ুন সিকদার এবং সিনিয়র সহ-সভাপতি জাফরুজ্জামান খোকন হাওলাদার। উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মজিবর রহমান হাওলাদার এবং পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক নাসির উদ্দীন রতনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হাফিজুর রহমান চুন্নু, কলাপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি গাজী মোঃ ফারুক, সাধারন সম্পাদক মুসা তাওহীদ নান্নু মুন্সী। উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস শফিকুর রহমান টুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার নাসির উদ্দীন, কলাপাড়া পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান কাজল তালুকদার এবং তারেক আমান সুমনসহ উপজেলার সকল ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এবিএম মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, ‘গত ১৭ বছর আন্দোলন করতে গিয়ে বিএনপির ২০ হাজার নেতা-কর্মী হত্যার শিকার হয়েছে। বিএনপি নেতা-কর্মীদের নামে ৬০ লক্ষ মামলা হয়েছে।’ এসময় যুবদল, ছাত্রদল ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘এ দেশের জনগণের ওপর জুলুম-নির্যাতন করার কারণে শেখ হাসিনা ফ্যাসিষ্ট হয়েছিলেন। সে জন্য গনআন্দোলনের মুখে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। আওয়ামী লীগের মত যাতে পালিয়ে যেতে না হয় সে জন্য বিএনপি নেতা-কর্মীদের সবাইকে সতর্ক থেকে কাজ করতে হবে। আমরা জনমানুষের জন্য ভালো কাজগুলো করে জনমানুষের মন জয় করে আগামীর বাংলাদেশে নেতৃত্ব দিতে চাই।’
আগামীর নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,
আওয়ামী লীগের যাঁরা অন্যায় করেনি তাঁদের কথা উল্লেখ করে এবিএম মোশাররফ হোসেন বলেন, কলাপাড়ার যেসব আওয়ামী লীগ নেতা নির্দোষ, তাঁদের ওপর কোনোভাবেই জুলুম করা যাবেনা। তাঁরা যেন নিরাপদে বসবাস করতে পারে সে জন্য বিএনপির এ কেন্দ্রীয় নেতা বিএনপি সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান জানান।
এর আগে উপজেলার সকল ইউনিটের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে মিলিত হয়। বিকেল ০৪ টায় দলীয় কার্যালয় থেকে এক বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। শোভাযাত্রাটি পৌরশহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। হাজারো নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সমাবেশ স্থল কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়।