মতলব উত্তর প্রতিনিধি:চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় জায়গা-জমি ও হাঁস নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে। একইসঙ্গে বাড়িঘরে লুটপাট চালানোরও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৪ আগস্ট (রোববার) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার ফরাজিকান্দি ইউনিয়নের বড় হলদীয়া গ্রামে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বড় হলদীয়া গ্রামের মো. জুলহাস প্রধানের (৪৫) স্ত্রী শিউলি আক্তার (৩৫) ওইদিন সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
এসময় পার্শ্ববর্তী রুহুল আমিন (৫০), তার স্ত্রী মমতাজ বেগম (৪৫) ও ছেলে আলামিন (২২) দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে তার বাড়িতে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা এলোপাতাড়ি মারধর করে শিউলি আক্তারের মাথা, মুখ, কান, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। এক পর্যায়ে শ্বাসরোধের চেষ্টা ও শ্লীলতাহানির ঘটনাও ঘটে বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। এসময় গৃহবধূর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে মৃত্যুপথযাত্রী অবস্থায় রয়েছেন বলে পরিবার জানিয়েছে।
জুলহাস প্রধান অভিযোগ করেন, আমার স্ত্রীকে মারধরের পাশাপাশি তারা আমাদের ঘর থেকে নগদ ৭৫ হাজার টাকা ও আসবাবপত্রসহ প্রায় এক লাখ টাকার মালামাল লুটপাট করেছে। হাসপাতালে আমার স্ত্রী জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। আমি ঘটনার সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জুলহাস প্রধানের বাড়ির পাশে খলিলুর রহমান নামে এক ব্যক্তির ধানক্ষেতে হাঁস ঢুকে ধান নষ্ট করে। এ নিয়ে জুলহাস প্রধানকে অবহিত করলে তিনি খলিলুরকে আশ্বস্ত করেন যে আর এমন হবে না। তবে এর কিছুক্ষণ পর রুহুল আমিন ও তার পরিবারের সঙ্গে ওই বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হলে শিউলি আক্তারের ওপর এ হামলা চালানো হয়।
বিবাদী মমতাজ বেগম জানান, অন্যজনের ঝগড়া আমাদের ঘাড়ে এসে পড়েছে, আমার সাথে শিউলির ঝগড়া হয়েছে ঐ সময় আমার স্বামী রুহুল আমিন ও ছেলে উপস্থিত ছিলেন না। এ ঘটনায় আমার অন্যায় হয়েছে। কিন্তু লুটপাটের বিষয়ে আমি বা আমার পরিবারের কেউই জানিনা। এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল হক বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। আহত গৃহবধূ বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।