চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:-চট্টগ্রামের পটিয়ায় ভয়ঙ্কর অপরাধী ও ছিনতাইকারী মো. সাইমন প্রকাশ ব্যানেট সাইমনকে (২৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে পটিয়া পৌরসদরের বাস স্টেশন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যাসহ ১১টির অধিক মামলার আসামি ব্যানেট সাইমন পটিয়া পৌরসভার বাহুলী গ্রামের আবু তাহের এর পুত্র। তার সেকেন্ড কমান্ড কচুয়াই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড মল্ল পাড়ার পারিগ্রামের জেবল হোসাইনের পুএ রেজাউল হোসাইন অভি (৩৫) বাহুলী এলাকার নুর নাহার বেগম এর পুএ আনোয়ার হোসেন। রেজাউল হোসাইন এর বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডে বাইপাস সড়কে চলাচলের অতিষ্ঠ। বাইপাস সড়কে একাধিক ব্যাবসায়ীরা জানান, চুরি ছিনতাই হাইজেক সহ নানান অপকর্মে হোতা রেজাউল হোসাইন অভি। তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হলে অপরাধ কর্মকান্ডে গুরুত্বপূর্ণ রহস্য উদঘাটন হবে আশাবাদী সচেতন মহল। এছাড়াও স্থানীয় ও পুলিশ সুএে জানায়, মোহাম্মদ সাইমন প্রকাশ ব্যানেট সাইমন দীর্ঘদিন ধরে তার সহযোগীদের নিয়ে পটিয়ার বাইপাসসহ বিভিন্ন এলাকায় ধারালো অস্ত্র নিয়ে ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। সর্বশেষ ১০ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টায় মো. সোহেল নামে এক টাইলস মিস্ত্রি মোটরসাইকেল নিয়ে বাসায় যাওয়ার পথে পৌরসদরের পোস্ট অফিস এলাকায় তার গতিরোধ করে ধারালো চাকু বের করে ব্যানেট সাইমনসহ কয়েকজন তার মানিব্যাগে থাকা ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় ওইদিনই ভিকটিম সোহেল বাদী হয়ে ব্যানেট সাইমনসহ অজ্ঞাতনামা ৩ জনের বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোববার দিবাগত রাতে অভিযান পরিচালনা করে পৌরসভাস্থ বাস স্টেশন সংলগ্ন পেট্রোল পাম্পের সামনে পাঁকা রাস্তার উপর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ছিনতাইয়ের আলামত হিসেবে ১ হাজার ৯০০ টাকা জব্দ করা হয়। বাইপাস সড়কে প্রতিদিন ছিনতাইকারীর খপ্পারে পড়ে নির্স ও আহত হয়েছেন। পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর জানান, ব্যানেট সাইমন একজন ভয়ঙ্কর অপরাধী। সে ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রতিনিয়ত ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত রয়েছে। তার বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় হত্যা, অস্ত্র, দস্যুতা এবং মারামরি মামলাসহ ১১টির অধিক অভিযোগ পাওয়া যায়। তাকে গতকাল সোমবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের অন্যান্য থানায়ও মামলা থাকতে পারে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বিভিন্ন থানার সাথে যোগাযোগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।